নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:৫৮ পিএম, ২১ জানুয়ারী, ২০২১
বিএনপি মহাসচিব উত্তরার বাসভবন থেকে নয়া পল্টনে দলীয় কার্যালয়ে যাবেন। প্রতিদিনের মতো তার বাসভবনে নেতা-কর্মীদের ভীড়। তাদের তিনি জানিয়ে দিলেন, দলীয় কার্যালয়ে যান সেখানে কথা হবে। নেতা কর্মীরা বিদায় নিলেন। খানিকক্ষণ পর তিনি নিজেও রওনা দিলেন। এয়ারপোর্ট পেরুনোর পর তিনি ফোন করলেন দলীয় কার্যালয়ে। জানতে চাইলেন, অফিসে কে আছে? উত্তরে কার্যালয়ের কর্মচারী জানালো ‘রিজভী ভাই এসেছেন।’ ব্যস, মির্জা ফখরুল ড্রাইভারকে বললেন ‘দলীয় কার্যালয় নয়, তিনি যাবেন গুলশানে দলীয় চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে। যারা তার সঙ্গে সকালে বাসায় দেখা করতে এসেছিলেন, তাদের একজনকে ফোন করে বললেন ‘ভাইরাসটা অফিসে, আপনারা চেয়ারপারসনের অফিসে আসেন।’ স্থানীয় নেতা প্রথমে অবাক হয়ে গেলেন, এটা আবার কোন ভাইরাস। পরে তিনি বুঝলেন, রিজভীকে উদ্দেশ্য করেই বিএনপি মহাসচিব ঐ মন্তব্য করেছেন। শুধু বিএনপি মহাসচিব নন, অধিকাংশ বিএনপির সিনিয়র নেতাই এখন নয়া পল্টনের দলীয় কার্যালয় এড়িয়ে চলেন রুহুল কবির রিজভী আতংকে। সিনিয়র নেতারা তার নাম দিয়েছে ভাইরাস।
বিএনপির দলীয় কার্যালয় এখন রিজভী ভাইরাসের দখলে। এই দখলদারিত্ব শুরু হয় ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে। এসময় বেগম জিয়া গ্রেপ্তার হলে, রিজভী নিজেকে স্বেচ্ছায় অফিসবন্দী ঘোষণা করেন। তখন থেকে দলীয় কার্যালয়ে বসে কিছু কর্মী স্তাবককে নিয়ে দলীয় নেতাদের সমালোচনায় মুখর থাকেন বিএনপির এই নেতা। বিএনপির কি করা উচিত, না উচিত এনিয়ে মূল্যবান মতামত দেন। কখনও নেতাদের কঠোর গালমন্দ করেন। মাঝে নিয়মিত সংবাদ ব্রিফ করে, সরকারকে গালাগালি করেন। এসময় সিনিয়র নেতারা গেলে কর্মীদের সামনে রেখেই বলা শুরু করেন আপনারা কি করছেন? ম্যাডামের মুক্তির জন্য কর্মসূচী কি? আপনাদের দিয়ে কিছু হবে না। প্রথম প্রথম নেতারা রিজভীর এসব কথা গায়ে মাখতেন না। পরে নেতারা বিব্রত হতে থাকেন। বেগম জিয়া জামিন পাবার পর, রিজভী অফিস ছেড়ে বাড়ী যান। কিন্তু সকাল থেকে সন্ধ্যা তার ঠিকানা হয় দলীয় কার্যালয়। মাঝখানে রিজভী অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলে, দলের নেতা-কর্মীরা আবার আসতে শুরু করেন। কিন্তু আবার দলীয় কার্যালয় রিজভীর দখলে চলে গেছে। এখন রিজভী আরো আক্রমণাত্মক। নেতাদের দেখলেই তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। বিএনপিতে রিজভী ভাইরাস আতঙ্ক এখন ছড়িয়ে পড়েছে।
মন্তব্য করুন
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি সভাপতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বেগম খালেদা জিয়া শামীম ইস্কান্দার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার জন্য নতুন করে তৎপরতা শুরু করেছে তার পরিবারের সদস্যরা। বিশেষ করে বেগম জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার ইতোমধ্যে বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার জন্য সরকারের বিভিন্ন মহলের সঙ্গে নতুন করে যোগাযোগ শুরু করেছেন। বেগম জিয়া আর ভবিষ্যতে রাজনীতি করবেন না, রাজনীতি থেকে অবসর নেবেন এ রকম একটি বক্তব্য সামনে নিয়ে আসছেন শামীম ইস্কান্দার।
আওয়ামী লীগের তৃণমূল ক্রমশ ভেঙ্গে পড়ছে। বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগের তৃণমূল সংগঠিত করা এবং বিভেদ-বিভক্তির দূর করার জন্য যে ডাক দেওয়া হয়েছিল তারপর একটু পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছিল বলে বটে। কিন্তু এখন আবার উপজেলা নির্বাচনের প্রাক্কালে সারাদেশে তৃণমূল বিভক্ত হয়ে পড়েছে। আওয়ামী লীগের তৃণমূলকে সামাল দেওয়াই এখন কঠিন হয়ে পড়ছে। একদিকে নির্বাচন কেন্দ্রীক বিরোধ অন্যদিকে দলের চেইন অব কমান্ড ভেঙ্গে যাওয়া আর কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তদারকির অভাবে তৃণমূলের আওয়ামী লীগ এখন সবচেয়ে সঙ্কটের মুখে পড়েছেন বলেই মনে করছেন আওয়ামী লীগের নেতারাই।