ইনসাইড পলিটিক্স

ফের ‘ক্ষেপেছেন’ মাহতাব

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯:৫০ পিএম, ০৬ মার্চ, ২০২১


Thumbnail

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভেতর নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা নিয়ে ফের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী। এ ধরনের কর্মকাণ্ডে জড়িতদের ‘সুবিধালোভী, ভাসমান, নষ্ট, ভ্রষ্ট, বিপথগামী এবং দেশ ও দলের জন্য ক্ষতিকর’ বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।

শনিবার (৬ মার্চ) নগরীর থিয়েটার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে নগর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় প্রবীণ নেতা মাহতাব ক্ষোভ ঝাড়েন।

সভাপতির বক্তব্যে মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ টানা একযুগ ধরে ক্ষমতায়। তাই দলে সুবিধালোভী, ভাসমান অস্তিত্ববিহীন কিছু মানুষের ভিড় বেড়েছে। এদের লক্ষ্য একটাই— পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের নানাভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করে পদ হাতিয়ে নিয়ে নিজেদের আখের গোছানো এবং নেতৃত্বের যোগ্যতাকে খাটো করে, অসম্মান করে কু-উদ্দেশ্যে নিজেকে যোগ্য হিসেবে জাহির করা।’

মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মধ্যকার ঐতিহাসিক একটি ঘটনা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘ইতিহাস থেকে আমাদের রাজনীতিকদের, নেতাকর্মীদের শিক্ষা নিতে হবে। কারণ আমাদের কেউ কেউ আজ নষ্ট ও ভ্রষ্ট। এরা বিপথগামী এবং দেশ ও দলের জন্য ক্ষতিকর।’

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর মৃত্যুর পর গত তিন বছর ধরে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী। সম্প্রতি নগর আওয়ামী লীগের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি বিলুপ্ত করে সম্মেলন অথবা কেন্দ্র থেকে নতুন কমিটি ঘোষণার দাবিতে চট্টগ্রাম শহরজুড়ে ব্যানার টানানো হয়। এ নিয়ে গত ২০ ফেব্রুয়ারি দলের এক সভায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে মাহতাব বলেন, ‘তাহলে আমরা কি অযোগ্য?’

শনিবারের সভায় নগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনও একই বিষয়ে ইঙ্গিত করে বলেন, ‘সংকীর্ণতা ও ব্যক্তিস্বার্থ পরিহার করে দলের স্বার্থকে বড় করে দেখতে হবে। সাধারণ মানুষের মাঝে যার গ্রহণযোগ্যতা আছে, যিনি ঝড়ঝাপ্টা সহ্য করতে পারেন, তাকে টেনে আনতে হবে। আমরা প্রায়ই নিজেকে প্রাধান্য দিই। কিন্তু অন্যের যোগ্যতা ও সক্ষমতাকে আমলে নিতে চাই না। এতে দলের ভিত্তি দুর্বল হয়।’

সভায় এক সাংগঠনিক সিদ্ধান্তে প্রতিটি ওয়ার্ডে কার্যকরী কমিটির সভা করে নতুন সদস্যদের যাচাই-বাছাই এবং ৭ মার্চের কর্মসূচি পালনের নির্দেশনা দেওয়া হয়।

বর্ধিত সভায় উপস্থিত ছিলেন নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সুনীল কুমার সরকার, ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য নোমান আল মাহমুদ, শফিক আদনান, চৌধুরী, হাসান মাহমুদ হাসনী, শফিকুল ইসলাম ফারুক, ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, চন্দন ধর, আহমেদুর রহমান সিদ্দিকী, মোহাম্মদ হোসেনসহ বিভিন্ন সাংগঠনিক থানা ও ওয়ার্ডের নেতারা।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বিএনপিতে প্রকাশ্য বিদ্রোহ

প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা না করা নিয়ে প্রকাশ্য বিদ্রোহ দেখা দিচ্ছে বিএনপিতে। বিএনপির একাধিক শীর্ষ নেতা জানিয়েছেন, দল সামলাতে তারা হিমশিম খাচ্ছে। উপজেলা নির্বাচনে এখন পর্যন্ত যে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে তাতে শুধুমাত্র প্রথম পর্যায়ের জন্য মনোনয়ন পত্র দাখিল সমাপ্ত হয়েছে। 

