নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:৫৮ পিএম, ১২ জানুয়ারী, ২০২১
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের বর্তমান মেয়র ব্যরিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এবং সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনের দ্বন্দ্বে বিব্রত এবং বিরক্ত আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড। আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃত্ব এই ঘটনাকে আর বাড়তে দিতে চান না। এজন্য দুপক্ষকে সহিষ্ণু এবং সংযত আচরন করার বার্তা দেয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের খুব শিগগীরই এই দুই নেতাকে নিয়ে বসতে পারে বলেও জানা গেছে। আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সাম্প্রতিক সময়ে তাপস এবং সাঈদ খোকনের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্য রূপ নিয়েছে। শুধু প্রকাশ্য নয়, দুই নেতার বিরোধ আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। সাঈদ খোকন, তাপসের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উত্থাপন করে, তার মেয়র পদে থাকার অধিকার নেই বলে মন্তব্য করেছেন। তাপস খোকনের বক্তব্যকে মানহানিকর বলে, তার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। খোকন ‘রাজপথে’ এই মামলা মোকাবেলার ঘোষণা দিয়েছেন।
আওয়ামী লীগের একজন প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেছেন ‘আমরা বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছি। দুজনের প্রকাশ্য কাঁদা ছোড়াছুড়ি কোন সুস্থ রাজনৈতিক চর্চা নয়। এটা দলের জন্য ক্ষতিকর। বিষয়টি নীতিনির্ধারকদের গোচরে এসেছে।’ আওয়ামী লীগের একজন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেছেন ‘এটা শিষ্টাচার বর্হিভূত এবং বাজে দৃষ্টান্ত। এটা দলের মধ্যে অস্বস্তি তৈরী করবে।’ সংশ্লিষ্ট সূত্র গুলো বলছে, আওয়ামী লীগ সভাপতিও বিষয়টি নিয়ে বিরক্ত। তিনি দলের সাধারণ সম্পদক ওবায়দুল কাদেরকে বিষয়টি দেখার নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা গেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র গুলো বলছে, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, বিষয়টি নিয়ে দুই নেতার সংগে কথা বলতে পারেন। তবে, কখন, কোথায় এই দুই নেতাকে নিয়ে কাদের বসবেন, তা নিশ্চিত নয়। আওয়ামী লীগের একটি সূত্র বলছে, কাদের ইতিমধ্যেই টেলিফোনে দুজনের সংগেই কথা বলেছেন। দুজনের অভিযোগ এবং অনুযোগ গুলো শুনেছেন। এনিয়ে প্রকাশ্যে বিতর্কে না জড়াতে দুই নেতাকেই পরামর্শ দিয়েছেন। এখন দুজনের মধ্যে সমস্যা সমাধানের একটি ফর্মূলা নিয়ে কাজ চলছে বলেও জানা গেছে। সূত্র মতে, সাঈদ খোকন তার বক্তব্য প্রত্যাহার করবেন এবং তাপস খোকনের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহার করে নেবেন। দুজন দুজনকে আক্রমন করে কোন বক্তৃতা বিবৃতি দেবেন না। তবে, এই সমঝোতার ক্ষেত্রে বড় বাধা ফুলবাড়িয়ার দোকান উচ্ছেদ। সমঝোতার শর্ত হিসেবে খোকন ঐ দোকান উচ্ছেদ বন্ধ চান। তার দাবী অনুযায়ী, বৈধ ভাবে ঐ দোকান বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। তবে, এব্যাপারে অনঢ় তাপস। তিনি মনে করেন, বেআইনী কাজকে প্রশ্রয় দেয়াটা হবে আরেক অন্যায়।
মন্তব্য করুন
জামায়াত বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি তারেক জিয়া বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জামায়াতে ইসলামও কী বিএনপিকে ধোঁকা দিল? বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট এই রাজনৈতিক দলটি ঘোষণা করেছে যে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা না দিলেও প্রথম পর্বে যে সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ হয়েছে সেখানে জামায়াতের ২৩ জন সদস্যের নামের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।
আওয়ামী লীগ দলগতভাবে উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট এবং কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন উপজেলায় মন্ত্রী, এমপি বা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের ভাই ব্রাদার বা স্বজনদেরকে প্রার্থী করা যাবে না। যারা ইতিমধ্যে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।