নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:৫৮ এএম, ২২ অক্টোবর, ২০২০
আজ ‘জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস ২০২০। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ, জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস উপলক্ষে নানা কর্মসূচি পালন করছে। রাজধানীতেও বিভিন্ন প্লাকার্ড, ফেস্টুন, ব্যানার শোভা পাচ্ছে। এই প্লাকার্ড, ফেস্টুন, ব্যানারগুলোর মধ্যে একটি ফেস্টুন সবার নজরে এসেছে এবং বিষয়টি অনেক দৃষ্টিকটু লাগছে।
এটিতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের একক পোস্টার দেখা যাচ্ছে। সাধারণত বাংলাদেশে এ ধরনের সরকারি দিবস উপলক্ষে যেসব প্রচারণা করা হয় তার একটা সুনির্দিষ্ট রীতি রয়েছে। রীতিটি হল, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি ও প্রধানমন্ত্রীর ছবিসহ অন্যান্য বিষয়ভিত্তিক ছবি অন্তর্ভূক্ত করা হয়। এই রীতিটা অনুসরণ করা হচ্ছে এতোদিন।
বর্তমান সরকার যখন দেশ পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করে তখন সিদ্ধান্ত হয়েছিল সমস্ত সরকারি অফিসে জাতির পিতার ছবি ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি থাকবে। সেই বিধানের আলোকেই বিভিন্ন ধরনের প্রচারণায় জাতির পিতা ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি দেয়ার রেওয়াজ চলে আসছে। কিন্তু এই পোস্টারটিতে দেখা যাচ্ছে ওবায়দুল কাদেরের একার ছবি। যদিও সড়ক ও জনপথ বিভাগ থেকে প্রধানমন্ত্রীর একক ছবি দিয়েও পোস্টার করেছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর একক ছবি দিয়ে পোস্টার থাকুক না থাকুক সেটি মুখ্য বিষয় নয়, মুখ্য বিষয় হচ্ছে ওবায়দুল কাদের একক ছবি দিয়ে এ ধরনের পোস্টার বানাতে পারেন কি না?
প্রধানমন্ত্রী হলেন সরকার প্রধান এবং প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে মন্ত্রীসভা পরিচালিত হচ্ছে। আরও মজার ব্যাপার হলো অধিকাংশ প্রচারণায় রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের অনুপস্থিতি লক্ষণীয়। রাষ্ট্রপতিকে কোনো পোস্টারে দেখা যায়নি। এটি কি সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের ভুল, নাকি ইচ্ছাকৃতভাবে মন্ত্রীর মন জয় করার জন্য এমনটি করা হয়েছে সেটি নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। তবে এটি নিয়ে আওয়ামী লীগের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি তারেক জিয়া বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
তারেক জিয়া বিএনপি ব্রিটিশ দূতাবাস সারা কুক
মন্তব্য করুন
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।
আওয়ামী লীগ দলগতভাবে উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট এবং কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন উপজেলায় মন্ত্রী, এমপি বা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের ভাই ব্রাদার বা স্বজনদেরকে প্রার্থী করা যাবে না। যারা ইতিমধ্যে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গতকাল ঢাকাস্থ ব্রিটিশ দূতাবাসে আমন্ত্রিত হয়েছিলেন বিএনপির শীর্ষস্থানীয় তিন নেতা। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদকে দাওয়াত দেয়া হয়েছিল ব্রিটিশ দূতাবাসে। সেখানে বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারা কুক এক ঘণ্টার বেশি সময় তাদের সাথে বৈঠক করেন। এসময় ব্রিটিশ দূতাবাসে অন্যান্য রাজনৈতিক কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।