প্রথম পর্যায়ে যে মনোনয়নপত্র দাখিল করা হয়েছে সেখানে এখন পর্যন্ত বিএনপির ৯৭ জন নেতা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বলে নিশ্চিত তথ্য পাওয়া গেছে। বিএনপির এই নেতারা এখন কিছুতেই মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারে রাজি নন। বরং তারা বলছেন যে, নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর এ ধরনের সিদ্ধান্ত আত্মঘাতী এবং অমর্যাদাকর।

বিএনপির যারা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তাদের বক্তব্য হচ্ছে যে, তারা দলীয় প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন না। উপজেলা নির্বাচন দলগতভাবে হচ্ছে না। আর একারণেই উপজেলা নির্বাচনে যদি তারা অংশগ্রহণ করে সেজন্য দল তাদেরকে বাধা দিতে পারে না। বিএনপির যারা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন তাদের বক্তব্য হল সুস্পষ্ট। তারা বলছেন যে, যদি দলীয় প্রতীকে নির্বাচন নির্বাচন হতো এবং দলের জন্য মনোনয়নের ব্যবস্থা করা হত তাহলে এই নির্বাচনে বিএনপির নেতাদেরকে নির্দেশনা দেওয়ার একটা বিষয় ছিল। কিন্তু যেহেতু তারা স্বউদ্যোগে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন সেজন্য এই নির্বাচনের ব্যাপারে কেন্দ্রের কোন নির্দেশনা থাকা উচিত নয় বা কেন্দ্রীয় নির্দেশনা দিতে পারেন না। 

প্রথম ধাপে ৮ মে অনুষ্ঠিত হবে ১৫২টি উপজেলার নির্বাচন। এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিভক্ত অবস্থায় রয়েছে। প্রায় প্রতিটি উপজেলায় আওয়ামী লীগের তিন থেকে চারজন প্রার্থী রয়েছেন বলে জানা গেছে। আর এরকম পরিস্থিতিতে বিএনপির যারা নির্বাচনে ইচ্ছুক তারা মনে করছেন যে, এটি তাদের জন্য একটি সুবর্ণ সুযোগ। বিভক্ত আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে একক বিএনপি প্রার্থী উপজেলাগুলোতে আওয়ামী লীগের জন্য একটি বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে এবং এটি সংগঠনের জন্য লাভ হবে বলে অনেকে মনে করছেন। 

উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন এরকম অন্তত দু জনের সঙ্গে আলাপ করে দেখা গেছে। তারা বলছেন যে, বিএনপি কোনো রকম বিচার বিবেচনা ছাড়া এবং বাস্তবতাকে উপলব্ধি না করেই নির্বাচনের ব্যাপারে একতরফা এবং অবাস্তব সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। যার সাথে বাস্তবতার কোন মিল নেই৷ এমনিতেই বিএনপির সংগঠনের অবস্থা নাজুক। নেতাকর্মীদের মধ্যে অনেকে জেলে, অনেকে পলাতক। এরকম অবস্থায় স্থানীয় পর্যায়ে নির্বাচন সংগঠন শক্তিশালী করার একটি বড় ধরনের উপায় বলে অনেকেই মনে করছেন। আর এ কারণেই তারা কেন্দ্রীয় নির্দেশ অমান্য করে উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণের ব্যাপারে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন এবং এ নিয়ে তারা কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে কথা বলছেন।

বিএনপির অনেক নেতা স্বীকার করেছেন যে, উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে দল চাঙা হত এবং সাংগঠনিক কার্যক্রম বাড়ানো যেত। আর এ কারণেই তারাও উপজেলা নির্বাচনে যারা অংশগ্রহণ করছে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা না গ্রহণ করার পক্ষে। তবে বিএনপির বিভিন্ন মাঠ পর্যায়ের নেতা যারা আগ্রহী আছেন তারা বলেছেন যে, বিএনপি যদি তাদেরকে হবিষ্কারও করে তাহলেও তাদের কিছু যায় আসে না। তারপরও তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে রাজি।

