নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:৫৯ পিএম, ১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২১
আজ বাংলাদেশের রাজনীতিতে আর একটি নজিরবিহীন ঘটনা ঘটেছে। আওয়ামী লীগের একজন নেতা যিনি আওয়ামী লীগের টিকিটে একটি পৌরসভার মেয়র হয়েছেন তিনি আধাবেলা হরতাল ডেকেছেন। এটি যেনাে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধেই আওয়ামী লীগের যুদ্ধ। অবশ্য বসুরহাট পৌরসভার মেয়র কাদের মির্জা যিনি সম্পর্কে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ভাইও বটে, তিনি পৌরসভা নির্বাচনের শুরু থেকেই নানা রকম বিতর্কিত বক্তব্য রেখে আলোচনায় আসছিলেন। এবং অনেকে মনে করেছিল নির্বাচন শেষ হয়ে গেলেই তার এই বিতর্কিত বক্তব্য দেয়া বন্ধ হবে। কিন্তু এখন নির্বাচনের পরও তিনি তার কথা অব্যাহত রেখেছেন।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে যে, তার এই বিদ্রোহ এবং জাতির বিবেক হওয়ার পেছনে রয়েছে অন্য কোনও উদ্দেশ্য। পানি উন্নয়ন বোর্ডের একটি টেন্ডারকে ঘিরে রাজনৈতিক বিরোধের সূত্রপাত হয়েছে। তবে স্থানীয় এলাকাবাসী বলছে শুধু পানি উন্নয়ন বোর্ড নয় সবগুলো সরকারি টেন্ডারে আধিপত্য নিয়ে বিরোধের কারণেই এখন কাদের মির্জা ক্ষেপেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের একটি টেন্ডার ডাকা হয়েছিল। সেই টেন্ডারটি কাদের মির্জা চেয়েছিলেন, কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি সেটি নিতে পারেন নি। অন্য একটি পক্ষ পেয়েছে। আর এটি নিয়েই তিনি ঢাকায় এসে সংবাদ সম্মেলনে দুর্নীতির অভিযোগ উত্থাপন করেছেন।
এখন নোয়াখালীর রাজনৈতিক মহল বলছে যে, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের জন্য কাদের মির্জা আর স্থানীয় এমপি একরামুল হক চৌধুরীর বিরোধ দীর্ঘ দিনের। এবং এই বিরোধটি প্রশমন করার জন্য বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রকমের উদ্যোগ নেয়া হলেও তা কাজে আসেনি। প্রথম দিকে কাদের মির্জার এসব ব্যাপারে তার বড় ভাই ওবায়দুল কাদেরের প্রচ্ছন্ন সমর্থন ছিল। কিন্তু এখন কাদের মির্জা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের জন্য একটি বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছেন। কাদের মির্জার কারণে দলের মধ্যে তার অবস্থা বিব্রতকর হচ্ছে এবং তিনি নিজেও বিতর্কিত হচ্ছেন। এজন্য তিনি এখন অনেকটা ক্ষুব্ধ এবং কাদের মির্জাও তার ওপরে ক্ষেপেছেন।
এখন রাজনৈতিক দলকে যদি ব্যবসা বা টেন্ডারবাজীর হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয় সেটির পরিণাম কি হতে পারে সেটি নিয়ে রাজনৈতিক মহল যেমন উদ্বিগ্ন তেমনি কাদের মির্জার এই হরতাল এবং নানা রকম বিরোধী দলের মতো কর্মসূচি আওয়ামী লীগের মধ্যে কি নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে সেটি নিয়েও আলোচনা হয়েছে। আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন যে, এই ধরনের অর্বাচীনদের বিরুদ্ধে এখনো যদি কোনও ব্যবস্থা না নেয়া হয় তাহলে ভবিষতে আওয়ামী লীগের জন্য আরও সর্বনাশ অপেক্ষা করছে।
মন্তব্য করুন
জামায়াত বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি তারেক জিয়া বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জামায়াতে ইসলামও কী বিএনপিকে ধোঁকা দিল? বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট এই রাজনৈতিক দলটি ঘোষণা করেছে যে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা না দিলেও প্রথম পর্বে যে সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ হয়েছে সেখানে জামায়াতের ২৩ জন সদস্যের নামের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।
আওয়ামী লীগ দলগতভাবে উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট এবং কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন উপজেলায় মন্ত্রী, এমপি বা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের ভাই ব্রাদার বা স্বজনদেরকে প্রার্থী করা যাবে না। যারা ইতিমধ্যে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।