নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:৫৯ পিএম, ০৬ মার্চ, ২০২১
নোয়াখালী এখন আওয়ামী লীগের নতুন মাথাব্যথার নাম। কিছুতেই যেন নিয়ন্ত্রণে আসছে না নোয়াখালী। নোয়াখালীতে আওয়ামী লীগের বিরোধ, প্রকাশ্য কাঁদা ছোড়াছুড়ি, সারাদেশে আওয়ামী লীগের রাজনীতিকে অস্থির করে তুলেছে। গতকাল শুক্রবার নোয়াখালীর আওয়ামী লীগ নেতার এক বক্তব্যের পর, নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে। নোয়াখালী আওয়ামী লীগের নেতা একরামুল করিম চৌধুরী বলেছেন ‘নোয়াখালী আমি চালাই।’ তার এই বক্তব্যের পর রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে তোলপাড় শুরু হয়েছে। রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রশ্ন উঠেছে, আওয়ামী লীগ সরকার কি তাহলে বিভিন্ন জেলা এমপিদের লীজ দিয়েছে? একটি জেলা চলে স্থানীয় সরকারের অধীনে। জেলায় জেলা প্রশাসক আছেন, এস.পি আছেন, জেলা জজ আছেন। তাদের বাদ দিয়ে একজন এম.পি কিভাবে জেলার চালক হন, সে প্রশ্ন উঠেছে। বিএনপি-জামাত জোট সরকারের আমলে, জেলায় জেলায় এম.পি শাসন ছিলো। জেলার প্রশাসন ছিলো অসহায়। রাজশাহীর এমপি ব্যারিস্টার আমিনুল হকের কথায় থানা থেকে খুনের আসামী ছেড়ে দেয়া হতো। চট্টগ্রামের এমপি সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর নির্দেশে জেলা প্রশাসককে এক কাপড়ে বের করে দেয়া হতো। একরামুল করিম চৌধুরী এই মন্তব্যের পর আবার সেই দিন ফিরে এলো কিনা প্রশ্ন উঠেছে। তিনি কিভাবে এই মন্তব্য করলেন? সে প্রশ্ন নিয়ে আওয়ামী লীগের ভেতরও নানা কথাবার্তা হচ্ছে।
আওয়ামী লীগের রাজনীতি বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জেলা আওয়ামী লীগ সার্বিক রাজনীতির জন্য ক্ষতিকর হয়ে উঠেছিল। এক সময় ফেনীর জয়নাল হাজারী সারাদেশে আওয়ামী লীগের ইমেজ নষ্ট করেছিল। শামীম ওসমান আর সেলিনা হায়াৎ আইভীর বিরোধ কেবল নারায়ণগঞ্জেই সীমাবদ্ধ থাকেনি। সারাদেশে এর প্রভাব পরেছিল। এখন আওয়ামী লীগের নতুন সমস্যা আক্রান্ত জেলা হলো নোয়াখালী। নোয়াখালীর ঘটনা জাতীয় রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ একারণে যে, এটি আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নির্বাচনী এলাকা। আওয়ামী লীগের অনেক নেতাই মনে করেন, নোয়াখালীর বিরোধ আসলে কাদের মির্জা আর একরাম চৌধুরীর বিরোধ নয়। নোয়াখালীর বিরোধ আসলে ওবায়দুল কাদের এবং একরাম চৌধুরীর বিরোধ। আওয়ামী লীগের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির জেলায় যদি একরাম করিম চৌধুরীর শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়, তাহলে আওয়ামী লীগ কোথায় থাকে?