বিএনপি   বিদ্রোহ   উপজেলা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

এক যুগেও নেই ইলিয়াস আলীর সন্ধান, ফেরার প্রত্যাশায় বিএনপি

প্রকাশ: ০৯:৩৩ এএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ঢাকার বনানীর বাসায় ফেরার পথে গাড়িচালক আনসার আলীসহ ২০১২ সালের ১৭ এপ্রিল নিখোঁজ হন বিএনপির তৎকালীন সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি এম ইলিয়াস আলী। এক যুগ পার হলেও ইলিয়াস আলী জীবিত না মৃত সে খবর কেউ দিতে পারেনি দীর্ঘ এই সময়ে।

তবে সিলেটের বিএনপি নেতারা মনে করেন, ইলিয়াস সরকারের হেফাজতে অক্ষতই আছেন। তাকে ফিরে পেতে কেবল সরকারের সদিচ্ছার প্রয়োজন। নিখোঁজের ১২ বছর পূর্তিতে তাকে ফিরে পেতে গতকাল নানা কর্মসূচি পালন করেছে সিলেট বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠন। ইলিয়াস আলী ‘নিখোঁজ’র পর সিলেটে গঠন করা হয় ‘ইলিয়াস মুক্তি সংগ্রাম পরিষদ’। এ বছর ‘ইলিয়াস মুক্তি সংগ্রাম পরিষদ’র কোনো কর্মসূচি না থাকলেও সমাবেশ, স্মারকলিপি প্রদান এবং দোয়া ও মিলাদ মাহফিল করেছে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠন। এক যুগেও ইলিয়াসের সন্ধান না মিললেও হাল ছাড়েননি বিএনপি নেতারা।

তাদের ধারণা, ইলিয়াস আলী এখনো জীবিত আছেন। ইলিয়াসের অবস্থান সম্পর্কে সরকার জ্ঞাত আছে। কিন্তু সরকারের সদিচ্ছার অভাবে ইলিয়াস আলীর সন্ধান মিলছে না। ইলিয়াস আলী নিখোঁজের এক যুগপূর্তির দিন গতকাল জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে সিলেট বিএনপি। এ ছাড়া বাদ আসর জেলা বিএনপির উদ্যোগে হজরত শাহজালাল (রহ.) দরগাহ মসজিদে ইলিয়াস আলীর সন্ধান কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এ ছাড়া ইলিয়াসকে ফিরে পেতে বাদ জোহর একই মসজিদে দোয়া ও মিলাদের আয়োজন করে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল। স্মারকলিপি প্রদানের আগে গতকাল দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করে বিএনপি।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, দীর্ঘ ১২ বছর ধরে ইলিয়াস আলী ফেরার অপেক্ষায় আছেন সিলেটবাসী। ইলিয়াসের জনপ্রিয়তায় আতঙ্কিত হয়ে সরকার তাকে গুম করেছে।

ইলিয়াস নিখোঁজ প্রসঙ্গে জেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি অ্যাডভোকেট আশিক উদ্দিন বলেন, ইলিয়াস আলীর সন্ধান পেতে তার সহধর্মিণী হাই কোর্টে রিট করেছিলেন। কিন্তু সরকারের অদৃশ্য হস্তক্ষেপে এক যুগেও সেই রিটের শুনানি হয়নি। এতে প্রমাণিত হয় ইলিয়াস নিখোঁজের পেছনে সরকার জড়িত।


ইলিয়াস আলী   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

খন্দকার মোশাররফকে দেখতে বাসায় গেলেন ফখরুল

প্রকাশ: ০৯:৩৫ পিএম, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপি সিনিয়র স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেনের স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নিতে তার বাসায় যান দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা ৫০ মিনিটে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের গুলশানের বাসায় যান বিএনপি মহাসচিব। এরপর প্রায় এক ঘণ্টা তারা একান্ত আলাপ করেন।

বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এই তথ্য জানান। তিনি বলেন, এই দুই নেতা একান্তে প্রায় এক ঘণ্টা সময় কাটান। এ সময় দুজন পরস্পরের খোঁজ নিয়েছেন।

উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ খন্দকার মোশাররফ হোসেন। এরপর দুই দফায় সিঙ্গাপুর থেকে চিকিৎসা নিয়ে দেশে ফেরেন তিনি।

