নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৫৮ পিএম, ১২ জানুয়ারী, ২০২১
বিএনপির পক্ষ থেকে সম্প্রতি বলা হয়েছে, বেগম জিয়ার শারিরীক অবস্থার অবনতি ঘটেছে। তার উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন। বেগম জিয়ার পারিবারিক সূত্রেও বলা হয়েছে, তার শারিরীক অবস্থা অবনতিশীল। বেগম জিয়ার পরিবারে একজন সদস্য বলেছেন, ‘স্বাস্থ্য সংকট ছাড়াও বেগম জিয়া এখন নানা রকম সংশয় এবং সংকটে রয়েছেন।’ বেগম জিয়ার পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলে বেগম জিয়ার যে সমস্যা ও সংকটে রয়েছেন, তার চিত্র পাওয়া গেছে;
১. অসুস্থতা বাড়ছে: গত কিছু দিন ধরেই, বিশেষ করে শীতের শুরু থেকেই বেগম জিয়ার অসুস্থতা বেড়েছে। বিশেষ করে তার ব্যথা এবং ডায়বেটিকস এর মাত্রা অনিয়ন্ত্রিত।
২. চিকিৎসকদের উপর আস্থা রাখতে পারছেন না: গত ২৫ মার্চ কারাগার থেকে বেরুনোর পর, বিএনপি পন্থী কিছু চিকিৎসক বেগম খালেদা জিয়ার দেখভাল করছেন। কিন্তু বেগম জিয়ার পরিবার সূত্রে বলা হয়েছে, এই চিকিৎসকদের উপর আস্থা রাখতে পারছেন না বেগম জিয়া। চিকিৎসকরাই কনফিউজড।
৩. দল নিয়ে হতাশা: জেল থেকে বেরুনোর পরও দলের উপর নিয়ন্ত্রন নেই বেগম জিয়ার। দলের পুরো কর্তৃত্ব তারেক জিয়ার হাতে। দলের বিভিন্ন কর্মকান্ডে তার হতাশা বাড়ছে। বেগম জিয়ার পরিবারের সদস্যরা বলছেন, দলের কর্মকান্ড তাকে মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত করছে।
৪. পুত্রের জন্য উদ্বেগ: বেগম জিয়া তার পুত্রের উপর সব নিয়ন্ত্রন হারিয়েছেন। পুত্রই এখন দল চালাচ্ছে। কিন্তু পুত্রের একের পর ভুল সিদ্ধান্তে বেগম জিয়া উদ্বিগ্ন। এর ফলে কেবল দল নয়, তারেক নিজেও ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে বলে মনে করেন বেগম জিয়া। দলের ভেতর এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে তারেকের অবস্থান তলানীতে। পুত্রের ভবিষ্যত নিয়ে উদ্বিগ্ন খালেদা।
৫. সম্পদের ভবিষ্যৎ: নামে বেনামে প্রচুর সম্পদের মালিক বেগম জিয়া, এখন তার যে অবস্থা তাতে তার অবর্তমানে তার সম্পদ গুলোর কি হবে এটা প্রায়ই তাকে ভাবিত করে। এমন অনেক সম্পদ আছে, যে গুলোর খবর তিনি ছাড়া কেউ জানে না। এই সম্পদ গুলো তিনি তার তিন নাতনীকে দিয়ে যেতে চান। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশের বাইরে যাওয়াও তার জন্য অসম্ভব।
আর এই সব দু:শ্চিন্তা তাকে মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত করে তুলেছে। এরফলে তার অসুস্থতাও বাড়ছে বলে মনে করেন তার পরিবারের সদস্যরা।
মন্তব্য করুন
বিএনপি গণ বহিষ্কার উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন রাজনীতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে দলের যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আগেই ঘোষণা করেছিল বিএনপি। এবার সেই ঘোষণার বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। দলের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, গত জাতীয় নির্বাচনের মতো এবারও উপজেলা নির্বাচনও যে একতরফা নির্বাচন, তা বিশ্ববাসীকে দেখাতে চায় দলটি। এমন ভাবনা থেকে ইতোমধ্যে যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তাদের প্রত্যাহার করতে হবে বলে দলের তৃণমূলকে বার্তা দিয়েছে বিএনপি। তবে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজনদের আসন্ন উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দেয়া হলেও সরে দাঁড়াননি অনেকে। এই নির্দেশনা দেয়ার পর প্রতিদিন দলের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুল কাদের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। ব্যক্তিগত ভাবেও তিনি একাধিক এমপির সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা দলীয় নির্দেশনা অমান্য করেছেন। বিষয় বেশ অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে। গতকাল এ নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে কথা বাহাস চলে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানের।
দলীয় সিদ্ধান্ত মানেননি তৃণমূল আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী। প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কঠোর নির্দেশনার পরও নির্বাচনি মাঠ থেকে সরেননি স্থানীয় এমপি-মন্ত্রীর পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা। সোমবার প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনেও তারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। উল্টো নানা যুক্তি দেখিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগের ভিতরও এক ধরনের অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে। বিশেষ করে দলের দুজন প্রেসিডিয়াম সদস্যের ভূমিকা নিয়েও কেন্দ্রের মধ্যে অস্বস্তি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কঠোর নির্দেশ দেয়ার পরও কেন মনোনয়ন প্রত্যাহার করা হলো না এই নিয়ে দলের মধ্যে চলছে নানা রকম আলাপ-আলোচনা।