নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:১২ পিএম, ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২১
গণফোরামের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ড. কামাল হোসেনকে সভাপতির পদ থেকে বাদ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে গণফোরামের এক পক্ষের ডাকা বর্ধিত সভায়। সাবেক নির্বাহী কমিটির সদস্য মহসিন রশিদ বর্ধিত সভায় এই প্রস্তাব তুলে ধরে বলেন, দলের মধ্যে অনেক বিভাজন চলছে। এই বিভাজন বন্ধ করতে ব্যর্থ হলে সভাপতির পদ থেকে ড. কামাল হোসেনকে বাদ দেওয়া উচিত। কমিটির সাবেক সদস্য সত্তার পাঠানও একই প্রস্তাব করেন। পরে জেলা পর্যায়ের কয়েকজন নেতা তাঁদের প্রস্তাব সমর্থন করেন।
শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে গণফোরামের নেতাদের একটি পক্ষের বর্ধিত সভার আয়োজন করা হয়। এতে নেতৃত্ব দেন মোস্তফা মোহসীন মন্টু।
মোহসীন মন্টু বলেন, গণফোরামের আগামী কাউন্সিলে কাউন্সিলররা সিদ্ধান্ত নেবেন কামাল হোসেনকে সভাপতি হিসেবে রাখা হবে কি না? গণফোরাম গণতান্ত্রিক দল। রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে গণতন্ত্র আনতে হলে দলে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হয়। কামাল হোসেনকে সভাপতি বানিয়েছিলেন কাউন্সিলররা। আগামী কাউন্সিলে তাঁরাই (কাউন্সিলর) সিদ্ধান্ত নেবেন পরবর্তী সভাপতি কে হবেন।
বর্ধিত সভায় জানানো হয়, ২৮ ও ২৯ মে ঢাকায় দুদিনব্যাপী কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে। বর্ধিত সভায় ২১ সদস্যের স্টিয়ারিং কমিটি, সাবেক প্রতিমন্ত্রী আবু সাইয়িদকে আহ্বায়ক করে ১০১ সদস্যের জাতীয় নির্বাহী কমিটি এবং মোস্তফা মোহসীন মন্টুকে আহ্বায়ক করে ২০১ সদস্যের ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিল প্রস্তুতি কমিটি গঠন করা হয়।
বর্ধিত সভায় উপস্থিত ছিলেন গণফোরামের সাবেক নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য এ টি এম জগলুল হায়দার আফ্রিক, সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. জামাল উদ্দিন আহমেদ, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক হেলাল উদ্দিন সহ আরো অনেকেই।
মন্তব্য করুন
জামায়াত বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি তারেক জিয়া বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জামায়াতে ইসলামও কী বিএনপিকে ধোঁকা দিল? বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট এই রাজনৈতিক দলটি ঘোষণা করেছে যে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা না দিলেও প্রথম পর্বে যে সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ হয়েছে সেখানে জামায়াতের ২৩ জন সদস্যের নামের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।
আওয়ামী লীগ দলগতভাবে উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট এবং কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন উপজেলায় মন্ত্রী, এমপি বা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের ভাই ব্রাদার বা স্বজনদেরকে প্রার্থী করা যাবে না। যারা ইতিমধ্যে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।