নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:৫৮ পিএম, ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২১
২০০১ সালে বেগম খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে তার একান্ত সচিব-১ হিসেবে মনোনীত হন নূরুল ইসলাম। নূরুল ইসলাম ফেনীর জেলা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন ১৯৯১-৯৬ সাথে বিএনপির শাসনামলে। সৎ এবং মেধাবী কর্মকর্তা হিসেবে নূরুল ইসলামের সুনাম ছিলো। আর এ কারণে বেগম খালেদা জিয়ার আগ্রহে তাকে নিয়ে আসা হয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে। অল্প কিছুদিনের মধ্যে বেগম খালেদা জিয়া তার কাজে খুশি হয়ে তাকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব হিসেবে পদোন্নতি দেন।
সচিব হিসেবে পদোন্নতি পাওয়ার পরপরই তিনি চেয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়কে দুর্নীতিমুক্ত রাখতে। যাতে করে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ইমেজ বেড়ে যায়। নূরুল ইসলামের ধারনা ছিলো খালেদা নিশ্চয়ই দুর্নীতিকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেবে না। আর এই বাস্তবতা থেকেই নূরুল ইসলাম সমস্ত মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়ে দিয়েছিলেন। সেই চিঠিতে বলেছিলেন যেখানে যে মন্ত্রণালয়ে দুর্নীতির তথ্য পাওয়া যাবে সেই তথ্যগুলো যেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রেরণ করা হয়। আর এই চিঠির প্রেক্ষিতেই ঘটে নূরুল ইসলামের ক্যারিয়ারের সবচেয় বড় সর্বনাশ। এই সময় তারেক-মামুনের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছিলো সকল সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। টেন্ডার, নিয়োগ বাণিজ্যসহ নানামুখী বাণিজ্যের চাপে জর্জরিত হয়ে পড়েছিলো সকল মহল। আর এ কারণেই বিভিন্ন ব্যবসায়ী, ঠিকাদার এমনকি সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও বিভিন্ন প্রমাণসহ অভিযোগ পাঠাতে থাকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব নূরুল ইসলাম এইসব অভিযোগ আমলে নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। এই তদন্তের কথা জানতে পারেন তারেক জিয়া এবং তিনি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে গিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। এরপর খালেদা জিয়া নূরুল ইসলামকে ডাকেন এবং তিনি জানতে চান যে এরকম করেছেন কি না? নূরুল ইসলাম খালেদা জিয়াকে বোঝানোর চেষ্টা করেন যে এই অভিযোগগুলোর যদি সঠিক তদন্ত করা হয় তাহলে তারেক জিয়ার বিরুদ্ধে কোনো দুর্নীতির অভিযোগ উঠবে না ফলে বিএনপির রাজনীতির জন্য লাভজনক হবে। এটি ভবিষ্যতে তারেক জিয়াকে দুর্নীতিমুক্ত রাখতে সহায়তা করবে। কিন্তু এটি নিয়ে খালেদা জিয়া এবং তারেক জিয়া দুজনই ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং নূরুল ইসলামকে রীতিমতো মারতে আসেন। ওই দিনই খালেদা জিয়া সরকারি চাকরি বিধি অনুযায়ী নূরুল ইসলামকে চাকরি থেকে অপসারণ করেন। এরপর খালেদা জিয়ার নির্দেশে নূরুল ইসলামের বাসায় আইন প্রয়োগকারী সংস্থা অভিযান পরিচালনা করে এবং তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। নূরুল ইসলাম চরম হয়রানির শিকার হন এবং একরকম মামলা হামলার মধ্য দিয়ে দিন কাটাতে হয় তাকে।
পর্ব-৭: ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার ব্লু প্রিন্ট
মন্তব্য করুন
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি সভাপতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বেগম খালেদা জিয়া শামীম ইস্কান্দার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার জন্য নতুন করে তৎপরতা শুরু করেছে তার পরিবারের সদস্যরা। বিশেষ করে বেগম জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার ইতোমধ্যে বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার জন্য সরকারের বিভিন্ন মহলের সঙ্গে নতুন করে যোগাযোগ শুরু করেছেন। বেগম জিয়া আর ভবিষ্যতে রাজনীতি করবেন না, রাজনীতি থেকে অবসর নেবেন এ রকম একটি বক্তব্য সামনে নিয়ে আসছেন শামীম ইস্কান্দার।
আওয়ামী লীগের তৃণমূল ক্রমশ ভেঙ্গে পড়ছে। বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগের তৃণমূল সংগঠিত করা এবং বিভেদ-বিভক্তির দূর করার জন্য যে ডাক দেওয়া হয়েছিল তারপর একটু পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছিল বলে বটে। কিন্তু এখন আবার উপজেলা নির্বাচনের প্রাক্কালে সারাদেশে তৃণমূল বিভক্ত হয়ে পড়েছে। আওয়ামী লীগের তৃণমূলকে সামাল দেওয়াই এখন কঠিন হয়ে পড়ছে। একদিকে নির্বাচন কেন্দ্রীক বিরোধ অন্যদিকে দলের চেইন অব কমান্ড ভেঙ্গে যাওয়া আর কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তদারকির অভাবে তৃণমূলের আওয়ামী লীগ এখন সবচেয়ে সঙ্কটের মুখে পড়েছেন বলেই মনে করছেন আওয়ামী লীগের নেতারাই।