নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৫৮ পিএম, ১১ জানুয়ারী, ২০২১
১/১১ সবচেয়ে বেশী বদলে দিয়েছে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে। ওয়ান-ইলেভেনের মাধ্যমে শেখ হাসিনার রাজনৈতিক পুনর্জন্ম হয়েছে বলে অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করে। ওয়ান ইলেভেনের আগে এবং পরের শেখ হাসিনার মধ্যে পার্থক্য অনেক। পরিণত একজন রাজনীতিবীদ হিসেবে জনগনের ক্ষমতায় এবং বিপুল জনপ্রিয়তায় ক্ষমতাবান হয়েছেন। ১/১১ পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনীতিতে সবচেয়ে ক্ষমতাবান ব্যক্তিত্ব হলেন শেখ হাসিনা। কিভাবে তিনি ক্ষমতাবান হলেন:
১. তৃনমূলের শক্তি: ওয়ান-ইলেভেনের পর শেখ হাসিনার শক্তির সবচেয়ে বড় উৎস হলো তৃনমূল। কঠিন সময়ে এই তৃনমূলই তার পক্ষে শর্তহীন ভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল। তৃনমূলের এই শক্তিকে বিকশিত করে শেখ হাসিনা দলে নিরঙ্কুশ কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করেন।
২. হেভীওয়েটদের ভুল রাজনীতি: ওয়ান ইলেভেনের সময় হেভীওয়েটদের ভুল রাজনীতি প্রকারান্তে দলে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাবান করে। তারা তাদের অবস্থান হারিয়ে ফেলেন।
৩. আদর্শবাদী এবং নির্ভীকতার প্রতীক: সংকটে বিশেষ করে গ্রেপ্তার হবার পর যেভাবে তিনি আদর্শ ও নীতির প্রশ্নে অনঢ় ছিলেন, তা সর্ব মহলে ব্যাপক প্রশংসিত হয়। বিশেষ করে ক্ষমতা কেন্দ্রের চারপাশের ক্রিয়াশীল শক্তিগুলো তার প্রতি আস্থাশীল হয়।
৪. সব কিছু নিজের তদারকিতে করা: ১/১১র পর শেখ হাসিনা জাতীয়, আন্তর্জাতিক সম্পর্কসহ সব বিষয়ে নিজস্ব তদারকি নিশ্চিত করেন। শেষ পর্যন্ত দায় দায়িত্ব যেহেতু তার, তাই কোন বিষয়ে অন্য নেতার উপর ছেড়ে দেয়ার পদ্ধতি পাল্টে ফেলেন। যার ফলে, সব কিছু তার নিয়ন্ত্রনে। সব ব্যাপারেই তিনি জানেন। এর ফলে, সব কিছুই তার কর্তৃত্বে আসে।
৫. দলের বাইরে সম্পর্ক: ওয়ান ইলেভেনের পর থেকেই শেখ হাসিনা দলের বাইরে সামরিক, বেসামরিক প্রশাসন, আইন-শৃংখলা রক্ষাবাহিনী সহ রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্রিয়াশীল প্রতিষ্ঠানের সংগে সম্পর্ক তৈরী করেন। এটা তাকে তথ্য প্রাপ্তিতে এবং তার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে সহায়তা করেছে।
এভাবেই ১/১১ পরবর্তী রাজনীতিতে সবচেয়ে ক্ষমতাবান হয়ে উঠেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনের সময় আওয়ামী লীগের সব রকম কমিটি গঠন ও সম্মেলন বন্ধ থাকবে।
শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক বিফ্রিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের উপজেলা পর্যায়ে নির্বাচন হচ্ছে। সামনে প্রথম পর্যায়ের নির্বাচন হবে। এই নির্বাচন চলাকালে উপজেলা বা জেলা পর্যায়ে কোনো সম্মেলন, মেয়াদোত্তীর্ণ সম্মেলন, কমিটি গঠন এই প্রক্রিয়া বন্ধ থাকবে’।
মন্ত্রী-এমপির নিকটাত্মীয়দের উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, নিকটজনদেরকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে হবে। যারা ভবিষ্যতে করতে চায় তাদেরও নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে দূরে থাকতে বলা হয়েছে। যারা আছে তাদের তালিকা তৈরি করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।
নির্দেশনা দেওয়া হলেও অনেকেই এখনো নির্বাচনে আছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রত্যাহারের তারিখ শেষ হোক, তার আগে এ বিষয়ে কীভাবে বলা যাবে।
ওবায়দুল কাদের উপজেলা নির্বাচন সেতুমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
জামায়াত বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি তারেক জিয়া বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
জামায়াতে ইসলামও কী বিএনপিকে ধোঁকা দিল? বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট এই রাজনৈতিক দলটি ঘোষণা করেছে যে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা না দিলেও প্রথম পর্বে যে সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ হয়েছে সেখানে জামায়াতের ২৩ জন সদস্যের নামের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।