ইনসাইড পলিটিক্স

রাজনীতি থেকে বিদায় নিচ্ছেন ড. কামাল

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯:৫৫ পিএম, ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২১


Thumbnail

ড. কামাল হোসেন তার দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক অধ্যায়ের যবনিকাপাত ঘটাতে যাচ্ছেন। রাজনীতি থেকে তিনি অবসর গ্রহন করবেন বলে তার ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে। এ সংক্রান্ত একটি ঘোষণা খুব শীঘ্রই আসবে বলে জানা গেছে। অবশ্য সাম্প্রতিক সময়ে বিভক্ত, জর্জরিত গণফোরাম রাজনৈতিক দল হিসেবে অস্তিত্বহীন হয়ে পড়ে। এই প্রেক্ষাপটে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন গণফোরাম বিভক্ত হয়। আজ মোস্তফা মোহসীন মন্টুর নেতৃত্বে জাতীয় প্রেসক্লাবে বর্ধিত সভা করে। সেই বর্ধিত সভায় ড. কামাল হোসেন কে বাদ দিয়েই ১০১ সদস্যের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি গঠন করা হয়। যে প্রস্তুতি কমিটি গণফোরামের নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনের লক্ষ্যে একটি কাউন্সিল অধিবেশন করবেন।

এর মধ্যদিয়ে গণফোরামের আনুষ্ঠানিক বিভক্তি পক্রিয়া সম্পন্ন হলো। এই বিভক্তি আগে থেকেই নিশ্চিত ছিল। কারণ মোস্তফা মোহসীন মন্টুকে যখন গত কাউন্সিলে দলের কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল এবং পরবর্তীতে মোস্তফা মোহসীন মন্টু, সুব্রত চৌধুরীকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে তখনই গণফোরামের ভাঙ্গন নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। অন্যদিকে তার মূল দলে রেজা কিবরিয়াকে সাধারণ সম্পাদক করেছেন। রেজা কিবরিয়া সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে পদত্যাগ করার ফলে গণফোরাম কার্যত মৃতপ্রায় হয়ে পড়ে।

ড. কামাল হোসেনের ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো বলছে, গণফোরামের কারণে নয়, বার্ধক্যজনিত কারণসহ নানা বাস্তবতায় তিনি এখন আর রাজনীতিতে আগ্রহী নন। উল্লেখ্য যে, গত কয়েকদিন আগেই ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন মোস্তফা মোহসীন মন্টু সহ গণফোরামের বিদ্রোহী অংশ। সেখানেও ড. কামাল হোসেন রাজনীতি থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন। রাজনীতি থেকে আনুষ্ঠানিক অবসর না নিলেও ২০১৮ নির্বাচনের পর রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে তিনি প্রায় নিষ্ক্রিয়। করোনার প্রকোপ শুরু হলে হলে ড. কামাল হোসেনকে আর কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে দেখা যায়নি। বয়সের ভারে ন্যুব্জ হয়ে থাকার কারণে ড. কামাল হোসেনের পরিবার পরিজনও চাচ্ছে না তাকে এখন প্রতক্ষ্য রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত করতে। বরং ড. কামাল হোসেন একজন আইনজীবী এবং বঙ্গবন্ধুর সৈনিক হিসেবে থাকবেন, এটি মনে করছেন তার পরিবারের সদস্যরা। সাম্প্রতিক সময়ে তার জামাতা ডেভিড বার্গম্যান কে নিয়ে নানা বিতর্ক, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের রাজনৈতিক ব্যর্থতা ইত্যাদি কারণে ড. কামাল হোসেনের মধ্যে রাজনীতির প্রতি একধরনের অনীহা তৈরি হয়েছিল। সেই অনীহা থেকেই তিনি রাজনীতি থেকে সরে যাচ্ছেন বলে তার ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে। তবে এই ঘোষণা তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে কবে দিবেন তা এখনো নিশ্চিত জানা যায়নি।

উল্লেখ্য, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অন্যতম ঘনিষ্ঠ ছিলেন ড. কামাল হোসেন। বঙ্গবন্ধুর ডাকে তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যোগ দিয়েছিলেন। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী যখন বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করে যখন পাকিস্তানে নিয়ে যায় তখন ড. কামাল হোসেনকেও সেখানে বন্দি করে রাখা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু ৭২-এ মুক্তি পেয়ে ১০ জানুয়ারিতে দেশে আসে। ড. কামাল হোসেন তার সঙ্গে দেশে এসেছিলেন। স্বাধীন বাংলাদেশের মন্ত্রিসভায় ড. কামাল হোসেনকে বঙ্গবন্ধু প্রথম আইনমন্ত্রী, পরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী করেছিলেন। কিন্তু ৭৫-এর ১৫ আগস্টের পর তার ভূমিকা ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। সে সময়ে এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ করার পরিবর্তে তিনি এক ধরণের নিষ্ক্রিয়তা অবলম্বন করেছিলেন। এই জন্য রাজনীতিবিদ হিসেবে তিনি সমালোচিতও বটে।