খন্দকার মোশাররফ হোসেন   মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

নির্বাচন বর্জন: লাভের চেয়ে ক্ষতি হচ্ছে বেশি বিএনপির

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

উপজেলা নির্বাচনে নাটকীয়ভাবে বর্জনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে দীর্ঘ ১৭ বছরের বেশি ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি। বিএনপির এ সিদ্ধান্তে হতবাক স্থানীয় পর্যায়ের নেতারা। 

বিএনপির স্থানীয় পর্যায়ের একাধিক নেতার সঙ্গে আলাপ করে দেখা গেছে যে, শেষ পর্যন্ত তাদের ধারণা ছিল উপজেলা নির্বাচনের বিষয়টি তারা উপেক্ষা করবে। এমনকি দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ সিনিয়র নেতারা অনেক প্রার্থীকে সবুজ সংকেত দিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ মুহূর্তে গতকাল বিএনপি উজজেলা নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। 

উপজেলা নির্বাচন এবার দলীয় প্রতীকে হচ্ছে না। উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রতীক ব্যবহার করছে না। এরকম একটি নির্বাচন বিএনপি কেন বর্জন করলো এবং এ বর্জনের ফলে কি লাভ হবে তা নিয়ে বিএনপির মধ্যেই আলোচনা হচ্ছে।
ইতিমধ্যেই প্রথম দফা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিএনপির দলীয় পদ পদবী রয়েছে এমন ৪৭ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। দলীয় পদ পদবী নেই কিন্তু বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত এরকম আরও ৭৬ জন উপজেলা নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছিলেন। এখন তারা কি করবেন এ নিয়ে তারা নিজেরাই একটি বিব্রতকর অবস্থায় রয়েছেন। 

বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে যে, যারা উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন তারা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে কথা বলেই মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। এবং তাদের আশ্বস্ত করা হয়েছিল যে, নির্বাচনের ব্যাপারে বিএনপি নমনীয় থাকবে। কিন্তু গতকাল বিএনপির এ সিদ্ধান্ত তাদেরকে হতাশ করেছে। এর ফলে বিএনপির মধ্যে দু’ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছে। 

অনেকেই যারা স্থানীয় পর্যায়ে পদ পদবী গ্রহণ করে আছেন তারা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে পারেন। কারণ যদি নির্বাচনে তারা অংশগ্রহণ করেন, তাহলে তাদেরকে বহিষ্কার করা হবে। এর আগে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে সিটি কর্পোরেশনসহ স্থানীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায় ২ শতাধিক বিএনপির নেতাকে বহিষ্কার করা হয়। এখন আবার নতুন করে বিএনপি যদি তাদেরকে বহিষ্কার শুরু করে তাহলে তাদের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার ক্ষতিগ্রস্থ হবে। একারণে অনেকে প্রত্যাহার করতে পারেন। কমিটিতে যাদের পদ পদবী নেই তাদেরকে নির্বাচন থেকে সরিয়ে রাখা কঠিন হবে বলে অনেকে মনে করছেন।  

সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বিএনপি সভাপতি নরেন্দ্র চন্দ্র সরকার প্রার্থী হয়েছেন। তিনি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে কথা বলেই প্রার্থী হয়েছেন। এখন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তার ফোন ধরছেন না বলে তিনি জানিয়েছেন। 

বিএনপির একাধিক সূত্র বলছে, মূলত দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান শেষ মুহূর্তে নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এবং এ সরে যাওয়ার সিদ্ধান্তটি দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকেও আলোচিত হয়নি বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। 

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে যে, উপজেলা নির্বাচন করা নিয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেই আলোচনাটি শেষ পর্যন্ত হয়নি। এবং এ আলোচনা না হওয়ার কারণে এখন দলটি নতুন করে সংকটের মধ্যে পড়তে যাচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।

নির্বাচন বর্জন   বিএনপি   উপজেলা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

মন্ত্রী-এমপিরাই আওয়ামী লীগের নির্দেশ মানছে না

প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়েছে যে, মন্ত্রী এবং এমপিরা উপজেলা নির্বাচনে কোন প্রার্থীকে সমর্থন করতে পারবে না। তাদেরকে নিরপেক্ষ অবস্থানে থাকতে হবে। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও একই রকম বার্তা দিয়েছেন। এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে লিখিত নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে। কিন্তু এই সমস্ত নির্দেশনা উপেক্ষা করে আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিরা উপজেলা নির্বাচনে নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে বিজয়ী করাতে মাঠে নেমেছেন। এমনকি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের নির্বাচনী এলাকাতেই এমপিরা প্রার্থীর নাম ঘোষণা করছেন। 

