নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২১
ঢাকায় দীর্ঘদিন পর পুলিশের সঙ্গে বিএনপির সংঘর্ষ হয়েছে। পুলিশের কাছ থেকে কর্মীকে ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনা ঘটেছে। অন্যান্য দিনের তুলনায় সমাবেশে লোক সমাগম ভালো ছিলো। গণমাধ্যম বিএনপির সঙ্গে পুলিশের সহিংসতার খবর ফলাও করে প্রকাশ করেছে। রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কি সরকারের বিরুদ্ধে বড় আন্দোলন শুরু করতে যাচ্ছে বিএনপি? তাছাড়া আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে বাংলাদেশ বিরোধী প্রচারণা, সুশীল সমাজ, অবসর প্রাপ্ত সেনা ও আমলাদের নিয়ে নানা মুখী তৎপরতা, আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল-ইত্যাদি নানা কারণে রাজনৈতিক অঙ্গন উত্তপ্ত হয়ে উঠতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন। কিন্তু আওয়ামী লীগ বিএনপি এবং অন্যান্য ক্রিয়াশীল শক্তির তৎপরতায় মোটেও উদ্বিগ্ন নয়। বরং আওয়ামী লীগের নেতারা মনে করছেন আন্দোলনের বাস্তব পরিস্থিতি দেশে নেই। বিএনপিরও আন্দোলন করার মতো সাংগঠনিক শক্তি নেই। বিভিন্ন কারণে আওয়ামী লীগ এবং সরকার এসবে চিন্তিত নয়। এসব কারণ গুলোর মধ্যে রয়েছে:
১. করোনা নিয়ন্ত্রণ এবং ভ্যাকসিন উৎসব: বিশ্বের যে দেশ গুলো সফল ভাবে করোনা মোকাবেলা করেছে তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। দেশের মানুষও এই নিয়ে খুশী। বিশ্বের অনেক দেশই যখন ঠিকমতো ভ্যাক্সিন দিতে ব্যর্থ হচ্ছে তখন বাংলাদেশে রীতিমতো ভ্যাক্সিন উৎসব হচ্ছে। আওয়ামী লীগ মনে করছে, জনগণ সন্তুষ্ট এবং আন্দোলন নিয়ে তাদের কোন মাথাব্যথা নেই।
২. অর্থনৈতিক অবস্থা আশাব্যঞ্জক: করোনার মধ্যেও সরকার অর্থনীতিকে মুখ থুবড়ে পরতে দেয়নি। অর্থনীতির সূচক গুলো বেশ ইতিবাচক। জনগণ এখন কাজ করতে চায় নিজেদের ভবিষ্যৎ গড়তে চায়। তরুণরা নানা উদ্ভাবনীর মধ্যে থাকতে চায়। আন্দোলনে তাদের মনোযোগ নেই, আগ্রহও নেই।
৩. প্রশাসন ও পুলিশ সরকারে আস্থাশীল: আওয়ামী লীগ মনে করে প্রশাসনও পুলিশ সরকারের প্রতি আস্থাশীল। সরকার প্রশাসন ও পুলিশকে বেতন-ভাতা বৃদ্ধি সহ নানা সুযোগ সুবিধা গত ১২ বছরে দিয়েছে। প্রশাসন ও পুলিশের সমর্থন ছাড়া বাংলাদেশে অতীতে কোন সফল আন্দোলন হয়নি।
৪. নেতৃত্বশূন্য বিরোধী দল: জনগণকে আকৃষ্ট করার মতো কোন নেতৃত্ব নেই বিএনপিতে বা অন্য কোন দলে। বেগম জিয়া রাজনীতি থেকে স্বেচ্ছা নির্বাসিত, তারেককে জনগণ রাজনৈতিক নেতা মনে করে না, একজন দুর্বৃত্ত মনে করে। ড: কামাল অস্তমিত সূর্য আর সৈয়দ ইব্রাহিম আর যাই হোক না কেন জাতীয় নেতা হবার যোগ্য নয়। একটি আন্দোলন কখনো নেতৃত্বহীন ভাবে গড়ে উঠতে পারে না।
৫. শেখ হাসিনার বিচক্ষণতা ও দূরদর্শিতা: আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় সম্পদ হলো দলের সভাপতি শেখ হাসিনা। তার প্রজ্ঞা, বিচক্ষণতা আওয়ামী লীগের সবচেয়ে আস্থার জায়গা।
মন্তব্য করুন
বিএনপি গণ বহিষ্কার উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন রাজনীতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে দলের যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আগেই ঘোষণা করেছিল বিএনপি। এবার সেই ঘোষণার বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। দলের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, গত জাতীয় নির্বাচনের মতো এবারও উপজেলা নির্বাচনও যে একতরফা নির্বাচন, তা বিশ্ববাসীকে দেখাতে চায় দলটি। এমন ভাবনা থেকে ইতোমধ্যে যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তাদের প্রত্যাহার করতে হবে বলে দলের তৃণমূলকে বার্তা দিয়েছে বিএনপি। তবে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজনদের আসন্ন উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দেয়া হলেও সরে দাঁড়াননি অনেকে। এই নির্দেশনা দেয়ার পর প্রতিদিন দলের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুল কাদের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। ব্যক্তিগত ভাবেও তিনি একাধিক এমপির সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা দলীয় নির্দেশনা অমান্য করেছেন। বিষয় বেশ অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে। গতকাল এ নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে কথা বাহাস চলে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানের।
দলীয় সিদ্ধান্ত মানেননি তৃণমূল আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী। প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কঠোর নির্দেশনার পরও নির্বাচনি মাঠ থেকে সরেননি স্থানীয় এমপি-মন্ত্রীর পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা। সোমবার প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনেও তারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। উল্টো নানা যুক্তি দেখিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগের ভিতরও এক ধরনের অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে। বিশেষ করে দলের দুজন প্রেসিডিয়াম সদস্যের ভূমিকা নিয়েও কেন্দ্রের মধ্যে অস্বস্তি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কঠোর নির্দেশ দেয়ার পরও কেন মনোনয়ন প্রত্যাহার করা হলো না এই নিয়ে দলের মধ্যে চলছে নানা রকম আলাপ-আলোচনা।