নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:৫৯ পিএম, ১৮ জানুয়ারী, ২০২১
মূলধারার রাজনীতিতে ফিরতে মরিয়া যুদ্ধাপরাধীদের দল জামাতে ইসলামী। আর এজন্য তারা কিছু লবিষ্ট নিযুক্ত করেছে। এই লবিষ্টদের মূল কাজ হলো জামাতকে পুন:বার্সিত করা। জামাতের তত্বাবধানে একটি প্লাটফরমের পৃষ্ঠপোষকতা করা এবং জামাতের রাজনীতির পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করা। আর এই প্রক্রিয়ার প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে জামাতের উদ্যোগে, কল্যাণপার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব:) সৈয়দ ইব্রাহিমের আহবানে এক দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে। একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, জামাতের প্রায় সব লবিষ্টই এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। সরকার বিরোধী বক্তব্যের আড়ালে এরা মূলত: জামাতকে বৈধতা দেবার নানা যুক্তি উপস্থাপন করেন। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, জামাত এমন সব ব্যক্তিকে ভাড়াটে হিসেবে বেছে নিয়েছে, যারা মুক্তিযোদ্ধা অথবা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষের মানুষ হিসেবে পরিচিত। জামাত ঠিক ৭২ পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশে যেভাবে নেটওয়ার্ক তৈরী করতে মেজর (অব:) আবদুল জলিল, কবি আল মাহমুদের মতো পরিচিত মুক্তিযোদ্ধাদের নিযুক্ত করেছিল, এখন সেই একই কৌশলে মুক্তিযোদ্ধাদের ভাড়াটে হিসেবে ব্যবহার করছে। এরা যখন জামাতকে রাজনীতি করার অধিকারের কথা বলবে, তখন তা সাধারণ মানুষের কাছে গ্রহণ যোগ্য এবং বিশ্বাসযোগ্য হবে। এরকম ভাড়াটেদের মধ্যে কয়েকজনকে নিয়ে এই প্রতিবেদন:
১. মেজর (অব:) হাফিজ উদ্দিন : ১/১১ এর সময় সংস্কার পন্থী, বর্তমানে বিএনপিতে কোণঠাসা এই নেতা, এখন জামাতকে সাথে নিয়ে আন্দোলনের পক্ষে সোচ্চার। ২০ দলকে পুনরুজ্জীবিত করতে চান তিনি। জামাতের নেতাদের সংগে তার এখন ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ।
২. মেজর জেনারেল (অব:) সৈয়দ ইব্রাহিম : কল্যাণ পার্টির এই নেতা শুরু থেকেই জামাত পন্থী হিসেবে পরিচিত। বিভিন্ন সময়ে জামাতের পক্ষে তিনি সাফাই গেয়েছেন। এখন জামাতের এজেন্ডা বাস্তবায়নে তিনি মূখ্য ভূমিকা পালন করছেন।
৩. ড: জাফর উল্লাহ চৌধুরী : একদা তীব্র জামাত বিরোধী, মুক্তিযোদ্ধা ড: জাফর উল্লাহ চৌধুরীকে ম্যানেজ করেছে জামাত। এখন তিনি নতুন সুরে কথা বলছেন, তার সাম্প্রতিক যুক্তি হলো ‘অন্য ইসলাম পন্থী রাজনৈতিক দলগুলোর যদি রাজনীতি করার অধিকার থাকে, তাহলে জামাতের থাকবে না কেন?
৪. আসিফ নজরুল : ৭১ এর যুদ্ধাপরাধীদের জন্য গঠিত শহীদ জননী জাহানারা ইমামের গণআদালতের মাধ্যমে আলোচনায় আসেন আসিফ নজরুল। তখনই তিনি জামাতের প্যারোলে যান বলে কেউ কেউ মনে করেন। এখন জামাত পূন:বাসন মিশনে অন্যতম কুশীলব তিনি।
৫. নূর : সাবেক ডাকসু ভিপি নূর জামাতেরই একজন নেতা এমন বক্তব্য বহুল প্রচারিত। জামাত উদ্ধার মিশনে তিনিও একজন ভাড়াটে।
মন্তব্য করুন
বিএনপি গণ বহিষ্কার উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন রাজনীতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে দলের যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আগেই ঘোষণা করেছিল বিএনপি। এবার সেই ঘোষণার বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। দলের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, গত জাতীয় নির্বাচনের মতো এবারও উপজেলা নির্বাচনও যে একতরফা নির্বাচন, তা বিশ্ববাসীকে দেখাতে চায় দলটি। এমন ভাবনা থেকে ইতোমধ্যে যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তাদের প্রত্যাহার করতে হবে বলে দলের তৃণমূলকে বার্তা দিয়েছে বিএনপি। তবে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজনদের আসন্ন উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দেয়া হলেও সরে দাঁড়াননি অনেকে। এই নির্দেশনা দেয়ার পর প্রতিদিন দলের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুল কাদের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। ব্যক্তিগত ভাবেও তিনি একাধিক এমপির সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা দলীয় নির্দেশনা অমান্য করেছেন। বিষয় বেশ অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে। গতকাল এ নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে কথা বাহাস চলে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানের।
দলীয় সিদ্ধান্ত মানেননি তৃণমূল আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী। প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কঠোর নির্দেশনার পরও নির্বাচনি মাঠ থেকে সরেননি স্থানীয় এমপি-মন্ত্রীর পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা। সোমবার প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনেও তারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। উল্টো নানা যুক্তি দেখিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগের ভিতরও এক ধরনের অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে। বিশেষ করে দলের দুজন প্রেসিডিয়াম সদস্যের ভূমিকা নিয়েও কেন্দ্রের মধ্যে অস্বস্তি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কঠোর নির্দেশ দেয়ার পরও কেন মনোনয়ন প্রত্যাহার করা হলো না এই নিয়ে দলের মধ্যে চলছে নানা রকম আলাপ-আলোচনা।