নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ২৬ জানুয়ারী, ২০২১
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) নির্বাচনের শেষ প্রচারণা ছিল গতকাল (২৫ জানুয়ারি)। নিজ নিজ নির্বাচনী প্রচারণা ইতিমধ্যেই সেরে নিয়েছে প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের মেয়র প্রার্থীরা। নির্বাচনী প্রচারণায় বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা: শাহাদাত হোসেন থেকে অনেকটাই এগিয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম। কারণ, বিএনপির সাংগঠনিক দূর্বলতা এবং নেতৃত্বের সর্বোচ্চ পর্যায়ের দ্বন্দ্বের ফলে চসিক নির্বাচনে বিএনপির চট্টগ্রামের হেভিওয়েট নেতারা নীরব ভূমিকা পালন করে। এর ফলে নির্বাচনী প্রচারণায় পিছিয়ে যাওয়া বিএনপি কেন্দ্রীয় ভাড়াটে নেতাদের এনে প্রচারণা চালায়। এতে বিড়ম্বনার শিকার হয় বিএনপি। কারণ, চট্টগ্রামের রাজনৈতিক ঐতিহ্যে বহিরাগত নেতাদের গ্রহণযোগ্যতা নেই ভোটারদের কাছে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক ঐক্যবদ্ধতার কারণে স্থানীয় নেতাদের প্রচার প্রচারণায় বেশ সরব ছিল নৌকা প্রার্থী।
এই দিক থেকে আওয়ামী লীগ এগিয়ে থাকলেও বিদ্রোহী প্রার্থীদের কোন্দলের কারণে অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছে। তবে গত কয়েকদিন ধরেই বিদ্রোহীদের সাবধান করে হুশিয়ারি বার্তা দেয়া হয় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় পর্যায়ের নেতারা। এমনকি প্রধানমন্ত্রী নিজেও বিদ্রোহীদের বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের সিধান্ত দেন। এর ফলে পৌরসভা নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থীদের মাথাচাড়া দিয়ে উঠার যে প্রবণতা দেখা গিয়েছিল তার ঠিক উল্টা চিত্র দেখা যাচ্ছে চসিক নির্বাচনে। এর ফলে নির্বাচনে নৌকা সুবিধাজনক অবস্থানে আছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
অন্যদিকে, স্থানীয় নেতৃত্বের অভাবে বিড়ম্বনার শিকার হওয়ার পর বিএনপি গত দুইদিন ধরে নির্বাচনী প্রচারণায় স্থানীয় নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ছাড়া আর কাউকে দেখা যায়নি। সাবেক মন্ত্রী আবদুল্লাহ আল নোমান, সাবেক মেয়র মীর মোহাম্মদ নাসিরুদ্দিন সহ আরোও অনেকই এখনো নীরব। তবে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব নির্বাচনকে ঘিরে বেশ সরব এবং বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা: শাহাদাত হোসেনের স্থানীয় জনপ্রিয়তায় ধানের শীষও সুবিধাজনক অবস্থানে আছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
নানান বিচার বিশ্লেষণ, সংঘর্ষ-সংঘাত এবং অন্তর্দ্বন্দের পরও ভোট দিতে উৎসুক ভোটাররা। রাত পেরোলেই অনুষ্ঠিত চসিক নির্বাচনে কে হতে যাচ্ছে নতুন মেয়র তা নির্ধারণ হবে জনগণের ভোটে।
মন্তব্য করুন
বিএনপি গণ বহিষ্কার উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন রাজনীতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে দলের যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আগেই ঘোষণা করেছিল বিএনপি। এবার সেই ঘোষণার বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। দলের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, গত জাতীয় নির্বাচনের মতো এবারও উপজেলা নির্বাচনও যে একতরফা নির্বাচন, তা বিশ্ববাসীকে দেখাতে চায় দলটি। এমন ভাবনা থেকে ইতোমধ্যে যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তাদের প্রত্যাহার করতে হবে বলে দলের তৃণমূলকে বার্তা দিয়েছে বিএনপি। তবে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজনদের আসন্ন উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দেয়া হলেও সরে দাঁড়াননি অনেকে। এই নির্দেশনা দেয়ার পর প্রতিদিন দলের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুল কাদের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। ব্যক্তিগত ভাবেও তিনি একাধিক এমপির সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা দলীয় নির্দেশনা অমান্য করেছেন। বিষয় বেশ অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে। গতকাল এ নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে কথা বাহাস চলে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানের।
দলীয় সিদ্ধান্ত মানেননি তৃণমূল আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী। প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কঠোর নির্দেশনার পরও নির্বাচনি মাঠ থেকে সরেননি স্থানীয় এমপি-মন্ত্রীর পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা। সোমবার প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনেও তারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। উল্টো নানা যুক্তি দেখিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগের ভিতরও এক ধরনের অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে। বিশেষ করে দলের দুজন প্রেসিডিয়াম সদস্যের ভূমিকা নিয়েও কেন্দ্রের মধ্যে অস্বস্তি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কঠোর নির্দেশ দেয়ার পরও কেন মনোনয়ন প্রত্যাহার করা হলো না এই নিয়ে দলের মধ্যে চলছে নানা রকম আলাপ-আলোচনা।