নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ১২ জানুয়ারী, ২০২১
সারা দেশে এখন পৌরসভা নির্বাচন চলছে। এই নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থীরা অসহায় আত্মসমর্পন করছেন। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বাকী আরো ৩ বছর। এরমধ্যেই বিএনপিতে নির্বাচনী আমেজ সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় সাম্ভাব্য ৩ জন প্রার্থী বাছাই করার প্রক্রিয়া শুরুর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া, প্রতিটি জেলার সংগে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে এই নির্দেশ দিয়েছেন। স্থানীয় বিএনপির নেতৃবৃন্দ বলেছেন, আগামী মার্চের মধ্যে এই তালিকা চুড়ান্ত করে তারেক জিয়ার কাছে পাঠাতে হবে। অবশ্য বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সহ দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যরা এব্যাপারে কিছুই জানেন না। বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য বলেছেন ‘এই মাত্র এরকম একটি তথ্য জানলাম।’
গত ১৫ ডিসেম্বর থেকে তারেক জিয়া, প্রতিটি জেলার সংগে যুক্ত হন। তিনি এখন থেকেই ২০২৩ এর নির্বাচনের জন্য নেতাকর্মীদের প্রস্তুত হতে বলেন। বরিশালের একজন নেতা বলেছেন ‘আগামী সংসদ নির্বাচনে বিএনপির সংসদ সদস্য প্রার্থী মনোনয়ন দেবে স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। ভাইয়া (তারেক জিয়া) এরকম নির্দেশনা দিয়েছে।’ ঐ নেতা জানান ‘ জেলা কমিটির ১০ জন, অংগ এবং সহযোগী সংগঠনের ১০ জন মোট ২০ জনকে দিয়ে স্থানীয় মনোনয়ন বোর্ড গঠন করা হয়েছে। প্রথম এই ২০ জনকে নির্বাচন করা হবে। এদের নির্বাচন করবে জেলা উপজেলা কমিটি, জেলা ও উপজেলার অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন সমূহ। তার মতে ‘এই ২০ জনের নামের তালিকা তারেক জিয়াকে পাঠানো হবে। তিনি অনুমোদন দিলে ঐ কমিটি তার জেলায় প্রতিটি নির্বাচনী আসনের জন্য ৩ জন সাম্ভাব্য প্রার্থীর নাম প্রস্তাব করবে। এরা এখন থেকেই নির্বাচনী প্রচারনার কাজ করবে।’ ঐ নেতা এটাও বলেন যে, যে সব জেলা এবং উপজেলায় কমিটি নেই, সেখানে কমিটি গঠন করা হবে।’
তবে, বিএনপির একাধিক নেতা এধরনের উদ্যোগের তীব্র বিরোধিতা করেছেন। বিএনপির একজন স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেছেন ‘এটা গঠনতন্ত্র বিরোধি, বিএনপির গঠন তন্ত্র অনুযায়ী, দলীয় মনোনয়ন দেয়ার এখতিয়ার একমাত্র মনোনয়ন বোর্ডের।’ স্থানীয় পর্যায়ের বিএনপি নেতৃবৃন্দ এই উদ্যোগকে স্বাগত: জানিয়েছেন। তারা বলেছেন ‘এর ফলে বিএনপিতে মনোনয়ন বানিজ্য বন্ধ হবে। একজন প্রার্থী-দীর্ঘদিন ভোটারদের সংগে কাজ করতে পারবেন। তাকে ঘিরে সংগঠন শক্তিশালী হবে।
মন্তব্য করুন
জামায়াত বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি তারেক জিয়া বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জামায়াতে ইসলামও কী বিএনপিকে ধোঁকা দিল? বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট এই রাজনৈতিক দলটি ঘোষণা করেছে যে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা না দিলেও প্রথম পর্বে যে সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ হয়েছে সেখানে জামায়াতের ২৩ জন সদস্যের নামের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।
আওয়ামী লীগ দলগতভাবে উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট এবং কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন উপজেলায় মন্ত্রী, এমপি বা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের ভাই ব্রাদার বা স্বজনদেরকে প্রার্থী করা যাবে না। যারা ইতিমধ্যে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।