নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:৫৩ পিএম, ২৫ জানুয়ারী, ২০২১
নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার বলেছেন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কোনো ঘটনার দায়ই ইসি এড়াতে পারে না। সেজন্যই তো ইসিকে এত সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করার চেষ্টা করতে হয় ।
সোমবার (২৫ জানুয়ারি) রাজধানীর নির্বাচন ভবনের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
মাহবুব তালুকদার বলেন, চট্টগ্রাম সিটিতে সহিংসার আশঙ্কা এজন্য করছি কারণ সেখানে দুটি প্রাণহানি ঘটেছে। আমি আগেও বলেছি এখনো বলছি যেকোনো নির্বাচনের চেয়ে জীবনের মূল্য অনেক বেশি।
এর আগে ‘চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে আমার বার্তা’ শিরোনামে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে এই অতীব গুরুত্ববহ নির্বাচনে ভোটার, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, নির্বাচন কাজে নিয়োজিত সব অংশীজন প্রত্যেকেই নিরপেক্ষভাবে দায়িত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে জাতি হিসেবে আমাদের আত্মমর্যাদা সমুন্নত রাখবেন।
ইসি মাহবুব তালুকদার বলেন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন বর্তমান নির্বাচন কমিশনের কার্যকালের অবশিষ্ট সময়ে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন। এ নির্বাচন ঘিরে সহিংসতার শঙ্কা ও উদ্বেগের যথেষ্ট কারণ রয়েছে। পরিবেশ সুষ্ঠু না হলে অবাধ নিরপেক্ষ আইনানুগ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয়, নির্বাচনের পূর্বশর্ত লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের ধারণাও অবান্তর হয়ে যায়। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে পক্ষ-বিপক্ষের ভারসাম্য সৃষ্টি আমাদের জন্য এক বড় চ্যালেঞ্জ। এ নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণে থাকা অপরিহার্য, নইলে তা ভণ্ডুল হয়ে যাবে। সুষ্ঠু নির্বাচন দল ও মত নির্বিশেষে সবার জন্য দেশপ্রেমের অগ্নিপরীক্ষা। নির্বাচন গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার একমাত্র অবলম্বন।
এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ভোট হচ্ছে স্বাধীন দেশে জনগণের সার্বভৌমত্বের প্রতীক, একটি পবিত্র আমানত। এর মাধ্যমে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলিত হয়। নির্বাচন ভূলুণ্ঠিত হলে গণতন্ত্রও ভূলুণ্ঠিত হয়ে যায়। আমরা যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলি, তার নির্যাস হচ্ছে গণতন্ত্র। ক্ষমতার স্বাভাবিক হস্তান্তর হচ্ছে এর মূল লক্ষ্য। ভোটের মাধ্যমে সত্যিকার জনপ্রতিনিধিরা যাতে নির্বাচিত হন, সেটি নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমি আশা করি, এই অতীব গুরুত্ববহ নির্বাচনে ভোটার, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, নির্বাচন কাজে নিয়োজিত অংশীজন প্রত্যেকেই নিরপেক্ষভাবে দায়িত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে জাতি হিসেবে আমাদের আত্মমর্যাদা সমুন্নত রাখবেন, একই সঙ্গে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট প্রদানে ব্যাপক অংশগ্রহণ একান্তভাবে কাম্য। বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের আইনানুগভাবে অবশ্যই প্রতিহত করতে হবে। আমরা জনগণের মনে নির্বাচনের প্রতি আস্থা সৃষ্টি করে ও তাদের উদ্বুদ্ধ করে গণতন্ত্রের অভিযাত্রায় শামিল হতে চাই।
মন্তব্য করুন
জামায়াত বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি তারেক জিয়া বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জামায়াতে ইসলামও কী বিএনপিকে ধোঁকা দিল? বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট এই রাজনৈতিক দলটি ঘোষণা করেছে যে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা না দিলেও প্রথম পর্বে যে সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ হয়েছে সেখানে জামায়াতের ২৩ জন সদস্যের নামের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।
আওয়ামী লীগ দলগতভাবে উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট এবং কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন উপজেলায় মন্ত্রী, এমপি বা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের ভাই ব্রাদার বা স্বজনদেরকে প্রার্থী করা যাবে না। যারা ইতিমধ্যে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।