আওয়ামী লীগের যারা যারা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন তাদের তালিকা পর্যালোচনা করলে দেখা যাচ্ছে যে, আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের পছন্দের প্রার্থীদেরকে উপজেলায় দাঁড় করানো হচ্ছে। 

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অন্তত এক ডজন বার নির্দেশ দিয়েছেন মন্ত্রী এবং এমপিরা যেন উপজেলা নির্বাচনে নিরপেক্ষ অবস্থানে থাকে। কিন্তু আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের এই নির্দেশ মানা হয়নি তার জেলাতেই। তিনি নির্দেশ দেয়ার পরও তার জেলায় এমপিরা আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়ে তাদের পছন্দের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করছেন। অনেক স্থানে এমপিদের আত্মীয়-স্বজন প্রার্থী হয়েছেন। 

নোয়াখালীতে দুই এমপির ছেলে প্রার্থী হয়েছেন। হাতিয়ায় চেয়ারম্যান পদে নোয়াখালী-৬ আসনের এমপি মোহাম্মদ আলীর বড় ছেলে আশিক আলী এবং সুবর্ণচরে চেয়ারম্যান পদে নোয়াখালী-৪ আসনের এমপি মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরীর ছেলে আতাহার ইসরাক শাবাব চৌধুরী প্রার্থী হয়েছেন, নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের এমপি মামুনুর রশিদ কিরনের ছেলেকেও প্রাথী ঘোষণা করেছেন এমপি নিজে। 

শুধু তাই নয়, চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের এমপি আলী আজগর টগরের ছোট ভাই আলী মুনছুর বাবু চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন এবং সেখানে এমপি সরাসরিভাবে প্রার্থী হিসেবে তার নাম ঘোষণা করেছেন। অনেক স্থানে মন্ত্রী এবং এমপিরা তাদের প্রার্থীদের জন্য আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়ে নামছেন। 

মাদারীপুরের সদর উপজেলায় শাজাহান খানের বড় ছেলে আসিবুর রহমান খান প্রার্থী হয়েছেন এবং শাজাহন খান তার পক্ষে কাজ করছেন বলেও জানা গেছে। নরসিংদী-২ আসনের ডা. আনোয়ারুল আশরাফ খান দিলিপের শ্যালক ঘোড়াশাল পৌরসভার সাবেক মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি শরিফুল হককে দলীয় প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। দলীয় প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। অথচ আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী হিসেবে কাউকেই দিচ্ছে না। 

মুন্সিগঞ্জ-৩ আসনের এমপি মোহাম্মদ ফয়সাল বিপ্লব ও তার পরিবারের চাপে সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়ন জমা দেননি বলে অভিযোগ করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আফসার উদ্দিন ভূঁইয়া। এভাবে নির্বাচনের ব্যাপারে এমপিদের প্রভাব এবং প্রতিপত্তি বেড়েই চলেছে। 

সবচেয়ে দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটেছে নাটোরে। সেখানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী ও নাটোর-৩ আসনের এমপি জুনায়েদ আহমেদ পলকের শ্যালক প্রার্থী হয়েছেন। এবং তাকে জিতিয়ে রাখার জন্য একজন প্রার্থীকে অপহরণের অভিযোগও উঠেছে। নির্বাচন কমিশন এই বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছে। তবে আওয়ামী লীগের লোকজন বলছেন যে, এটি একটি অমার্জনীয় অপরাধ। 

বিভিন্ন উপজেলায় প্রার্থীতার হিসাব পর্যালোচনা করে দেখা যায়, আওয়ামী লীগের এমপিদের স্ত্রী, সন্তান, ভাই, ভাতিজা, শ্যালক, মামা-ভাগ্নেসহ নানা রকম আত্মীয় স্বজন উপজেলা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। ফলে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল সেই নির্দেশনা অমান্য হচ্ছে।  


আওয়ামী লীগ   উপজেলা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন