নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:২৬ এএম, ২৭ নভেম্বর, ২০২০
দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপির বর্তমান কার্মকাণ্ড নিয়ে খুশি হতে পারছেন না লন্ডনে থাকা তারেক জিয়া। এতে তিনি বিএনপির একটি অংশের নেতাদের দায়ী করছেন। বিশেষ করে উপ-নির্বাচনগুলোতে বিএনপির প্রার্থীদের ভরাডুবির বিষয়ে তারেক রহমানের প্রশ্নের কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি দায়িত্বশীল নেতারা। এই অবস্থায় বিষয়টি নিয়ে দলীয় ফোরামে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
বিএনটির কয়েকজন সিনিয়র নেতা বলেছেন, এমনিতেই আমাদের দল অনেকদিন ক্ষমতার বাইরে অন্যদিকে সাংগঠনিক দুর্বলাতা এবং দলীয় কোন্দালের কারণে কোনো কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না। এই অবস্থায় লন্ডনে অবস্থানরত তারেক জিয়া দুর থেকে যে নির্দেশনা দিচ্ছেন সেটা বাস্তবায়ন করাটা অনেক কঠিন হয়ে পড়ছে। এই অবস্থায় দলের একটি অংশ রাজনৈতিক চাপ এবং ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান টিকিয়ে রাখার জন্য সরকারের সাথে সমঝোতা করছে। ফলে যেসব নেতারা দলের জন্য সক্রিয় কাজ করছেন তাদের একটি অংশের পক্ষে বড় ধরনের কর্মসূচি বাস্তবায়ন করাটা দুরূহ বহয়ে পড়েছে।
বিএনপির বর্তমান অবস্থান নিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বিএনপি সাথে জামায়াতের রাজনৈতিক সম্পৃক্ততার কারণে বহির্বিশ্বের সর্থন পাওয়া যাচ্ছে না। এই অবস্থায় দলের একটি অংশ জামায়াতের সাথে রাজনৈতি সম্পর্ক ছিন্ন করার পক্ষে থাকলেও একটি অংশ জামায়াতের সঙ্গে চলো নীতিতে আগাচ্ছে। এতে করে জামায়াতের কালিমা বিএনপির কাঁধে ভর করার কারণে সরকারবিরোধী আন্দোলনের ডাক দিলেও সাধারণ মানুষ অংশগ্রহণ করছে না। অন্যদিকে জামায়াতের সম্পৃক্ততার অযুহাতে জ্বালাও পোড়াও আন্দোলনের তকমা দিয়ে বিএনপিকে কঠোর হস্তে দমন করছে সরকার। ফলে দলটি এখন কোন দিকে, কোন নীতি নিয়ে আগাবে সেই বিষয়টা নিয়েও ধোয়াশা রয়েছে বলে জানান বিশ্লেষকরা।
মন্তব্য করুন
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি সভাপতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বেগম খালেদা জিয়া শামীম ইস্কান্দার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার জন্য নতুন করে তৎপরতা শুরু করেছে তার পরিবারের সদস্যরা। বিশেষ করে বেগম জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার ইতোমধ্যে বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার জন্য সরকারের বিভিন্ন মহলের সঙ্গে নতুন করে যোগাযোগ শুরু করেছেন। বেগম জিয়া আর ভবিষ্যতে রাজনীতি করবেন না, রাজনীতি থেকে অবসর নেবেন এ রকম একটি বক্তব্য সামনে নিয়ে আসছেন শামীম ইস্কান্দার।
আওয়ামী লীগের তৃণমূল ক্রমশ ভেঙ্গে পড়ছে। বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগের তৃণমূল সংগঠিত করা এবং বিভেদ-বিভক্তির দূর করার জন্য যে ডাক দেওয়া হয়েছিল তারপর একটু পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছিল বলে বটে। কিন্তু এখন আবার উপজেলা নির্বাচনের প্রাক্কালে সারাদেশে তৃণমূল বিভক্ত হয়ে পড়েছে। আওয়ামী লীগের তৃণমূলকে সামাল দেওয়াই এখন কঠিন হয়ে পড়ছে। একদিকে নির্বাচন কেন্দ্রীক বিরোধ অন্যদিকে দলের চেইন অব কমান্ড ভেঙ্গে যাওয়া আর কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তদারকির অভাবে তৃণমূলের আওয়ামী লীগ এখন সবচেয়ে সঙ্কটের মুখে পড়েছেন বলেই মনে করছেন আওয়ামী লীগের নেতারাই।