নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৫৯ এএম, ০৫ ডিসেম্বর, ২০২০
সাম্প্রতিক সময়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য বিতর্কে রাজনৈতিক মহল কিছুটা উত্তপ্ত। এই অবস্থায় বিভিন্ন মহলে আলোচনা হচ্ছে বিএনপি কি আন্দোলনে যাচ্ছে? যেহেতু বিষয়টি নিয়ে বিএনপি এখনও তাদের দলীয় অবস্থান পরিষ্কার করেনি ফলে আলোচনা হওয়াটাই স্বাভাবিক। কোউ কেউ বলছেন বিএনিপি-জামায়াত জেফাজতের ওপর ভড় করেছে। আবার কেউ বলছেন, এই ইস্যুটা বিএনপির নেতাকর্মীদেরকে সংগঠিত করার একটা সুযোগ হতে পারে। কিন্তু এই ইস্যু নিয়ে বিএনপি মাঠে নামবে কি না তা নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না বিএনপি সংশ্লিষ্টরা। যেহেতু লন্ডন থেকে সব নির্ধারণ হয় কাজেই সেখান থেকেই নির্দেশনা আসবে।
বিএনিপর আগের আন্দোলনগুলো ছিলো দলীয় ইস্যু নিয়ে কিন্তু ভাস্কর্য ইস্যুটা যেহেতু হেফাজতের মাধ্যমে একটা ধর্মীয় রুপ দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে সেহেতু বিএনপির এখন মাঠে নামা উচিত বলে মনে করছেন একটি অংশের নেতারা। আর এ লক্ষে লন্ডনে অবস্থানরত তারেক জিয়া বিষয়টি নিয়ে দলের বেশ কয়েকজন সিনিয়র নেতার সাথে কথা বলেছেন। কিন্তু বিএনপির নেতারা তারেক জিয়াকে জানিয়েছেন তাদের যে ধরনের সাংগঠনিক সক্ষমতা আছে তা দিয়ে বড় কোনো আন্দোলন করা সম্ভব হবে না।
এই অবস্থায় বিএনপি চাইছে হেফাজত এবং কিছু ধর্মীয় মৌলবাদী গোষ্ঠিকে যদি উষ্কে দেয়া যায় তাহলে হয়তো সরকার কিছুটা বেকায়দায় পড়বে। আর সে লক্ষেই বিএনপি-জামায়াত এবং কিছু ধর্মীয় মৌলবাদী গোষ্ঠী একত্রিত হওয়ার চেষ্টা করছে। কিন্তু সরকারের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো আগে ভাগেই খবর পেয়ে শুক্রবার এবং শনিবার সব ধরনের সভা সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলো। আর গোয়েন্দাদের এই ধারণা সঠিক হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর বায়তুল মোকাররমের সামনে থেকে ভাস্কর্যবিরোধী মিছিল বের করা হয়েছিলো কিন্তু পুলিশের শক্ত অবস্থানের কারণে সহিংষতা এড়ানো গেছে। যদিও এই নিষেধাজ্ঞার বিরোধিতা করেছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এতে করে অন্যের ঘাড়ে বসে এই ইস্যুকে উষ্কে দেয়ার চিন্তুা আপাতত হালে পানি পাচ্ছে না বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
এ আগেও বিএনপি চেষ্টা করেছিলো সরকার বিরোধী বড় ধরনের আন্দোলন করতে। কিন্তু অতীতে বিচ্ছিন্ন কিছু আন্দোলন হলেও সেখানে সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ না থাকা এবং দলীয় নেতাকর্মীদের অংশগ্রহণ না থাকার কারণে সেই আন্দোলন জোড়ালো হয়নি। বিএনপির আন্দোলনের সাথে জামায়ত যুক্ত হয়ে জ্বালাও পোড়াও করে মানুষের মধ্যে এক ধরনের আতঙ্ক তৈরি করেছিলো। এজন্য বিএনপি যে আন্দোলনেই যাক সেখানে সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ নেই বললেই চলে। ফলে ভঙ্গুর সাংগঠনিক কাঠামো নিয়ে আবার হয়তো দলটিকে কোনো সুযোগের জন্য অপেক্ষা করতে হবে এমটাই বলছেন রাজনৈতি বিশ্লেষকরা।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন রাজনীতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক
পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনদের
মধ্যে যারা প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেনি তাদের বিষয়ে সময়মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দলীয়
নির্দেশনা অমান্য করলে ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশনের ব্যাপারে চিন্তা করা হবে। সময়মতো অবশ্যই
এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
আজ বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে ধানমন্ডিতে
আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, পার্টির যারা মন্ত্রী-এমপি
