নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:৫৯ এএম, ২৬ অক্টোবর, ২০২০
গতকাল হাজী সেলিমের সংসদ সদস্য স্টিকারযুক্ত গাড়ির সঙ্গে নৌবাহিনীর কর্মকর্তার মোটরসাইকেলের ধাক্কা হয়। এরপর একটি অনভিপ্রেত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরন থেকে জানা যায় রোববার সন্ধায় কলাবাগান ক্রচিং এর কাছে এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার পর গাড়ি থেকে কয়েকজন নেমে ওই নৌ কর্মকর্তাকে মারধর করেন। ওই কর্মকর্তা বারবার তার পরিচয় দেয়ার পরও তাকে মারধর অবহ্যহত রাখে। এরপর পুলিশ সংসদের গাড়ি ও নৌ বাহিনী কর্মকর্তার মটরসাইকেল ধানমন্ডি নিয়ে তাদের মধ্যে সমঝোতার চেষ্টা করা হয়।
একাধিক প্রত্যক্ষর্দী মুঠোফোনে ভিডিও করে। নৌবাহিনীর একজন কর্মকর্তাকে এ ধরনের মারধর করার ঘটনা নজিরবিহীন। এটি সরকারের জন্য বিব্রতকর বলে মনে করছেন সরকারের একাধিক নীতিনির্ধারকরা। যদিও ওই ঘটনার সময় হাজী সেলিম গড়িতে ছিলেন না কিন্তু তার ছেলে সেসময় গাড়িতে ছিলেন বলে জানা গেছে। তার ছেলের নিরাপত্তারক্ষীরা ওই নৌ কর্মকর্তাকে মারধর করেন।
আওয়ামী লীগের একজন শীর্ষ নেতা বলেছেন যদি কোনো অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটে তাহলে সংসদ সদস্যের ছেলে পুলিশের সহায়তা নিতে পারতেন। কিন্তু আইন নিজের হাতে তুলে নেয়া এবং একজন মানুষকে মারধর করা একটি জঘন্য অপরাধ। আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারক মহল এ ব্যাপারে আইনকে নিজেস্ব গতিতে চলার নির্দেশনা দিয়েছেন। যারা নৌবাহিনীর কর্মকর্তার ওপর হামলা করেছে তাদেরকে আইনের আওতায় আনার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। আওয়ামী লীগ মনে করছে করোনার পরিস্থিতিতে নানা সমস্যায় রয়েছে সরকার। এই অবস্থায় একজন নৌবাহিনীর কর্মকর্তার গায়ে হাত তোলা অবিশ্বাস্য এবং দায়িত্বহীন আচরণ।
আওয়ামী লীগের একজন নেতা বলেছেন যে এই ঘটনার পর হাজী সেলিম তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে পারতেন। তার ছেলেকে নিবৃত করতে পারতেন কিন্তু সেখানে তার ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে বলে আওয়ামী লীগের নেতারা বলেছেন। একাধিক সূত্র বলেছে যে আইন নিজের হাতে তুলে নেয়া এবং একজন্য ব্যক্তিকে মারধর করার ঘটনায় হাজী সেলিমের ছেলে ও নিরাপত্তারক্ষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।
মন্তব্য করুন
জামায়াত বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি তারেক জিয়া বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জামায়াতে ইসলামও কী বিএনপিকে ধোঁকা দিল? বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট এই রাজনৈতিক দলটি ঘোষণা করেছে যে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা না দিলেও প্রথম পর্বে যে সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ হয়েছে সেখানে জামায়াতের ২৩ জন সদস্যের নামের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।
আওয়ামী লীগ দলগতভাবে উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট এবং কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন উপজেলায় মন্ত্রী, এমপি বা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের ভাই ব্রাদার বা স্বজনদেরকে প্রার্থী করা যাবে না। যারা ইতিমধ্যে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।