নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ২৫ অক্টোবর, ২০২০
আওয়ামী লীগের সাধারণ-সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। প্রথম যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল আলম হানিফ। দলের দুই প্রধান চালিকা শক্তি। কিন্তু আওয়ামী লীগে গুঞ্জন এই দুই নেতার সম্পর্কের রসায়ন এখন আগের মতো নেই। দুই নেতার দূরত্বের কথাও শোনা যায়, কান পাতলেই। যদিও দুই নেতাই এ ধরণের গুজবকে ‘আষাঢ়ে গল্প’ বলে উড়িয়ে দেন। কিন্তু আওয়ামী লীগে এখন যে টিম ওয়ার্কের অভাব তার অন্যতম কারণ মনে করা হয় এই দূরত্বকে।
সাধারণ-সম্পাদক হিসেবে ওবায়দুল কাদেরের এটা দ্বিতীয় মেয়াদ। আর যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মাহাবুবুল আলম হানিফ তৃতীয় মেয়াদ অতিক্রম করছেন। গত মেয়াদে হানিফ যখন এক নম্বর যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, এখন জাহাঙ্গীর কবির নানক এবং আবদুর রহমান ছিলেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। কিন্তু হানিফকে টপকে তারা প্রেসিডিয়ামের এলিট ক্লাবের সদস্য হয়েছেন। এরপর থেকেই দলীয় কর্মকাণ্ডে অনেকটাই আলগা হানিফ।
২০০৮ এর নির্বাচনে অংশ নেননি হানিফ। মনোনয়ন না পাওয়ার পুরষ্কার পেয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী হয়ে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর প্রথম কাউন্সিলে তিনি যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হন। ঐ কাউন্সিলে পূর্ণাঙ্গ সাধারণ সম্পাদক হন প্রয়াত সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। এ সময় আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে উজ্জল এবং প্রাণবন্ত ছিলেন হানিফ। সৈয়দ আশরাফ কথা বলতেন মেপে মেপে, গণমাধ্যমে আসতেন কম।
এ সময় হানিফই আওয়ামী লীগের মূখপাত্রে পরিণত হয়েছিলেন। কাদেরের প্রথম মেয়াদেও হানিফ সরব ছিলেন। কিন্তু ২০১৯ এর পর তিনি আস্তে আস্তে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছেন। কেন? এই প্রশ্ন আওয়ামী লীগের অনেকের। যদিও ওবায়দুল কাদেরের অসুস্থতার পর ভারপ্রাপ্ত সাধারণ-সম্পাদক হিসেবে তার ভূমিকা প্রশংসিত হয়েছিল। করোনার পর হানিফ কানাডায় পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ করতে গিয়ে বিতর্কে জড়ান।
এরপর দেশে ফিরে টুকটাক কথা বলেছেন, কিন্তু আগের ছন্দে নেই তিনি। আওয়ামী লীগের অনেকেই মনে করেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকদের মধ্যে বাহাউদ্দিন নাছিম কাদেরের ঘনিষ্ঠ। তাছাড়া প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবে পদোন্নতি পাওয়া নানক, রহমানকেও সক্রিয় রাখছেন কাদের। এর ফলে সম্পাদকের ‘টিম কম্বিনেশন’ এ ছিটকে গেছেন হানিফ। ফলে তার গুরুত্ব কমে গেছে সাধারণ সম্পাদকের কারণেই। এ রকম মনে করেন আওয়ামী লীগের অনেকে।
কিন্তু অনেকেই মনে করেন, হানিফের মন খারাপ অন্য কারণে। যে কারণেই হোক দলের সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দূরত্ব দলকেই ক্ষতিগ্রস্থ করে। এ মত সকল আওয়ামী লীগ কর্মীর।
মন্তব্য করুন
ভারত বিরোধী বিএনপি রুহুল কবির রিজভী
মন্তব্য করুন
বিএনপি নেতারা জিয়াউর রহমানকে নিয়ে যেসব কথা বলে তা শুনলে জিয়াউর
রহমানও কবরে শুয়ে লজ্জা পেয়ে যেতেন বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাজধানীর প্রেসক্লাবে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
এ সময় তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান জীবদ্দশায় কখনো শুনেননি তিনি স্বাধীনতার ঘোষক।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, স্কুল ঘণ্টা যেমন দপ্তরি বাজায়, তেমনি জিয়াউর
রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেছিলেন বঙ্গবন্ধুর পক্ষে। আজকে বিএনপি নেতা আব্দুল মঈন