১৯৯১ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিপর্যয়ের পর তিনি আওয়ামী লীগ থেকে সরে যান এবং গণফোরাম গঠন করেন। একজন রাজনৈতিক নেতা হিসেবে তিনি যতটা আলোচিত, তার চেয়ে একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিমান আইনজীবী হিসেবেই তিনি বেশি আলোচিত এবং সমাদৃত। আইন পেশায় তার অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। ৭২-এর সংবিধানের অন্যতম প্রণেতা ড. কামাল হোসেন রাজনীতি থেকে শুধু অবসর নিবেন না, পেশাগত দায়িত্ব থেকেও ধীরে ধীরে ছুটি নিবেন বলে তার পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ব্যারিস্টার খোকনের অব্যাহতি নিয়ে বিএনপিতে বিভক্তি

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনকে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সিনিয়র সহসভাপতি পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তবে ব্যক্তিগত বিরোধ ও তার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে তাকে বাদ দেওয়া হয়েছে বলে মত বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের অনেকের। সুপ্রিম কোর্ট অঙ্গনে তুমুল জনপ্রিয় এই নেতাকে বাদ দেওয়ায় ফোরামের নেতাদের ওপর ক্ষুব্ধ বিএনপির সিনিয়র নেতারাও। এ নিয়ে বিএনপিতে এখন বিভক্ত স্পষ্ট।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে দলটির দুজন স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, তাদের কাছে মনে হয়েছে বিষয়টি নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করা হচ্ছে। ব্যারিস্টার খোকন সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সাতবারের সম্পাদক। তিনি দলেরও একজন সিনিয়র নেতা। তার মতো নেতাকে এভাবে সংগঠন থেকে অব্যাহতি দিয়ে অসম্মানিত করাটা মোটেই ঠিক হয়নি। 

বিএনপি নেতারা বলছেন, ফোরামের ভেতরকার অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জেরে মাহবুবউদ্দিন খোকনকে কোণঠাসা করার অপচেষ্টা করছে একটি পক্ষ। ওই পক্ষটি ফোরামের একক নিয়ন্ত্রণ নিতে চাইছে। যেটি খোকনের জনপ্রিয়তার কাছে আদৌ সম্ভবপর হয়ে উঠছে না, সেটিও তারা জানে।  

অন্যদিকে ব্যারিস্টার খোকনের সংবাদ সম্মেলনে ফোরামের সেক্রেটারি ব্যারিস্টার কায়সার কামালকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করে বক্তব্য দেওয়াটাও সমীচীন হয়নি বলে মনে করেন কেউ কেউ। 

বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন তার অব্যাহতি নিয়ে কোনো কথা বলেননি। তিনি ব্যক্তিগত আক্রমণ করেছেন ব্যারিস্টার কায়সার কামালের বিরুদ্ধে। যা নিন্দনীয় ও অরুচিকর। তার মতো সিনিয়র নেতার কাছে এমনটা আশা করিনি। 

উল্লেখ্য, গতকাল সোমবার কায়সার কামালকে অর্বাচীন বালক ও কুলাঙ্গার আখ্যায়িত করে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন বলেন, সময় এসেছে তাকে দল থেকে বহিস্কারের। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশেই তিনি বার নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন এবং দ্বায়িত্ব গ্রহণ করেছেন বলেও দাবি করেন খোকন। কায়সার কামালের নৈতিক স্খলনের দায়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটিকে অনুসন্ধানের আহবানও জানান বিএনপি থেকে নবনির্বাচিত বার সভাপতি খোকন। 

এর আগে সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করায় বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম-মহাসচিব খোকনকে ফোরামের সিনিয়র সহসভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে চিঠি দেওয়া হয় গত শনিবার। জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক জিয়াউর রহমান স্বাক্ষরিত এক পত্রে তাকে অব্যাহতির কথা জানানো হয়। এ নিয়ে সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে ফোরামের মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামালের ওপর ক্ষোভ ঝাড়েন খোকন। তিনি কায়সার কামালকে ‘অর্বাচীন বালক’ বলে আখ্যায়িত করেন। নৈতিক স্খলনের কারণে দল থেকে কায়সার কামালের বহিষ্কারও দাবি করেন।

ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

উন্নত চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ড নেওয়া হচ্ছে বিএনপি নেতা মিন্টুকে

প্রকাশ: ০৫:৫৪ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি আবদুল আউয়াল মিন্টুকে উন্নত চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ড নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ইউনাইটেড হাসপাতালের চিকিৎসকদের পরামর্শে মঙ্গলবার দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে তিনি থাই এয়ারওয়েজের একটি উড়োজাহাজে থাইল্যান্ড রওনা হয়েছেন।

বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে তার চিকিৎসা সেবা নেওয়ার কথা হয়েছে।

এর আগে গত ২০ এপ্রিল বুকে প্রচণ্ড ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মিন্টু ।

১৯ এপ্রিল রাত ২টার দিকে বুকে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করলে তাকে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

থাইল্যান্ড   আবদুল আউয়াল মিন্টু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

জামায়াতে দুই দিনের কর্মসূচি ঘোষণা

প্রকাশ: ০৪:১৩ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সারা দেশে তীব্র তাপপ্রবাহে হিট অ্যালার্টের মধ্যে আল্লাহর রহমতের বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায়ের কর্মসূচি দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে এ কর্মসূচি ঘোষণা দেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, সম্প্রতি প্রচণ্ড দাবদাহ ও অনাবৃষ্টিতে দেশের আবহাওয়া অত্যন্ত উষ্ণ হয়ে পড়েছে। উচ্চ তাপমাত্রার কারণে সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা অত্যন্ত কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। একদিকে উচ্চ তাপমাত্রার কারণে প্রচণ্ড গরম, অন্যদিকে অনাবৃষ্টিতে মানুষ, পশু-পাখি ও জীব-জন্তুর জীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে। একমাত্র মহান রাব্বুল আলামীনই আমাদেরকে এহেন পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ দিতে পারেন। 

তিনি আরও বলেন, সারা দেশের মানুষ গরমে কষ্ট পাচ্ছে। বিশেষ করে কৃষক-শ্রমিকসহ নানা শ্রেণি-পেশার শ্রমজীবী মানুষ কর্মক্ষেত্রে প্রচণ্ড গরমে কষ্ট পাচ্ছে। গত ২২ এপ্রিল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে একজন রিকশাওয়ালা প্রচণ্ড গরমে মারা গেছেন। দেশে বিরাজমান এই পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য মহান আল্লাহ তাআলার অবারিত রহমত তথা বৃষ্টি কামনা করে সালাতুল ইস্তিসকার নামাজ করার জন্য ওলামায়ে কেরাম, জামায়াতের সর্বস্তরের নেতাকর্মী ও দেশবাসী সবার প্রতি আমরা উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি। 

এই জামায়াত নেতা বলেন, এ জন্য আগামীকাল বুধবার ও বৃহস্পতিবার (২৪ ও ২৫ এপ্রিল) জামায়াতে ইসলামীর সকল সাংগঠনিক শাখার উদ্যোগে জনসাধারণকে সঙ্গে নিয়ে সালাতুল ইস্তিসকার আদায়ের কর্মসূচি সফল করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।

জামায়াত  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

দেশবিরোধী অপশক্তি ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে: কাদের

প্রকাশ: ০১:০০ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশবিরোধী একটি অপশক্তি নানা ভাবে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। তারা নির্বাচন, শান্তি ও উন্নয়নের বিরোধীতায় লিপ্ত। সারাদেশে তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। 

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে গুলিস্তানের ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটি আয়োজিত প্রচারপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, গণতন্ত্র, শান্তি, উন্নয়ন নির্বাচনবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বান মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের ও প্রগতিশীল শক্তির কাছে, দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব বিরোধী অপশক্তি আমাদের ভিত্তিমূলে আঘাত করতে যাচ্ছে। তাদের আমাদের প্রতিহত করতে হবে, সেজন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

উপজেলা নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটের মাধ্যমে সাংবিধানিক অধিকার প্রয়োগের জন্য জনগণকে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা আহ্বান জানিয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ভোট দিয়ে আপনার নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করুন। আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে জনগণ সব শক্তির উৎস।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেশবিরোধী অপশক্তি জাতির পিতার পরিবারকে হত্যা করে জনগণকে সামরিক স্বৈরশাসনের জাঁতাকলে দীর্ঘকাল পিষ্ঠ করেছে। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে হত্যার রাজনীতি বন্ধ করেছেন।


আওয়ামী লীগ   ওবায়দুল কাদের   প্রধানমন্ত্রী   শেখ হাসিনা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

উপজেলা নির্বাচন: ভোট ছাড়াই তারা চেয়ারম্যান হচ্ছেন

প্রকাশ: ১০:৫২ এএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোটে আগামী  ৮ মে। গতকাল সোমবার (২২ এপ্রিল) ছিল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। এদিন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা সরে দাঁড়ানোয় তিন উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ কয়েকজন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।

জানা গেছে, নোয়াখালীর হাতিয়া ও ফেনীর পরশুরাম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন। এ ছাড়া বান্দরবানে উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে রোয়াংছড়ি উপজেলায় আওয়ামী লীগের সমর্থিত প্রার্থী চহ্লামং মারমা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হচ্ছেন। সোমবার ( ২২ এপ্রিল ) মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা সরে দাঁড়ানোয় তিন উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ বেশ কয়েকজন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।

হাতিয়া উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে তিনজন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। তাঁরা হলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলীর ছেলে আশিক আলী, স্ত্রী আয়েশা ফেরদাউস ও জাতীয় পার্টির নেতা মুশফিকুর রহমান। গতকাল আশিক আলী ছাড়া বাকি দুজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। হাতিয়া উপজেলা পরিষদের বাকি দুটি পদে একজন করে প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন।

জানতে চাইলে মুশফিকুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর রাজনীতির হাতেখড়ি সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলীর হাতে। তিনি ওই পরিবারের একজন সদস্যের মতো। মাঝখানে কিছু ভুল–বোঝাবুঝির কারণে দূরত্ব থাকলেও তা ঘুচে গেছে। আশিক আলীর সমর্থনে তিনি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন।

স্থানীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলী বলেন, স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা জোড় করাতে তাঁর ছেলে প্রার্থী হয়েছেন। দলের অন্য কেউ আগ্রহ দেখাননি। ছেলের প্রতিদ্বন্দ্বীরা নিজ থেকেই প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন।

ফেনীর পরশুরাম উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রার্থীর মধ্যে দুজন গতকাল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। এতে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন কেবল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ফিরোজ আহমেদ মজুমদার। প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন উপজেলা পরিষদের তিনবারের চেয়ারম্যান ও পরশুরাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কামাল উদ্দিন মজুমদার ও উপজেলার বক্সমাহমুদ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান আবুল হাসেম চৌধুরী।

ভাইস চেয়ারম্যান পদের চারজনের মধ্যে তিনজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। বর্তমানে একক প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন পরশুরাম উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক নুর মোহাম্মদ শফিকুল হোসেন। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন ইকরামুল করিম মজুমদার, নজরুল ইসলাম ও আবদুল রসুল মজুমদার।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেত্রী শামসুন নাহার পাপিয়া। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন নিলুফা ইয়াসমিন।

এদিকে বান্দরবানে উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে রোয়াংছড়ি উপজেলায় আওয়ামী লীগের সমর্থিত প্রার্থী চহ্লামং মারমা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। গতকাল চারজন প্রার্থীর মধ্যে তিনজন প্রার্থিতা প্রত্যাহার করায় চহ্লামং মারমা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন বলে রিটার্নিং এস এম কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন জানিয়েছেন।

তবে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা চেয়ারম্যান প্রার্থীরা বলেছেন, আওয়ামী লীগ নেতাদের অনুরোধ ও প্রচ্ছন্ন চাপে তাঁরা প্রার্থিতা প্রত্যাহারে সম্মত হয়েছেন। রোয়াংছড়ি উপজেলা থেকে আওয়ামী লীগের তিনজন ও জনসংহতি সমিতির সাবেক এক নেতা চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। চারজনের মনোনয়নই রিটার্নিং কর্মকর্তা বৈধ ঘোষণা করেছিলেন। প্রার্থীরা নিজেদের মতো করে প্রস্তুতিও নিয়েছেন। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের পর প্রার্থীরা জানিয়েছেন, গতকাল প্রত্যাহারের শেষ দিনে হঠাৎ করে আওয়ামী লীগের নেতারা তৎপর হয়ে ওঠেন। প্রার্থিতা তুলে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করে এবং প্রচ্ছন্নভাবে চাপ দিতে থাকেন।



উপজেলা নির্বাচন   চেয়ারম্যান  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন