নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:০৭ পিএম, ০১ মার্চ, ২০২১
কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলা পরিষদের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের এমপি রাজী মোহাম্মদ ফখরুলের নিজ কেন্দ্রে নৌকা পেয়েছে ১৬ ভোট। আর ধানের শীষ পেয়েছে ৯৮১ ভোট।
রবিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদের উপ-নির্বাচনের এমন ভোট পড়েছে।
জানা গেছে, উপজেলার গুনাইঘর উত্তর ইউনিয়নের ৭৯ নম্বর কেন্দ্র বনকোট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে মোট ভোটার ছিলেন ১৩১৯ জন। ১০০৭ জন ভোটার ভোট প্রদান করেছেন। এরমধ্যে ৬টি ভোট বাতিল করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ নৌকা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন মাত্র ১৬ ভোট। বিএনপির প্রার্থী এ এফ এম তারেক ধানের শীর্ষ নিয়ে পেয়েছেন ৯৮১ ভোট। আবদুল হক খোকন আনারস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২ ভোট। আবদুল আউয়াল সরকার লাঙ্গন প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২ ভোট।
কুমিল্লা-৪ আসনের আওয়ামী লীগের রাজী মোহাম্মদ ফখরুলের বাড়ি গুনাইঘর উত্তর ইউনিয়নের বনকোট গ্রামে। এই গ্রামেই নৌকার প্রার্থী পেয়েছেন মাত্র ১৬ ভোট, যে মোট ১১৪টি কেন্দ্রের সবচেয়ে নিম্ন ভোট। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজী মোহাম্মদ ফখরুল নৌকা নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন। এর আগে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে এমপি হয়েছিলেন।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, কুমিল্লা-৪ (দেবিদ্বার) আসনের আওয়ামী লীগের এমপি রাজী মোহাম্মদ ফখরুলের চাচা ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এ এফ এম ফখরুল ইসলাম মুন্সীর ছোট ভাই এ এফ এম তারেক এবার ধানের শীষ নিয়ে ভোট করেন। ২০১৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত দেবিদ্বার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে এ এফ এম তারেক দোয়াত-কলম প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে পরাজিত হন।
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনের সময় আওয়ামী লীগের সব রকম কমিটি গঠন ও সম্মেলন বন্ধ থাকবে।
শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক বিফ্রিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের উপজেলা পর্যায়ে নির্বাচন হচ্ছে। সামনে প্রথম পর্যায়ের নির্বাচন হবে। এই নির্বাচন চলাকালে উপজেলা বা জেলা পর্যায়ে কোনো সম্মেলন, মেয়াদোত্তীর্ণ সম্মেলন, কমিটি গঠন এই প্রক্রিয়া বন্ধ থাকবে’।
মন্ত্রী-এমপির নিকটাত্মীয়দের উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, নিকটজনদেরকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে হবে। যারা ভবিষ্যতে করতে চায় তাদেরও নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে দূরে থাকতে বলা হয়েছে। যারা আছে তাদের তালিকা তৈরি করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।
নির্দেশনা দেওয়া হলেও অনেকেই এখনো নির্বাচনে আছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রত্যাহারের তারিখ শেষ হোক, তার আগে এ বিষয়ে কীভাবে বলা যাবে।
ওবায়দুল কাদের উপজেলা নির্বাচন সেতুমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
জামায়াত বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি তারেক জিয়া বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
জামায়াতে ইসলামও কী বিএনপিকে ধোঁকা দিল? বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট এই রাজনৈতিক দলটি ঘোষণা করেছে যে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা না দিলেও প্রথম পর্বে যে সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ হয়েছে সেখানে জামায়াতের ২৩ জন সদস্যের নামের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।