নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ২২ অক্টোবর, ২০২০
ফরিদপুর ৪ আসনের সংসদ সদস্য মুজিবুর রহমান চৌধুরী ওরফে নিক্সন চৌধুরীর মামলা নতুন মোড় নিয়েছে।
এই মামলায় যে অডিও টেপ ব্যবহৃত হয়েছে। সেই অডিও টেপের সূত্র ধরে নিক্সন চৌধুরী একজন জেলা প্রশাসকের সঙ্গে অশোভন আচরণ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সেই মামলার অডিও টেপ করার আইনগত বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আজ সরকারের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন। সরকারের পক্ষ থেকে জানতে চাওয়া হয়েছে যে; নিক্সন চৌধুরী যে জেলা প্রশাসক অতুল সরকারকে টেলিফোন করেছিলেন। এই ফোনটি কে রেকর্ড করেছিলো।
বাংলাদেশে প্রচলিত আইন ও সাংবিধানিক বিধি-বিধান অনুযায়ী বিনা অনুমতিতে কারো ফোনের কথপোকথন রেকর্ড করা শাস্তিযোগ্য দন্ডনীয় অপরাধ। বাংলাদেশে টেলি যোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন ২০০১ এর ৯৭(১) ধারা অনুযায়ী শুধুমাত্র জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে গোয়েন্দা সংস্থা এবং আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর লোকজন টেলিফোন রেকর্ডের জন্য মোবাইল কোম্পানীগুলোকে নির্দেশ দিতে পারবে। সেই নির্দেশ প্রতিপালনে টেলিফোন কোম্পানীগুলো বাধ্য থাকবে।
ওই আইনের ৯৭(২) এ বলা হয়েছে যে এই রকম নির্দেশনা দেয়ার আগে অবশ্যই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রীর অনুমতি নিতে হবে।
কিন্তু নিক্সন চৌধুরীর সঙ্গে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার যে টেলিফোন আলাপ সেই আলাপটি রেকর্ড হয়েছে। এবং সেটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার নিজেও বলেছেন তিনি এই ফোন কলটি রেকর্ড করেছেন। কিন্তু একজন জেলা প্রশাসক হয়ে তিনি কিভাবে আইনের ব্যতয় ঘটালেন সেটি নিয়ে এখন খোদ সরকারের মধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে। কারণ একজন জেলা প্রশাসক টেলি যোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন ২০০১ এর ৯৭ ধারা অনুযায়ী এ ধরনের কথোপকথন রেকর্ড করার এখতিয়ারভুক্ত প্রতিষ্ঠান নন। সেটি রের্কড করে অন্যকে শোনানোটাও শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
আমাদের সংবিধান গোপনীয়তার নিশ্চয়তা দেয় এবং চিঠিপত্র টেলি আলাপের যে গোপনীয়তা সুরক্ষা সেই সুরক্ষাকে মূল্যায়ন করে।
সম্প্রতি বাংলাদশ সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ সংক্রান্ত একটি রায় আছে। বৃহত্তর বেঞ্চ (তিনজন বিচারকের সমন্বয়ে গঠিত) একটি রায়ে কল রেকর্ডকে সাক্ষ্য হিসেবে গ্রহণে অস্বীকৃতি জানায়। একজন নাগরিকের বিনা অনুমতিতে তার কথোপকথন রেকর্ড করা বা তার কল লিস্ট সংগ্রহ করাটা আইন বহিভূত এবং আইনের দৃষ্টিতে অপরাধ বলে মতামত দেয়।
ফরিদপুরের ঘটনাটি এখন কেবল জেলা প্রশাসককে কর্তব্যে বাধা দান কিংবা উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তাকে হুমকি-ধামকি দেয়ার মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। এটি এখন অন্য মাত্রা পেয়েছে।
সরকারের মধ্য থেকে অনেকে প্রশ্ন করেছেন যে একজন জেলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আইন কিভাবে লংঘন করেন। কিভাবে এই কথপোকথন রেকর্ড করেন। এই কথোপকথন রেকর্ড এখন ফরিদপুরের ঘটনাকে নতুন মেরুকরণের দিকে নিয়ে গেছে।
একজন আইনঅজ্ঞ বলছেন ফরিদপুরের ঘটনার তিনটি দিক আছে। ১. প্রথমত নির্বাচন কমিশন প্রভাবিত হয়ে একজন প্রার্থীকে হারানোর জন্য কাজ করেছে। সেটি নির্বাচন আচরণবিধি ও নির্বাচন কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালন সংক্রান্ত।
২. যে অভিযোগে নির্বাচন কমিশন মামলা করেছে একজন সংসদ সদস্য নির্বাচনী কর্মকর্তার স্বাভাবিক কাজকর্মে বাধা প্রদান করেছেন।
৩. সরকারি কর্মকর্তার সঙ্গে সংসদ সদস্যের কথোপকথন রেকর্ড করা হয়েছে এবং একজন সরকারি কর্মকর্তা স্বীকার করেছেন তিনি কথোপকথন রেকর্ড করেছেন যা টেলিযোগাযোগ আইন অনুযায়ী অপরাধ। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে আইন তার নির্মোহ গতিতে চলবে। যে যেখানে যতটুকু অপরাধ করেছে সে ঠিক ততটুকু সাজা পাবেন।
কাজেই জেলা প্রশাসক যে কথপোকথন রেকর্ড করেছেন তাহলে তাকে প্রমাণ করতে হবে তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর অনুমতি নিয়ে গোয়েন্দা সংস্থা অথবা আইন শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর মাধ্যমে এই ফোনকলটি রেকর্ড করিয়েছেন। সেটি তাদের কাছ থেকে তিনি আইনি প্রক্রিয়ায় সংগ্রহ করেছেন। এটি যদি তিনি প্রমাণ করতে না পারেন তাহলে সেখানে আইনের ব্যতয় হবে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন জেলা প্রশাসক এবং নিক্সন চৌধুরীর দ্বন্দ্বের মাধ্যমে কার কতটুকু ক্ষমতা, কার কতটুকু জবাবদিহিতা এবং কে কী করতে পারেন না পারেন তা বেরিয়ে আসবে।
এই মামলাটি শেষ পর্যন্ত একটি দিক নির্দেশনামূলক মামলা হিসেবে আসতে পারে বলে মনে করছেন অনেক আইনজীবী।
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ আগাম কাউন্সিল দলীয় কোন্দল
মন্তব্য করুন
এমভি আবদুল্লাহ কবির গ্রুপ সোমালিয়া উপকূল
মন্তব্য করুন
ভারত বিরোধী বিএনপি রুহুল কবির রিজভী
মন্তব্য করুন
বিএনপি নেতারা জিয়াউর রহমানকে নিয়ে যেসব কথা বলে তা শুনলে জিয়াউর
রহমানও কবরে শুয়ে লজ্জা পেয়ে যেতেন বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাজধানীর প্রেসক্লাবে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
এ সময় তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান জীবদ্দশায় কখনো শুনেননি তিনি স্বাধীনতার ঘোষক।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, স্কুল ঘণ্টা যেমন দপ্তরি বাজায়, তেমনি জিয়াউর
রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেছিলেন বঙ্গবন্ধুর পক্ষে। আজকে বিএনপি নেতা আব্দুল মঈন
খান অনেক কথা বলেন। মঈন খানের বাবা আব্দুল মোমেন খান ৭৪ সালে খাদ্য সচিব ছিলেন। তিনি
ষড়যন্ত্র করে মার্কিন খাদ্যবাহী জাহাজ ফেরত পাঠিয়েছিলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান আব্দুল মোমেন খানকে মন্ত্রী
বানিয়েছিল। মঈন খান নিজেও সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছিল, দরকার পড়লে দেশ বিক্রি করে দেব।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান
মাহমুদ বলেন, দেশ সমৃদ্ধির দিকে যখনই এগিয়ে যাচ্ছিল তখনই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়।
বিএনপি জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক বানানোর জন্য যেভাবে দাবি করে জিয়াও সেভাবে
কখনো দাবি করেনি। জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের ছত্রছায়া পাকিস্তানিদের পক্ষে কাজ করেছে।
জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগের অধীনেই মুক্তিযুদ্ধের সময় বেতন ভুক্ত কর্মচারী ছিলেন।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতাদের কথা হাস্যরসের সৃষ্টি করে। বিএনপির নেতা মঈন খানের বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, যার বাবার জন্য এদেশে দুর্ভিক্ষ হয়েছে তার মুখে এসব কথা মানায় না। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর থেকে ইতিহাস বিকৃতি করে বিএনপি নেতারা বিশদকার বিষোদগার করছে কিন্তু এখন সঠিক ইতিহাস জনগনের সামনে আসার পর তাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। বিএনপির ইতিহাস বিকৃতির পাশাপাশি দেশের জনগণকেও বিভ্রান্তি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
বিএনপি ড. হাছান মাহমুদ আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
বিএনপি ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করে, অপপ্রচার করে, মিথ্যাচার করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। শুক্রবার (২৯ মার্চ) আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির উদ্যোগে ইফতার ও ঈদসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ নেত্রী নির্দেশ দিয়েছেন ইফতার পার্টি না করে, সাধারণ মানুষের মাঝে ইফতার বিতরণ করতে। আর বিএনপি বড় বড় হোটেলে ইফতার পার্টির আয়োজন করে। আর সেই ইফতার পার্টিতে তারা আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করে, অপপ্রচার করে, মিথ্যাচার করে।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা বলে দিল্লির শাসন মেনে নেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগ পাকিস্তানে সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। আসলে বিএনপির হৃদয়ে এবং চেতনায় পাকিস্তান। আওয়ামী লীগের চেতনা এবং হৃদয়ে বাংলাদেশ, কোনো বিদেশিদের দাসত্ব নয়।
তিনি বলেন, বিএনপির চারদিকে অন্ধকার, শেখ হাসিনার জনকল্যাণমুখী বিচক্ষণ রাজনীতি বিএনপিকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিয়েছে। বিএনপি নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করেছিল। ব্যর্থ হয়ে এখনো অসংলগ্ন কথা বলছে। আশি ভাগ বিএনপি নেতাকর্মীকে দমন-পীড়ন করা হচ্ছে বলে তারা মিথ্যাচার করছে।
এসময় মির্জা ফখরুলকে মিথ্যাচার করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, তাদের মিথ্যাচারের রাজনীতি কেউ গ্রহণ করছে না বলেই তারা সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে। বিশ্ব সংকটের প্রভাবের পরও শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্বের কারণে অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশের মানুষ এখনো ভালো আছে।
ওবায়দুল কাদের রাজনীতি সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষ হয়েছে। নতুন মন্ত্রিসভা গঠন হয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল কমেনি। কোন্দল ক্রমশ বেড়েই চলেছে। সামনে উপজেলা নির্বাচন, উপজেলা নির্বাচন নিয়ে সারা দেশে এখন আওয়ামী লীগ নানা ভাগ উপভাগে বিভক্ত। শুধুমাত্র সংঘাত হানাহানির উপলক্ষ খুঁজছে পরস্পরবিরোধী আওয়ামী লীগের শিবিরগুলো। এরকম বাস্তবতার দলের সঙ্কট নিরসনে এবং অভ্যন্তরীণ কোন্দল দূর করার জন্য আওয়ামী লীগ আগাম কাউন্সিল অধিবেশনে যেতে পারে বলে বিভিন্ন সূত্র ইঙ্গিত দিচ্ছে।