নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:৫৯ পিএম, ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০২১
নোয়াখালীর ঘটনার তদন্তের জন্য আওয়ামী লীগ সভাপতির একটি বিশেষ টীম সরেজমিনে সফরে যাচ্ছে। সেখানে কেন এধরনের ঘটনা ঘটছে, কার দায় কতটুকু এবং অন্তর্কলহ কিভাবে দুর করা যায়, সে বিষয়ে তদন্ত করবে ঐ টীম। আওয়ামী লীগের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। যেহেতু নোয়াখালী বিতর্কে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক একটি পক্ষ। তাই তাকে বাদ দিয়েই এই তদন্ত টীম পাঠানো হচ্ছে। এই টীমে থাকছেন আওয়ামী লীগের একজন প্রেসিডিয়াম সদস্য, একজন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, একজন সাংগঠনিক সম্পাদক এবং কেন্দ্রীয় কমিটির দুজন সদস্য। ইতিমধ্যে আওয়ামী লীগ সভাপতি, নোয়াখালীর পরিস্থিতি নিয়ে একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলেছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি নিজস্ব উদ্যোগে সেখানকার ঘটনা সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করেছেন। এরপর তিনি একজন প্রেসিডিয়াম সদস্যকে এ ব্যাপারে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে একটি রিপোর্ট দিতে বলেছেন। তদন্তকালীন সময়ে, আওয়ামী লীগ সভাপতির টীমটি সরেজমিনে নোয়াখালীতে যাবে, সেখানে বিবাদমান পক্ষ গুলোর সঙ্গে কথা বলবে।
তাদের কাছে আওয়ামী লীগ সভাপতির বার্তা তুলে ধরবে। আওয়ামী লীগের একজন শীর্ষস্থানীয় নেতা বলেছেন ‘নোয়াখালীতে দুপক্ষেরই দোষ রয়েছে। কার কত দায়, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’ তবে ঐ নেতা বলেন ‘আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এখনই সেখানে কঠোর অবস্থানে যেতে চায় না। বরং আমরা শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের মাধ্যমে একটি সমঝোতায় আসতে চাই।’ তবে অন্য একটি সূত্র বলছে ‘বহিস্কার বা বড় ধরনের কোনও শাস্তি দেয়া না হলেও দুপক্ষকেই সতর্ক করা হবে। ভবিষ্যতে এধরনের ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে সেজন্য নোয়াখালীর নেতৃত্বেও পরিবর্তন আনা হতে পারে।’ আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র বলছে, কৌশলগত কারণে এখানে আওয়ামী লীগ কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে না। কারণ নোয়াখালীতে বিএনপির শক্তিশালী অবস্থান রয়েছে। একপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলে, ঐ পক্ষ নিষ্ক্রিয় হয়ে যাবে এতে দল ক্ষতিগ্রস্থ হবে। সেই ঝুঁকি আওয়ামী লীগ নিতে চায় না। আওয়ামী লীগের একজন নেতা বলেছেন ‘নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগের এই সমস্যা দীর্ঘদিনের পুরোনো। কিন্তু এই বিরোধ সত্ত্বেও সংগঠন শক্তিশালী। দুই পক্ষই তার পক্ষের শক্তি বৃদ্ধির জন্য জোর দেয়, ফলে সংগঠন শক্তিশালী হয়। আর তাই কাউকে দল থেকে বের করে দেয়া কোনও সমাধান নয়।
আওয়ামী লীগের একটি সূত্র বলছে, ইতিমধ্যে কাদের মির্জা এবং একরামুল করিম চৌধুরীকে আওয়ামী লীগের নেতারা সতর্কবার্তা দিয়েছেন। তাদের সতর্ক এবং সংযত হবার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তদন্তের পর হয়তো তাদের ঢাকায় তলব করা হবে। এই ঘটনায় অতি উৎসাহী অনুপ্রবেশকারীদের ভূমিকাও খতিয়ে দেখা হবে বলে আওয়ামী লীগের সূত্রগুলো জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: নিক্সন চৌধুরীর ঐক্যের ডাক
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বিএনপি বিদ্রোহ উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
ঢাকার বনানীর বাসায় ফেরার পথে গাড়িচালক
আনসার আলীসহ ২০১২ সালের ১৭ এপ্রিল নিখোঁজ হন বিএনপির তৎকালীন সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিলেট
জেলা বিএনপির সভাপতি এম ইলিয়াস আলী। এক যুগ পার হলেও ইলিয়াস আলী জীবিত না মৃত সে খবর
কেউ দিতে পারেনি দীর্ঘ এই সময়ে।
তবে সিলেটের বিএনপি নেতারা মনে করেন,
ইলিয়াস সরকারের হেফাজতে অক্ষতই আছেন। তাকে ফিরে পেতে কেবল সরকারের সদিচ্ছার প্রয়োজন।
নিখোঁজের ১২ বছর পূর্তিতে তাকে ফিরে পেতে গতকাল নানা কর্মসূচি পালন করেছে সিলেট বিএনপি
ও অঙ্গ সংগঠন। ইলিয়াস আলী ‘নিখোঁজ’র পর সিলেটে গঠন করা হয় ‘ইলিয়াস মুক্তি সংগ্রাম
পরিষদ’। এ বছর ‘ইলিয়াস মুক্তি সংগ্রাম পরিষদ’র কোনো কর্মসূচি না থাকলেও সমাবেশ, স্মারকলিপি
প্রদান এবং দোয়া ও মিলাদ মাহফিল করেছে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠন। এক যুগেও ইলিয়াসের সন্ধান
না মিললেও হাল ছাড়েননি বিএনপি নেতারা।
তাদের ধারণা, ইলিয়াস আলী এখনো জীবিত
আছেন। ইলিয়াসের অবস্থান সম্পর্কে সরকার জ্ঞাত আছে। কিন্তু সরকারের সদিচ্ছার অভাবে ইলিয়াস
আলীর সন্ধান মিলছে না। ইলিয়াস আলী নিখোঁজের এক যুগপূর্তির দিন গতকাল জেলা প্রশাসকের
মাধ্যমে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে সিলেট বিএনপি। এ ছাড়া বাদ আসর জেলা
বিএনপির উদ্যোগে হজরত শাহজালাল (রহ.) দরগাহ মসজিদে ইলিয়াস আলীর সন্ধান কামনায় দোয়া
ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এ ছাড়া ইলিয়াসকে ফিরে পেতে বাদ জোহর একই মসজিদে দোয়া ও
মিলাদের আয়োজন করে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল। স্মারকলিপি প্রদানের আগে গতকাল দুপুরে জেলা
প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করে বিএনপি।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, দীর্ঘ ১২ বছর
ধরে ইলিয়াস আলী ফেরার অপেক্ষায় আছেন সিলেটবাসী। ইলিয়াসের জনপ্রিয়তায় আতঙ্কিত হয়ে সরকার
তাকে গুম করেছে।
ইলিয়াস নিখোঁজ প্রসঙ্গে জেলা বিএনপির
সিনিয়র সহসভাপতি অ্যাডভোকেট আশিক উদ্দিন বলেন, ইলিয়াস আলীর সন্ধান পেতে তার সহধর্মিণী
হাই কোর্টে রিট করেছিলেন। কিন্তু সরকারের অদৃশ্য হস্তক্ষেপে এক যুগেও সেই রিটের শুনানি
হয়নি। এতে প্রমাণিত হয় ইলিয়াস নিখোঁজের পেছনে সরকার জড়িত।
মন্তব্য করুন
খন্দকার মোশাররফ হোসেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন