নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:৫৯ পিএম, ০৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২১
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্য নির্বাহী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল যে, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে যারা দলের মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে অবস্থান নেবেন, তাদের দল থেকে বহিষ্কার করা হবে। শুধু বিদ্রোহী প্রার্থী নয়, বিদ্রোহীদের মদদ দাতাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে। কিন্তু বিদ্রোহী প্রার্থী এবং তাদের পৃষ্ঠপোষকদের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। বরং বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীদের পরাজিত করে যারা বিজয়ী হয়েছে, তাদের বরণ করে নেয়া হচ্ছে। তারা আওয়ামী লীগে আরো গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছেন। চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ছিলো বিদ্রোহী প্রার্থী। আওয়ামী লীগের নেতা মাহাবুবুল আলম হানিফ, ড. হাছান মাহমুদ, এস.এম. কামাল, বিপ্লব বড়ুয়া ছুটে গিয়েছিলেন চট্টগ্রামে বিদ্রোহী প্রার্থীদের নিষ্ক্রিয় করতে। কিন্তু তাদের অব্যাহত তৎপরতার পরও ৯টি সাধারণ ওয়ার্ডে বিজয়ী হন বিদ্রোহী প্রার্থীরা। এদের মধ্যে আটজনই আ.জ.ম নাছিরের সমর্থক। বিজয়ী হবার পর তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ তো দূরের কথা, তাদের এখন বরন করে নেয়া হচ্ছে। যে সব ওয়ার্ডে বিদ্রোহী প্রার্থীরা জিতেছেন, তাদের ওয়ার্ডে সম্বর্ধনার আয়োজন করা হয়েছে। এতে চট্টগ্রাম মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ নেতারা উপস্থিত থাকছেন। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে যারা পরাজিত হয়েছেন, তারা যেন পালাবার পথ খুঁজে পাচ্ছেন না। এরকম একজন ওয়ার্ড কাউন্সিলর বাংলা ইনসাইডারকে বলেছেন ‘আওয়ামী লীগের নেতারা বললেন, নির্বাচনে দাড়াতে। দাঁড়ালাম। চট্টগ্রামের নেতারা বিদ্রোহী প্রার্থী দাড় করিয়ে আমাকে হারিয়ে দিলো। এখন বিদ্রোহী প্রার্থী এবং তার ক্যাডারদের অত্যাচারে আমি এলাকা ছাড়া। এখন নেতারা বিদ্রোহী প্রার্থীকে মালা দিচ্ছে, আমি পালিয়ে বেড়াচ্ছি।
শুধু চট্টগ্রাম নয়, সারাদেশে একই চিত্র। ‘বিদ্রোহী প্রার্থী জিতলে আমার হারলে বহিষ্কার।’ আওয়ামী লীগ কার্যত: এই নীতি অনুসরণ করে চলছে। এর ফলে, এক নতুন সংকটে পরেছে দলটি। বিদ্রোহী প্রার্থীরা এখন নির্বাচন থেকে সরে যাওয়া নয়, বরং জেতার জন্য মরিয়া হয়ে মাঠে নামছে। তারা মনে করছে যদি শেষ পর্যন্ত জিতে যাই, তাহলে সাত খুন মাফ। আর হারলে রাজনীতি শেষ। একারণে আওয়ামী লীগকে হারাতে তারা আরো মরিয়া হয়ে গেছে। আওয়ামী লীগের একাধিক শীর্ষ নেতা বলেছেন, বিজয়ী বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ না হলে, পরিস্থিতি আরো খারাপ হবে। তারা মনে করছেন, একজন প্রার্থী তখনই বিদ্রোহী হন, যখন তার পেছনে মদদ থাকে এবং তার প্রভাব থাকে। কাজেই তাকে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি না দেয়া হলে বিদ্রোহ এবং অভ্যন্তরীণ বিরোধ মেটানো সম্ভব হবে না।
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া তারেক জিয়া বিএনপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল
মন্তব্য করুন
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
ড. আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।
উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। তবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেও নীতিমালার কারণে বেঁচে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।