নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:৫৩ এএম, ২৯ অক্টোবর, ২০২০
ইরফান সেলিম সবসময় মাতাল থাকতেন। গত রোববার সন্ধায় কলাবাগান ক্রসিং এলাকায় হাজী সেলিমের সংসদ সদস্য স্টিকারযুক্ত গাড়ির সঙ্গে নৌবাহিনী কর্মকর্তার মোটর সাইকেলের ধাক্কা লাগে। নৌবাহিনীর কর্মকর্তা তার স্ত্রীসহ ওই মটরসাইকেলে যাচ্ছিলেন। এরপর হাজী সেলিমের ছেলে ও তার নিরাপত্তাকর্মী গাড়ি থেকে নেমে ওই কর্মকর্তাকে মারধর করেন। ওই গাড়িটির মালিক হাজী সেলিম হলেও গাড়িটি ব্যবহার করতেন তার পুত্র ইরফান সেলিম।
কলাবাগানের ওই ঘটনার আগেই ইরফান মদ্যপান করেছিলেন এবং মাতাল অবস্থায় ছিলেন। ইরফান সেলিম ও তার সহযোগীদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য বেরিয়ে এসেছে। জিজ্ঞাসাবাদে ইরফান সেলিমের দেহরক্ষী ও গাড়িচালক দুজনেই বলেছেন, ঘটনার আগে মাতাল অবস্থায় ছিলেন ইরফান সেলিম। এছাড়া ইরফান প্রায়ই মাতাল থাকতেন।
র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে ইরফান সেলিম নিজেই শিকার করেছেন ওই ঘটনার দিন তিনি মাতাল ছিলেন। এরপর তিনি বাসায় ফিরে ঘটনার জন্য অনুতপ্ত হয়ে বিষয়টি তার মাকে জানান। মায়ের সঙ্গে কথপোকথনের একপর্যায়ে কথা কাটাকাটি হলে চান সরদার দাদা বাড়িতে বসেই সারারাত মদ্যপান করেন তিনি।
সোমবার র্যাব যখন তার বাসায় অভিযান পরিচালনা করে সেসময় র্যাবের কাছে ইরফান শিকার করেন যে তিনি মাদকাসক্ত ছিলেন এবং মদ্যপ অবস্থায় গাড়িতে ছিলেন, এজন্য তিনি উত্তেজিত ছিলেন। ইরফান সেলিম এটাও শিকার করেন যে তিনি রোববারের ঘটনার পর বাসায় ফিরে সারারাত মদ্যপান করেছেন। এরপর র্যাবের ডোপ টেস্টেও ধরা পড়ে তিনি মাতাল ছিলেন। ইরফান সেলিমের দেহরক্ষীর ও গাড়িচালক জানিয়েছেন, শুধু বাইরের লোকজনকেই নয় মদ্যপ অবস্থায় উত্তেজিত হয়ে গাড়ি চালকদেরও কথায় কথায় মারধর, গালিগালাজ করতেন ইরফান।
উল্লেখ্য, ওই ঘটনায় নৌবাহিনী কর্মকর্তাকে মারধর এবং হত্যার হুমকিতে একটি মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলার পর র্যাব অভিযান পরিচালনা করে। বড় কাটরায় হাজী সেলিমের রাজকীয় ভবন চান সরদার দাদা বাড়ি নামের ওই বাড়িতে র্যাব অভিযান পরিচালনা করে বিপুল পরিমাণ মাদক, ইয়াবা, অস্ত্র এবং পেশাদার ওয়াকিটকি পেয়েছে। এছাড়া চকবাজারে হাজী সেলিমের ব্যবসায়ীক কার্যালয়েও পাওয়া গেছে টর্চার সেল। এখন র্যাবের পক্ষ থেকে বেশ কয়েকটি মামলায় ইরফান রিমান্ডে আছেন।
মন্তব্য করুন
বিএনপি জনপ্রিয় নেতা কর্নেল অলি আহমদ মেজর অবসরপ্রাপ্ত হাফিজ উদ্দিন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ আগাম কাউন্সিল দলীয় কোন্দল
মন্তব্য করুন
এমভি আবদুল্লাহ কবির গ্রুপ সোমালিয়া উপকূল
মন্তব্য করুন
ভারত বিরোধী বিএনপি রুহুল কবির রিজভী
মন্তব্য করুন
বিএনপি নেতারা জিয়াউর রহমানকে নিয়ে যেসব কথা বলে তা শুনলে জিয়াউর
রহমানও কবরে শুয়ে লজ্জা পেয়ে যেতেন বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাজধানীর প্রেসক্লাবে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
এ সময় তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান জীবদ্দশায় কখনো শুনেননি তিনি স্বাধীনতার ঘোষক।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, স্কুল ঘণ্টা যেমন দপ্তরি বাজায়, তেমনি জিয়াউর
রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেছিলেন বঙ্গবন্ধুর পক্ষে। আজকে বিএনপি নেতা আব্দুল মঈন
খান অনেক কথা বলেন। মঈন খানের বাবা আব্দুল মোমেন খান ৭৪ সালে খাদ্য সচিব ছিলেন। তিনি
ষড়যন্ত্র করে মার্কিন খাদ্যবাহী জাহাজ ফেরত পাঠিয়েছিলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান আব্দুল মোমেন খানকে মন্ত্রী
বানিয়েছিল। মঈন খান নিজেও সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছিল, দরকার পড়লে দেশ বিক্রি করে দেব।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান
মাহমুদ বলেন, দেশ সমৃদ্ধির দিকে যখনই এগিয়ে যাচ্ছিল তখনই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়।
বিএনপি জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক বানানোর জন্য যেভাবে দাবি করে জিয়াও সেভাবে
কখনো দাবি করেনি। জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের ছত্রছায়া পাকিস্তানিদের পক্ষে কাজ করেছে।
জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগের অধীনেই মুক্তিযুদ্ধের সময় বেতন ভুক্ত কর্মচারী ছিলেন।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতাদের কথা হাস্যরসের সৃষ্টি করে। বিএনপির নেতা মঈন খানের বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, যার বাবার জন্য এদেশে দুর্ভিক্ষ হয়েছে তার মুখে এসব কথা মানায় না। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর থেকে ইতিহাস বিকৃতি করে বিএনপি নেতারা বিশদকার বিষোদগার করছে কিন্তু এখন সঠিক ইতিহাস জনগনের সামনে আসার পর তাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। বিএনপির ইতিহাস বিকৃতির পাশাপাশি দেশের জনগণকেও বিভ্রান্তি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
বিএনপি ড. হাছান মাহমুদ আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষ হয়েছে। নতুন মন্ত্রিসভা গঠন হয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল কমেনি। কোন্দল ক্রমশ বেড়েই চলেছে। সামনে উপজেলা নির্বাচন, উপজেলা নির্বাচন নিয়ে সারা দেশে এখন আওয়ামী লীগ নানা ভাগ উপভাগে বিভক্ত। শুধুমাত্র সংঘাত হানাহানির উপলক্ষ খুঁজছে পরস্পরবিরোধী আওয়ামী লীগের শিবিরগুলো। এরকম বাস্তবতার দলের সঙ্কট নিরসনে এবং অভ্যন্তরীণ কোন্দল দূর করার জন্য আওয়ামী লীগ আগাম কাউন্সিল অধিবেশনে যেতে পারে বলে বিভিন্ন সূত্র ইঙ্গিত দিচ্ছে।