নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:৫৯ পিএম, ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০২১
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা গ্রেপ্তারের ঠিক দেড়মাস পর গ্রেপ্তার হন বেগম জিয়া। বেগম জিয়া ছিলেন সর্বশেষ ক্ষমতাসীন দলের নেতা, প্রধানমন্ত্রী। তার এবং তার পুত্রের বিরুদ্ধে দুর্নীতির নানা গল্প-কাহিনী ছিলো মানুষের মুখে মুখে। কিন্তু তার (বেগম খালেদা জিয়া) গ্রেপ্তারের আগেই শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার, তত্বাবধায়ক সরকারের লক্ষ্য এবং সততা প্রশ্নবিদ্ধ করেছিল। তত্বাবধায়ক সরকার অবশ্য শেখ হাসিনা আর বেগম জিয়ার ব্যাপারে ভিন্ন কৌশল নিয়েছিল। সেনাবাহিনীর যেসব সদস্য ছিলেন আসলে তত্বাবধায়ক সরকারের মূল চালিকা শক্তি, তারা মাইনাস ফর্মুলা বাস্তবায়নের কৌশল হিসেবে শেখ হাসিনাকে আগে গ্রেপ্তার করেছিলেন। তারা ভেবেছিলেন, শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করলে আওয়ামী লীগের জন্য শেখ হাসিনাকে মাইনাস করা সহজ হবে। অন্যদিকে খালেদা জিয়াকে রেখেই বিএনপির ভাঙ্গন দ্রুত এগুচ্ছিলো। বিএনপি মহাসচিব আব্দুল মান্নান ভূঁইয়া বেগম জিয়ার নেতৃত্বকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ করেছিলেন। বিএনপিতে খালেদার পক্ষে যারা ছিলেন, তারা হয় আটক অথবা পলাতক। বেগম জিয়াকে গ্রেপ্তার বিলম্বের আরেকটা কারণ ছিলো তার সাথে সমঝোতা। তত্বাবধায়ক সরকারের একটি অংশ মনে করেছিল, খালেদা জিয়ার সঙ্গে একটি রাজনৈতিক সমঝোতা সহজতর হবে। তিনি যেহেতু ক্যান্টনমেন্টে থাকেন, তাই সেখানে তার সঙ্গে কথাবার্তা বলা অনেক স্বাচ্ছন্দ্যের। কিন্তু বেগম জিয়া কিছুতেই তারেক জিয়ার ব্যাপারে নূন্যতম ছাড় দিতে রাজী ছিলেন না। আগস্টে বেগম জিয়াকে প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল যে, তারেক কে বাদ দিয়ে তিনি এবং কোকো দেশের বাইরে চলে যাবেন। কিন্তু বেগম জিয়া তারেকের ব্যাপারে অনড় থাকায় সমঝোতার উদ্যোগ ভেস্তে যায়। এসময় বেগম জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর বিরুদ্ধে কিছু চাঞ্চল্যকর দুর্নীতির তথ্য প্রমান আসে সেনা গোয়েন্দাদের হাতে। এই বাস্তবতায় বেগম জিয়া ও তার ছোট ছেলে কোকোকে গ্রেপ্তারের কোনও বিকল্প ছিলো না মঈন ইউ আহমেদের হাতে। ২০০৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর বেগম জিয়ার মঈনুল রোডের বাসায় অভিযান চালায় যৌথ বাহিনী। বেগম জিয়ার মূল ফটকে বেল বাজানোর দীর্ঘক্ষণ পর বেরিয়ে আসেন বেগম জিয়া। এসময় যৌথ বাহিনীর কর্মকর্তারা তাকে এবং তার পুত্রকে নিয়ে যেতে চাইলে, বেগম জিয়া চ্যালেঞ্জ করেন। ওয়ারেন্ট চান। এক পর্যায়ে ক্ষুদ্ধ খালেদা জিয়া মঈন ইউ আহমেদের সঙ্গে কথা বলতে চান। যৌথ বাহিনী কোকোকে গাড়িতে ওঠালে, বেগম জিয়া ক্ষোভে ফেটে পরেন। তিনি বলেন ‘আমি তোমাদের চেহারা ভুলবো না। একটাকেও ছাড়বো না। সব গুলোকে দেখে নেবো।’
আগামীকাল পর্ব-৩৩: কোকোর মাদক সমস্যা।
মন্তব্য করুন
জামায়াত বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি তারেক জিয়া বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জামায়াতে ইসলামও কী বিএনপিকে ধোঁকা দিল? বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট এই রাজনৈতিক দলটি ঘোষণা করেছে যে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা না দিলেও প্রথম পর্বে যে সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ হয়েছে সেখানে জামায়াতের ২৩ জন সদস্যের নামের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।
আওয়ামী লীগ দলগতভাবে উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট এবং কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন উপজেলায় মন্ত্রী, এমপি বা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের ভাই ব্রাদার বা স্বজনদেরকে প্রার্থী করা যাবে না। যারা ইতিমধ্যে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।