নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:৫৬ পিএম, ১৯ জানুয়ারী, ২০২১
গত বছরের ২৫ মার্চ ৬ মাসের বিশেষ বিবেচনায় মুক্তি পান বেগম জিয়া। সেপ্টেম্বরে একই শর্তে তার জামিনের মেয়াদ বাড়ানো হয় আরো ৬ মাস। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তার জামিনে মুক্তি সংক্রান্ত নির্বাহী আদেশে বলা হয়েছে ‘জামিনকালীন সময়ে তিনি (বেগম জিয়া) তার বাসভবনে থেকে চিকিৎসা করাবেন।’ সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সরকারের নির্বাহী আদেশে যে জামিনের শর্ত দেয়া হয়েছে, সেটিই একমাত্র শর্ত। এর বাইরে কোন গোপন শর্ত নেই। কিন্তু বেগম জিয়ার দল বিএনপি বলছে, বেগম জিয়া আসলে মুক্ত নন। তার হাত পা বাঁধা। একারনেই তিনি কোন কথা বলতে পারছেন না। নূন্যতম রাজনৈতিক কর্মকান্ডে অংশগ্রহন করতে পারছেন না। বিএনপি নেতৃবৃন্দ এধরনের কথাবার্তা বললেও, বেগম জিয়া এবং তার পরিবারের পক্ষ থেকেও নীরবতা পালন করা হচ্ছে। ফলে, বিএনপির নেতারা এখন সরকারের বদলে বেগম জিয়া এবং তার পরিবারের প্রতিই অসন্তোষ প্রকাশ করছেন। তারা জানতে চান, কি আছে খালেদা জিয়ার জামিনের শর্তে?
বিএনপির অধিকাংশ নেতাই এখন বিশ্বাস করেন, বেগম জিয়া গোপনে মুচলেকা দিয়ে জেল থেকে বেরিয়েছেন। তারা এই মুচলেকার বিষয়বস্তু জানতে চান। ২০১৮র ৭ ফেব্রুয়ারি একটি দুর্নীতি মামলায় দন্ডিত হয়ে জেলে যান বেগম জিয়া। ২৫ মাস কারাভোগ করেন তিনি। জেল থেকে বেরুনোর পর তার বাসভবন ফিরোজা থেকে একদিনের জন্য বের হননি। দুই ঈদ ছাড়া অন্য কোন দিন, বিএনপি নেতৃবৃন্দের সংগে দেখাও করেননি। তার চারজন ব্যক্তিগত চিকিৎসক ঘুরে ফিরে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন। বাসায় ৮ জন কর্মচারী থাকলেও, প্রায় প্রতিদিনই খাবার আসে ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দারের বাসা থেকে। বাসায় টিভি আছে, ল্যান্ড ফোন আছে, মোবাইল ফোনও আছে।
কিন্তু বেগম জিয়ার মোবাইল ফোন তার কাছে থাকে না। প্রতিদিনই বেগম জিয়া স্কাইপে লন্ডনে তার নাতনীদের সংগে কথা বলেন। ইদানিং ছেলের সংগেও খুব একটা কথা হয় না। বেগম জিয়ার বাসায় পত্রিকাও রাখা হয় না। ফিরোজার গেটে সৌজন্য কপি হিসেবে দৈনিক দিনকাল এবং নয়া দিগন্ত যায়। কিন্তু সেগুলো গেটের স্টাফরাই পড়েন। ফিরোজার সামগ্রিক বিষয় দেখাশোনা করেন শামীম ইস্কান্দার এবং সেলিনা ইসলাম। ভাই বোন প্রতিদিনই একাধিকবার ফিরোজায় যান। বেগম জিয়ার সবকিছুই দেখভাল করেন তারাই। বিএনপি নেতারা বলেছেন, কোন রকম রাজনৈতিক কর্মকান্ডে জড়াবেন না, এরকম শর্তেই বেগম জিয়া জামিন নিয়েছেন। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ^র রায় মনে করেন ‘বেগম জিয়াকে হয়তো কোন অপমানজনক শর্তে মুক্তি দেয়া হয়েছে। যেটি বলতে তার পরিবারও সংকোচ বোধ করে।’ তবে বিএনপির নেতৃবৃন্দ মনে করেন, বেগম জিয়াকে যে শর্তেই মুক্তি দেয়া হোক, ‘আপোষহীন’ নেত্রীর উচিত, জনগনের কাছে তা প্রকাশ করা। তা না হলে তার সারাজীবনের অর্জন ধুলোয় লুটাবে।
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ আগাম কাউন্সিল দলীয় কোন্দল
মন্তব্য করুন
এমভি আবদুল্লাহ কবির গ্রুপ সোমালিয়া উপকূল
মন্তব্য করুন
ভারত বিরোধী বিএনপি রুহুল কবির রিজভী
মন্তব্য করুন
বিএনপি নেতারা জিয়াউর রহমানকে নিয়ে যেসব কথা বলে তা শুনলে জিয়াউর
রহমানও কবরে শুয়ে লজ্জা পেয়ে যেতেন বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাজধানীর প্রেসক্লাবে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
এ সময় তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান জীবদ্দশায় কখনো শুনেননি তিনি স্বাধীনতার ঘোষক।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, স্কুল ঘণ্টা যেমন দপ্তরি বাজায়, তেমনি জিয়াউর
রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেছিলেন বঙ্গবন্ধুর পক্ষে। আজকে বিএনপি নেতা আব্দুল মঈন
খান অনেক কথা বলেন। মঈন খানের বাবা আব্দুল মোমেন খান ৭৪ সালে খাদ্য সচিব ছিলেন। তিনি
ষড়যন্ত্র করে মার্কিন খাদ্যবাহী জাহাজ ফেরত পাঠিয়েছিলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান আব্দুল মোমেন খানকে মন্ত্রী
বানিয়েছিল। মঈন খান নিজেও সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছিল, দরকার পড়লে দেশ বিক্রি করে দেব।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান
মাহমুদ বলেন, দেশ সমৃদ্ধির দিকে যখনই এগিয়ে যাচ্ছিল তখনই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়।
বিএনপি জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক বানানোর জন্য যেভাবে দাবি করে জিয়াও সেভাবে
কখনো দাবি করেনি। জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের ছত্রছায়া পাকিস্তানিদের পক্ষে কাজ করেছে।
জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগের অধীনেই মুক্তিযুদ্ধের সময় বেতন ভুক্ত কর্মচারী ছিলেন।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতাদের কথা হাস্যরসের সৃষ্টি করে। বিএনপির নেতা মঈন খানের বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, যার বাবার জন্য এদেশে দুর্ভিক্ষ হয়েছে তার মুখে এসব কথা মানায় না। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর থেকে ইতিহাস বিকৃতি করে বিএনপি নেতারা বিশদকার বিষোদগার করছে কিন্তু এখন সঠিক ইতিহাস জনগনের সামনে আসার পর তাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। বিএনপির ইতিহাস বিকৃতির পাশাপাশি দেশের জনগণকেও বিভ্রান্তি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
বিএনপি ড. হাছান মাহমুদ আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
বিএনপি ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করে, অপপ্রচার করে, মিথ্যাচার করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। শুক্রবার (২৯ মার্চ) আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির উদ্যোগে ইফতার ও ঈদসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ নেত্রী নির্দেশ দিয়েছেন ইফতার পার্টি না করে, সাধারণ মানুষের মাঝে ইফতার বিতরণ করতে। আর বিএনপি বড় বড় হোটেলে ইফতার পার্টির আয়োজন করে। আর সেই ইফতার পার্টিতে তারা আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করে, অপপ্রচার করে, মিথ্যাচার করে।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা বলে দিল্লির শাসন মেনে নেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগ পাকিস্তানে সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। আসলে বিএনপির হৃদয়ে এবং চেতনায় পাকিস্তান। আওয়ামী লীগের চেতনা এবং হৃদয়ে বাংলাদেশ, কোনো বিদেশিদের দাসত্ব নয়।
তিনি বলেন, বিএনপির চারদিকে অন্ধকার, শেখ হাসিনার জনকল্যাণমুখী বিচক্ষণ রাজনীতি বিএনপিকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিয়েছে। বিএনপি নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করেছিল। ব্যর্থ হয়ে এখনো অসংলগ্ন কথা বলছে। আশি ভাগ বিএনপি নেতাকর্মীকে দমন-পীড়ন করা হচ্ছে বলে তারা মিথ্যাচার করছে।
এসময় মির্জা ফখরুলকে মিথ্যাচার করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, তাদের মিথ্যাচারের রাজনীতি কেউ গ্রহণ করছে না বলেই তারা সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে। বিশ্ব সংকটের প্রভাবের পরও শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্বের কারণে অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশের মানুষ এখনো ভালো আছে।
ওবায়দুল কাদের রাজনীতি সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষ হয়েছে। নতুন মন্ত্রিসভা গঠন হয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল কমেনি। কোন্দল ক্রমশ বেড়েই চলেছে। সামনে উপজেলা নির্বাচন, উপজেলা নির্বাচন নিয়ে সারা দেশে এখন আওয়ামী লীগ নানা ভাগ উপভাগে বিভক্ত। শুধুমাত্র সংঘাত হানাহানির উপলক্ষ খুঁজছে পরস্পরবিরোধী আওয়ামী লীগের শিবিরগুলো। এরকম বাস্তবতার দলের সঙ্কট নিরসনে এবং অভ্যন্তরীণ কোন্দল দূর করার জন্য আওয়ামী লীগ আগাম কাউন্সিল অধিবেশনে যেতে পারে বলে বিভিন্ন সূত্র ইঙ্গিত দিচ্ছে।