নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:৪৮ পিএম, ১৮ জানুয়ারী, ২০২১
সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই আবদুল কাদের মির্জার উদ্দেশ্যে ফরিদপুর ৪ আসনের নিক্সন চৌধুরী বলেছেন, ‘পাগলারেও আমি চিনি না, জীবনে দেহি নাই, জীবনে যাই নাই নোয়াখালী। আরে মিয়া নেতা হইতে চান? পরিচিতি চান? পাগলামি কইরা নেতা হওয়া যায় না। আপনাকে প্রমাণ করতে হবে পাগলা আমি আপনারে কিছু কইছি কিনা? সরকারের উচিত এই সব পাগল যথাশীঘ্রই পাবনায় পাঠানো। না হলে গণধোলাই এমন খাবে যে চেহারা চেনা যাবে না।’
ফরিদপুরের ভাঙ্গা পৌরসভার চৌধুরীকান্দা সরদরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে গতকাল রোববার বিকেলে আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে নিক্সন চৌধুরী এই মন্তব্য করেন।
এর আগে ১৩ জানুয়ারি এক নির্বাচনী সভায় কাদের মির্জা সাংসদ নিক্সনকে জড়িয়ে একটি বক্তব্য দেন, যা পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়।
ওই বক্তব্যে মির্জা কাদের অভিযোগ করেন, সাংসদ নিক্সন তাঁকে চুনোপুঁটি হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। এর জবাবে মির্জা কাদের বলেন, ‘নিক্সন চৌধুরী সাহেব আপনি বলেছেন চুনোপুঁটিদের কথা কে শোনে। নিক্সনকে জিগাই আপনার বয়স কত। আমার রাজনৈতিক বয়স আপনার বয়সের চেয়ে বেশি। আপনি ত্যাগী নেতা কাজী জাফরউল্ল্যাহকে হারাইয়া নির্বাচিত হয়েছেন ভোট চুরি করে।’
গতকালের সংবর্ধনা সভায় সাংসদ নিক্সন চৌধুরী উপস্থিত জনতার উদ্দেশে বলেন, ‘আর একটা কথা কইতে মন চাইতেছে। না কইয়া পারি না। আগে দুই-একটা ভাঙ্গার পাগল আমারে নিয়া কথা কইত। আমি এত বড় নেতাই হইছি এখন ভিনদেশি পাগল আমার উপর খ্যাপছে। তারে আমি কিছু কইছি? তারে আমি চিনি? জীবনে নাম শুনছি? সে কয় আমি ভোট ডাকাতি কইরা এমপি হইছি। পাগলা স্বপ্নে না দেখলে এমন কথা কইতে পারে না।’ গত সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তাঁর এলাকায় হয়েছে, মন্তব্য করে নিক্সন বলেন, ‘আমি কি ভোট ডাকাতি করেছি। বাংলাদেশে নির্বাচন হইলে একটাই নির্বাচন হয়েছে ভাঙ্গাসহ এই তিন উপজেলায়।’
বড় পাগল ঠিক করতে অনেকবার ওষুধ দিছে এ এলাকার জনগণ। আর আপনার মতো ছোট পাগল ঠিক করতে আমার চরভদ্রাসন উপজেলার লোকই যথেষ্ট।
নিক্সন চৌধুরী ফরিদপুর-৪ আসনের সাবেক সাংসদ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্ল্যাহর প্রতি ইঙ্গিত দিয়ে বলেন, ‘ওই রকম একটি প্লেয়ার ভাঙ্গাতেও ছিল। তার রাজনীতির বয়স আমার থেকে বেশি। এখন তাকে খুঁইজা পাওয়া যাচ্ছে না। আর আপনারেও খুঁইজা পাওয়া যাবে না। আমি কোনো দিন তাঁরে চিনতাম না। একদিন মোবাইল খুইলা দেখি পাগলা আমারে গালি দিচ্ছে। পাগলা মনে হয় আমার চাচার (কাজী জাফরউল্ল্যাহ) কাছ থেকে মাল খাইছে।’
সাংসদ বলেন, ‘আমারে চ্যালেঞ্জ জানাবেন না, পাগল হন আর ছাগল হন। আমরা খেলতে জানি, আমরা ভাইসা আসি নাই। পাগলামি অন্য জায়গায় গিয়া করেন। বড় পাগল ঠিক করতে অনেকবার ওষুধ দিছে এ এলাকার জনগণ। আর আপনার মতো ছোট পাগল ঠিক করতে আমার চরভদ্রাসন উপজেলার লোকই যথেষ্ট।’
ভাঙ্গা পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. বাকী মাতুব্বরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সংবর্ধনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির অর্থবিষয়ক সম্পাদক ও ভাঙ্গা উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান সাহাদাত হোসেন, ভাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফাইজুর রহমান, ভাঙ্গা বাজার বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর মুন্সী প্রমুখ।
উল্লেখ্য, ৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত বসুরহাট পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে জয়ী হয়েছেন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই আবদুল কাদের মির্জা ।
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনের সময় আওয়ামী লীগের সব রকম কমিটি গঠন ও সম্মেলন বন্ধ থাকবে।
শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক বিফ্রিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের উপজেলা পর্যায়ে নির্বাচন হচ্ছে। সামনে প্রথম পর্যায়ের নির্বাচন হবে। এই নির্বাচন চলাকালে উপজেলা বা জেলা পর্যায়ে কোনো সম্মেলন, মেয়াদোত্তীর্ণ সম্মেলন, কমিটি গঠন এই প্রক্রিয়া বন্ধ থাকবে’।
মন্ত্রী-এমপির নিকটাত্মীয়দের উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, নিকটজনদেরকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে হবে। যারা ভবিষ্যতে করতে চায় তাদেরও নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে দূরে থাকতে বলা হয়েছে। যারা আছে তাদের তালিকা তৈরি করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।
নির্দেশনা দেওয়া হলেও অনেকেই এখনো নির্বাচনে আছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রত্যাহারের তারিখ শেষ হোক, তার আগে এ বিষয়ে কীভাবে বলা যাবে।
ওবায়দুল কাদের উপজেলা নির্বাচন সেতুমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
জামায়াত বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি তারেক জিয়া বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
জামায়াতে ইসলামও কী বিএনপিকে ধোঁকা দিল? বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট এই রাজনৈতিক দলটি ঘোষণা করেছে যে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা না দিলেও প্রথম পর্বে যে সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ হয়েছে সেখানে জামায়াতের ২৩ জন সদস্যের নামের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।