নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:০০ এএম, ১৯ জানুয়ারী, ২০২১
স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১৬ জানুয়ারি) দ্বিতীয় ধাপে দেশের ৬০টি পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মাত্র ৪ জন মেয়র প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। তবে এই নির্বাচনে বিএনপির কয়জন প্রার্থী জয়ী হলো তার চেয়ে বড় কথা নির্বাচনে নেতাকর্মীরা মাঠে নেমেছে। অন্যদিকে বিশ্লেষকরা বলছেন, নির্বাচনকে প্রশ্নদ্ধি করার যে প্রচেষ্টা নিয়ে বিএনপি মাঠে নেমেছিলো সেখানে বিএনপি সফল।
নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থীদের ভরাডুবি হবে এমন আভাস দলীয় নেতাকর্মীদের কাছে আগেই ছিলো। বিশেষ করে দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে থাকা এবং তৃণমূলে সাংগঠনিক কাঠামো ভেঙে যাওয়ার কারণে ভালো প্রার্থী দিতে পারেনি দলটি। আবার তৃণমূলের মতামতের বাইরে গিয়ে লবিং কিংবা অর্থের বিনিময়ে অনেকে মনোনয়ন পেয়েছে বলে অভিযোগ আছে। ফলে নির্বাচনে পরাজয় হবে সেটা জেনেই বিএনপি মাঠে নেমেছিলো।
বিএনপির একজন শীর্ষ নেতা বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার মধ্য দিয়ে তৃণমূল চাঙ্গা হচ্ছে। এছাড়া ৪ জন প্রার্থী জয়ী হয়েছেন আমাদের দল থেকে। তবে সাংগঠনিকভাবে আরও শক্তিশালী হতে না পারলে নির্বাচনে ভালো করা যাবে না।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে বিএনপির জয়ী হওয়ার মত অবকাঠামো নেই। তবে নির্বাচনে তৃণমূলকে সক্রিয় করা এবং সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়ার পরেও ভোট বর্জন এবং সরকারকে দোষারোপ করার দিক দিয়ে সফল বলা যায়। বিএনপি যেহেতু প্রতিষ্ঠিত করতে চাইছে যে, এই সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়, কাজেই নির্বাচনে হারার আগেই ভোট কারচুপির অভিযোগ করে নির্বাচন বর্জনের মধ্যে দিয়ে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করছে যে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। যদিও নির্বাচন কমিশন, পর্যবেক্ষক এবং গণমাধ্যম সবাই বলছে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। কাজেই বিএনপি যে সরকারকে দোষারোপ করে তত্ত্বাবধাক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার উদ্দেশ্য নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে এমনটা তারা আবারও প্রমাণ করলো।
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া তারেক জিয়া বিএনপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল
মন্তব্য করুন
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
ড. আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।
উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। তবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেও নীতিমালার কারণে বেঁচে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।