এমন পর্যায়ে আছেন তাদের জন্য নির্দেশনা রয়েছে, তাদের সন্তান ও স্বজনরা যেন উপজেলা নির্বাচনে
না আসে। প্রথম পর্যায়ের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় চলে গেছে। কেউ কেউ বলেছেন আমরা
বিষয়টি আরও আগে অবহিত হলে সিদ্ধান্ত নিতে আমাদের সুবিধা হতো। তারপরেও কেউ কেউ প্রত্যাহার
করেছেন, কেউ কেউ করেননি। আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচন কমিশনের যে সময়সীমা তারপরেও ইচ্ছা
করলে করতে পারবেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন,
‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও দলীয় সিদ্ধান্ত যারা অমান্য করেছে তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা
নেওয়া হয়েছে। উপজেলা নির্বাচনেও কিন্তু দলের সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয় আছে। দল যার যার
কর্মকাণ্ড বিচার করবে। চূড়ান্ত পর্যায় পর্যন্ত যারা প্রত্যাহার করবে না সময়মতো দল ব্যবস্থা
নেবে’।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি একতরফা কোনো
সমাবেশ করতে গেলে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিষয়টি এসে যায়। আওয়ামী লীগও একই সময়ে সমাবেশের
ডাক দেয়। তবে এটা পাল্টাপাল্টি নয়।
ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক
কার্যালয়ে হওয়া উক্ত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি
এম মোজাম্মেল হক, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, সুজিত
রায় নন্দী, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক
আমিনুল ইসলাম আমিন প্রমুখ।
মন্ত্রী-এমপি প্রার্থিতা প্রত্যাহার ওবায়দুল কাদের
মন্তব্য করুন
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজনদের আসন্ন উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দেয়া হলেও সরে দাঁড়াননি অনেকে। এই নির্দেশনা দেয়ার পর প্রতিদিন দলের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুল কাদের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। ব্যক্তিগত ভাবেও তিনি একাধিক এমপির সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা দলীয় নির্দেশনা অমান্য করেছেন। বিষয় বেশ অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে। গতকাল এ নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে কথা বাহাস চলে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানের।
দলীয় সিদ্ধান্ত মানেননি তৃণমূল আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী। প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কঠোর নির্দেশনার পরও নির্বাচনি মাঠ থেকে সরেননি স্থানীয় এমপি-মন্ত্রীর পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা। সোমবার প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনেও তারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। উল্টো নানা যুক্তি দেখিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগের ভিতরও এক ধরনের অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে। বিশেষ করে দলের দুজন প্রেসিডিয়াম সদস্যের ভূমিকা নিয়েও কেন্দ্রের মধ্যে অস্বস্তি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কঠোর নির্দেশ দেয়ার পরও কেন মনোনয়ন প্রত্যাহার করা হলো না এই নিয়ে দলের মধ্যে চলছে নানা রকম আলাপ-আলোচনা।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনদের মধ্যে যারা প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেনি তাদের বিষয়ে সময়মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দলীয় নির্দেশনা অমান্য করলে ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশনের ব্যাপারে চিন্তা করা হবে। সময়মতো অবশ্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।