মন্তব্য করুন
বিএনপি নেতারা জিয়াউর রহমানকে নিয়ে যেসব কথা বলে তা শুনলে জিয়াউর
রহমানও কবরে শুয়ে লজ্জা পেয়ে যেতেন বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাজধানীর প্রেসক্লাবে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
এ সময় তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান জীবদ্দশায় কখনো শুনেননি তিনি স্বাধীনতার ঘোষক।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, স্কুল ঘণ্টা যেমন দপ্তরি বাজায়, তেমনি জিয়াউর
রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেছিলেন বঙ্গবন্ধুর পক্ষে। আজকে বিএনপি নেতা আব্দুল মঈন
খান অনেক কথা বলেন। মঈন খানের বাবা আব্দুল মোমেন খান ৭৪ সালে খাদ্য সচিব ছিলেন। তিনি
ষড়যন্ত্র করে মার্কিন খাদ্যবাহী জাহাজ ফেরত পাঠিয়েছিলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান আব্দুল মোমেন খানকে মন্ত্রী
বানিয়েছিল। মঈন খান নিজেও সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছিল, দরকার পড়লে দেশ বিক্রি করে দেব।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান
মাহমুদ বলেন, দেশ সমৃদ্ধির দিকে যখনই এগিয়ে যাচ্ছিল তখনই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়।
বিএনপি জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক বানানোর জন্য যেভাবে দাবি করে জিয়াও সেভাবে
কখনো দাবি করেনি। জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের ছত্রছায়া পাকিস্তানিদের পক্ষে কাজ করেছে।
জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগের অধীনেই মুক্তিযুদ্ধের সময় বেতন ভুক্ত কর্মচারী ছিলেন।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতাদের কথা হাস্যরসের সৃষ্টি করে। বিএনপির নেতা মঈন খানের বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, যার বাবার জন্য এদেশে দুর্ভিক্ষ হয়েছে তার মুখে এসব কথা মানায় না। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর থেকে ইতিহাস বিকৃতি করে বিএনপি নেতারা বিশদকার বিষোদগার করছে কিন্তু এখন সঠিক ইতিহাস জনগনের সামনে আসার পর তাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। বিএনপির ইতিহাস বিকৃতির পাশাপাশি দেশের জনগণকেও বিভ্রান্তি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
বিএনপি ড. হাছান মাহমুদ আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
বিএনপি ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করে, অপপ্রচার করে, মিথ্যাচার করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। শুক্রবার (২৯ মার্চ) আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির উদ্যোগে ইফতার ও ঈদসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ নেত্রী নির্দেশ দিয়েছেন ইফতার পার্টি না করে, সাধারণ মানুষের মাঝে ইফতার বিতরণ করতে। আর বিএনপি বড় বড় হোটেলে ইফতার পার্টির আয়োজন করে। আর সেই ইফতার পার্টিতে তারা আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করে, অপপ্রচার করে, মিথ্যাচার করে।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা বলে দিল্লির শাসন মেনে নেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগ পাকিস্তানে সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। আসলে বিএনপির হৃদয়ে এবং চেতনায় পাকিস্তান। আওয়ামী লীগের চেতনা এবং হৃদয়ে বাংলাদেশ, কোনো বিদেশিদের দাসত্ব নয়।
তিনি বলেন, বিএনপির চারদিকে অন্ধকার, শেখ হাসিনার জনকল্যাণমুখী বিচক্ষণ রাজনীতি বিএনপিকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিয়েছে। বিএনপি নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করেছিল। ব্যর্থ হয়ে এখনো অসংলগ্ন কথা বলছে। আশি ভাগ বিএনপি নেতাকর্মীকে দমন-পীড়ন করা হচ্ছে বলে তারা মিথ্যাচার করছে।
এসময় মির্জা ফখরুলকে মিথ্যাচার করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, তাদের মিথ্যাচারের রাজনীতি কেউ গ্রহণ করছে না বলেই তারা সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে। বিশ্ব সংকটের প্রভাবের পরও শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্বের কারণে অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশের মানুষ এখনো ভালো আছে।
ওবায়দুল কাদের রাজনীতি সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি সভাপতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বেগম খালেদা জিয়া শামীম ইস্কান্দার
মন্তব্য করুন
বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার জন্য নতুন করে তৎপরতা শুরু করেছে তার পরিবারের সদস্যরা। বিশেষ করে বেগম জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার ইতোমধ্যে বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার জন্য সরকারের বিভিন্ন মহলের সঙ্গে নতুন করে যোগাযোগ শুরু করেছেন। বেগম জিয়া আর ভবিষ্যতে রাজনীতি করবেন না, রাজনীতি থেকে অবসর নেবেন এ রকম একটি বক্তব্য সামনে নিয়ে আসছেন শামীম ইস্কান্দার।