খান অনেক কথা বলেন। মঈন খানের বাবা আব্দুল মোমেন খান ৭৪ সালে খাদ্য সচিব ছিলেন। তিনি
ষড়যন্ত্র করে মার্কিন খাদ্যবাহী জাহাজ ফেরত পাঠিয়েছিলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান আব্দুল মোমেন খানকে মন্ত্রী
বানিয়েছিল। মঈন খান নিজেও সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছিল, দরকার পড়লে দেশ বিক্রি করে দেব।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান
মাহমুদ বলেন, দেশ সমৃদ্ধির দিকে যখনই এগিয়ে যাচ্ছিল তখনই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়।
বিএনপি জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক বানানোর জন্য যেভাবে দাবি করে জিয়াও সেভাবে
কখনো দাবি করেনি। জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের ছত্রছায়া পাকিস্তানিদের পক্ষে কাজ করেছে।
জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগের অধীনেই মুক্তিযুদ্ধের সময় বেতন ভুক্ত কর্মচারী ছিলেন।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতাদের কথা হাস্যরসের সৃষ্টি করে। বিএনপির নেতা মঈন খানের বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, যার বাবার জন্য এদেশে দুর্ভিক্ষ হয়েছে তার মুখে এসব কথা মানায় না। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর থেকে ইতিহাস বিকৃতি করে বিএনপি নেতারা বিশদকার বিষোদগার করছে কিন্তু এখন সঠিক ইতিহাস জনগনের সামনে আসার পর তাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। বিএনপির ইতিহাস বিকৃতির পাশাপাশি দেশের জনগণকেও বিভ্রান্তি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
বিএনপি ড. হাছান মাহমুদ আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
বিএনপি ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করে, অপপ্রচার করে, মিথ্যাচার করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। শুক্রবার (২৯ মার্চ) আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির উদ্যোগে ইফতার ও ঈদসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ নেত্রী নির্দেশ দিয়েছেন ইফতার পার্টি না করে, সাধারণ মানুষের মাঝে ইফতার বিতরণ করতে। আর বিএনপি বড় বড় হোটেলে ইফতার পার্টির আয়োজন করে। আর সেই ইফতার পার্টিতে তারা আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করে, অপপ্রচার করে, মিথ্যাচার করে।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা বলে দিল্লির শাসন মেনে নেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগ পাকিস্তানে সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। আসলে বিএনপির হৃদয়ে এবং চেতনায় পাকিস্তান। আওয়ামী লীগের চেতনা এবং হৃদয়ে বাংলাদেশ, কোনো বিদেশিদের দাসত্ব নয়।
তিনি বলেন, বিএনপির চারদিকে অন্ধকার, শেখ হাসিনার জনকল্যাণমুখী বিচক্ষণ রাজনীতি বিএনপিকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিয়েছে। বিএনপি নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করেছিল। ব্যর্থ হয়ে এখনো অসংলগ্ন কথা বলছে। আশি ভাগ বিএনপি নেতাকর্মীকে দমন-পীড়ন করা হচ্ছে বলে তারা মিথ্যাচার করছে।
এসময় মির্জা ফখরুলকে মিথ্যাচার করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, তাদের মিথ্যাচারের রাজনীতি কেউ গ্রহণ করছে না বলেই তারা সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে। বিশ্ব সংকটের প্রভাবের পরও শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্বের কারণে অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশের মানুষ এখনো ভালো আছে।
ওবায়দুল কাদের রাজনীতি সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি সভাপতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন