নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:৫৯ পিএম, ২০ জানুয়ারী, ২০২১
ওয়ান-ইলেভেনের পর থেকেই শেখ হাসিনা সব খবর পাচ্ছিলেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকার যে দীর্ঘমেয়াদী কালক্ষেপণের পথে যেতে চাচ্ছে-এটা প্রথম উপলব্ধি করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। দলের নেতাদের তিনি এব্যাপারে সতর্ক থাকতে বলেন। ১৪ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ সভাপতি তার দুজন ব্যক্তিগত স্টাফ ড: হাছান মাহমুদ এবং ড: আওলাদ হোসেনকে, নিয়ে বৈঠক করেন। ওখানেই তিনি সারাদেশে বার্তা পাঠানোর নির্দেশ দেন। তত্বাবধায়ক সরকার যদি নির্বাচন প্রক্রিয়াকে প্রলম্বিত করতে চায় এবং আওয়ামী লীগকে অহেতুক হয়রানি করে তাহলে আওয়ামী লীগও বসে থাকবে না। আওয়ামী লীগ সভাপতির কাছে এসময় বার্তা আসে, আওয়ামী লীগের কিছু গুরুত্বপূর্ণ নেতা, গোপনে ডিজিএফ আইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। এসময় আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক সচিব সাবের হোসেন চৌধুরী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেন। সাবের জানান, তত্বাধায়ক সরকার দ্রুত নির্বাচন দিতে আগ্রহী নন। শেখ হাসিনা এব্যাপারে সাবেরের মনোভাব জানতে চান। সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন,তত্বাবধায়ক সরকারকে কিছুটা সময় দেয়া উচিত। শেখ হাসিনা বুঝতে পারেন, দলের ভেতরই দ্রুত নির্বাচন নিয়ে তাকে বাধার মুখে পরতে হবে। তবে, ড: হাছান মাহমুদকে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন ‘গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনে জীবন দেবো।’ এদিকে, বিগ্রেডিয়ার বারী এবং বিগ্রেডিয়ার আমিন আওয়ামী লীগের দুজন নেতার সঙ্গে বৈঠক করেন। এরা হলেন মাহমুদুর রহমান মান্না এবং সুলতান মোহাম্মদ মনসুর। মান্না বারীকে পরামর্শ দেন, যুবলীগের দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করার। এদের কাছ থেকে অনেক তথ্য পাওয়া যাবে। গাড়ী পোড়ানো, ২৮ অক্টোবরের ঘটনা সব কিছুর হোতা এরা। মান্না এটাও বলেন, শেখ হাসিনার সঙ্গে এরা সরাসরি যোগাযোগ করে। ঐ দিন রাতেই, জাহাঙ্গীর কবির নানকের একজন শুভাকাঙ্ক্ষী তাকে বাতা পাঠান। ঐ বার্তায় বলা হয়, তাকে এবং মির্জা আযমকে গ্রেপ্তার করে, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে জবানবন্দী নেয়া হবে। জাহাঙ্গীর কবির, নানক তখন আত্মগোপনে। মির্জা আযমও তাই। তারা সিদ্ধান্ত নেন, দেশে থাকলে, তাদের গ্রেপ্তার হতেই হবে। তাই তারা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। একটি প্রাইভেট কারে ছদ্মবেশে তারা দেশ ছেড়ে চলে যান। নানক-আযমকে ধরতে না পারায়, ক্ষুব্ধ হন বারী এবং আমিন। এরপর শেখ হাসিনাকে ফাঁসাতে এরা বিকল্পের খোঁজ করেন। বিকল্পের তালিকায় ছিলো, শেখ সেলিম,আবদুল জলিল, ওবায়দুল কাদের এবং ড: আওলাদ হোসেন।
আগামীকাল, পর্ব: ১৩: তারেককে নিয়ে সেনা সদরে ক্ষোভ।
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া তারেক জিয়া বিএনপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল
মন্তব্য করুন
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
ড. আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।
উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। তবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেও নীতিমালার কারণে বেঁচে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।