নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:৫৯ পিএম, ০১ মার্চ, ২০২১
চলমান নানা ইস্যুতে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের সঙ্গে শরীকদের দূরত্ব বাড়ছে টানা ১২ বছর ক্ষমতায় থাকা দলটির। ২০১৮ এর নির্বাচনের পর ২০১৯ এর ৭ জানুয়ারি সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। গত দুবারের মতো এবার আওয়ামী লীগ তার মন্ত্রীসভায় শরীকদের জায়গা দেয়নি। তখন থেকেই সংকটের শুরু। এরপর আস্তে আস্তে নিস্ক্রিয় হতে থাকে ১৪ দল। ১৪ দলের সমন্বয়ক মোহাম্মদ নাসিমের মৃত্যুর পর এই জোটের সব কার্যক্রমই এখন প্রায় বন্ধ। এর মধ্যে সরকারের কিছু সিদ্ধান্ত ও পদক্ষেপ নিয়ে শরীকদের মধ্যে ভিন্নমতের খবর পাওয়া যাচ্ছে। ১৪ দলের শরীকদের বেশ কয়েকটি সংগঠন সাম্প্রতিক কিছু বিষয়ে ভিন্নমত প্রকাশ করছেন। যেসব ইস্যুতে আওয়ামী লীগের সঙ্গে একমত হতে পারছেন না শরীকরা তার মধ্যে রয়েছে:
১. ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন: ১৪ দলের অন্তত দুটি দল মনে করছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিপীড়ন এবং হয়রানিমূলক। এই আইনের ফলে গণমাধ্যম আক্রান্ত হচ্ছে। এই দুটি দলই এই আইনের যথেচ্ছ প্রয়োগের বিরোধিতা করছে। ১৪ দলের মধ্যে অন্তত একটি দল মনে করে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রয়োগে সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। ২টি দলের নেতারা মনে করেন, এই আইনের বেশ কিছু বিষয় সংশোধন প্রয়োজন।
২. মুশতাকের মৃত্যু ও মানবাধিকার ইস্যু: মুশতাকের মৃত্যু নিয়েও ১৪ দলের শরীকদের ভিন্নমত পাওয়া গেছে। ১৪ দলের অন্তত তিনটি শরীক দলের নেতারা মনে করেন, মুশতাকের মৃত্যুর ইস্যুতে সরকারকে আরো সংবেদনশীল আচরণ করতে হতো।
৩. শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও আবাসিক হল খুলে দেয়া: ১৪ দলের বেশ কটি শরীক সংগঠন মনে করে দীর্ঘদিন এভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ভুল সিদ্ধান্ত। বিশেষ করে কওমী মাদ্রাসা খুলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল বন্ধ রাখা হাস্যকর।
৪. ধর্মান্ধ মৌলবাদীদের সাথে আপোষ: ১৪ দলের অধিকাংশ শরীক সংগঠনই মনে করে আওয়ামী লীগ হেফাজত সহ মৌলবাদী সংগঠনগুলোর সাথে আপোষ করছে। বিশেষ করে ভাস্কর্য ইস্যুতে আওয়ামী লীগ মৌলবাদীদের কাছে আত্মসমর্পন করেছে বলে তারা মনে করে। আওয়ামী লীগের আশ্রয় প্রশ্রয়ে মৌলবাদী সংগঠনগুলো বিশেষ করে হেফাজত বাড়ছে বলে ১৪ দলের বেশ কটি দল মনে করে।
৫. দুর্নীতি: ১৪ দলের বেশ কটি শরীক সংগঠন মনে করে, সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণে ব্যর্থ হচ্ছে। বিশেষ করে ব্যাংকিং খাতে অনিয়মের বিরুদ্ধে সরকার ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হচ্ছে বলেও তাদের মত। আর এই দূরত্বের বিষয়গুলো বাড়তে থাকলে শেষ পর্যন্ত ১৪ দল থাকবে কিনা সে প্রশ্নও এখন উঠেছে।
মন্তব্য করুন
পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার হ্যালো পিওর গোল্ড
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পবিত্র মাহে রমজানের আগে আবারও বাড়লো চিনির দাম। কেজিতে ২০ টাকা বাড়িয়ে প্রতিকেজি সরকারি মিলের চিনির সর্বোচ্চ খুচরা দাম ১৬০ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন (বিএসএফআইসি)।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) এক বিজ্ঞপ্তিতে চিনি ও খাদ্য শিল্প মন্ত্রণালয় জানায়, চিনির এ দাম অবিলম্বে কার্যকর হবে।
এতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক ও দেশীয় চিনির বাজার মূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিএসএফআইসি কর্তৃক উৎপাদিত চিনির বিক্রয়মূল্য পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। বাজারে রোজা উপলক্ষ্যে চিনির বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন।
এখন থেকে করপোরেশনের ৫০ কেজি বস্তাজাত চিনির মিলগেট বিক্রয়মূল্য ১৫০ টাকা (এক কেজি) ও ডিলার পর্যায়ে বিক্রয়মূল্য ১৫৭ টাকা (এক কেজি) নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ ছাড়া করপোরেশনের ১ কেজি প্যাকেটজাত চিনির মিলগেট বা করপোরেট সুপারশপ বিক্রয়মূল্য ১৫৫ টাকা ও বিভিন্ন সুপারশপ, চিনি শিল্প ভবনের বেজমেন্টে ও বাজারে সর্বোচ্চ খুচরা বিক্রয়মূল্য ১৬০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বাজারে সরকারি চিনির নামে মোড়কজাত করে চড়া দামে বিক্রি করছে কিছু প্রতিষ্ঠান। সবশেষ কেজিপ্রতি ১৪০ টাকা চিনির মূল্য নির্ধারণ করে সংস্থাটি।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের জন্য ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ কিনছে ভারত। এই খবরে দেশের বাজারে ব্যাপক দরপতন শুরু হয়েছে। সরবরাহ বাড়তে থাকায় খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজিতে অন্তত ৩০ টাকা কমেছে। অথচ রোজা শুরুর আগেও পেঁয়াজের দাম বাড়ছিল। বাজার নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে সরকার তখন ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করার বিশেষ উদ্যোগও নিয়েছিল।