নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:৫৯ পিএম, ০৮ মার্চ, ২০২১
আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে শেখ ফজলে নূর তাপসের উত্থানটা অনেকটাই এলাম, দেখলাম, জয় করলাম এর মত। যদিও তিনি রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান। তার বাবা শহীদ শেখ ফজলুল হক মনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব ছিলেন। আওয়ামী যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে নয়, দৈনিক বাংলার বানীর সম্পাদক হিসেবে একজন ব্যতিক্রমী রাজনৈতিক চিন্তাশীল ব্যক্তি হিসেবে তার স্থান হবে ইতিহাসে। কিন্তু শেখ ফজলে নূর তাপস শেখ ফজলুল হক মনির পুত্র হলেও তিনি রাজনীতিতে আলোচনায় আসেন ওয়ান-ইলেভেনের সময়। যে সময় আওয়ামী লীগ সভাপতি গ্রেফতার হন এবং আওয়ামী লীগের জাঁদরেল আইনজীবীরা শেখ হাসিনার মামলার দায়িত্ব নিতে অস্বীকৃতি জানান, সে সময়ে শেখ ফজলে নূর তাপস মূলত একজন আইনজীবী হিসেবে পাদপ্রদীপে আসেন। এরপর ২০০৮-এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ তাকে ধানমন্ডি আসনে মনোনয়ন দেয়। তিনবার তিনি ধানমন্ডির আসনে এমপি হওয়ার পর ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়রের জন্য প্রার্থীতা ঘোষণা করেন এবং সাঈদ খোকনকে বাদ দিয়ে আওয়ামী লীগ শেখ ফজলে নূর তাপসকে মেয়র পদে মনোনয়ন দেয়। সেই নির্বাচনে তিনি বিজয়ী হন। এখন মেয়র হিসেবে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন।
আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে তিনি কখনোই কোনো বড় পদে ছিলেন না। বরং এখন ঢাকা মহানগরীতে একটি আলংকারিক পদে তিনি রয়েছেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের মধ্যে গুঞ্জন হলো শেখ ফজলে নূর তাপস ক্রমশ আওয়ামী লীগে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছেন এবং আগামী কাউন্সিলে আওয়ামী লীগের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে তিনি আসতে পারেন বলেও আওয়ামী লীগের মধ্যে গুঞ্জন রয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে মেয়র হিসেবে যেমন তাপস ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন, পাশাপাশি সাংগঠনিক কাজেও তাকে আগের চেয়ে অনেক বেশি মনোযোগী এবং তৎপর দেখা যাচ্ছে। ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উপলক্ষে কর্মসূচীতে শেখ ফজলে নূর তাপস তাৎপর্যপূর্ণ কথা বলেছেন। প্রথমবারের মতো বিএনপিকে সমালোচনা করে তিনি বক্তব্য রেখেছেন। এই সমালোচনার মধ্যে অনেকেই মনে করছেন যে মূলধারার রাজনীতিতে নেতৃস্থানীয় পদে হয়তো তাপস আসতে পারেন। আগামী আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অধিবেশন নির্দিষ্ট মেয়াদের আগেই হওয়ার গুঞ্জন উঠেছে আওয়ামী লীগে। সেই কাউন্সিলে অনেক তরুণদের প্রধান্য থাকার আভাসও পাওয়া যাচ্ছে। আর সেখানে শেখ ফজলে নূর তাপসের নাম তো আলোচনায় আছে। নানাকারণেই তাপস আওয়ামী লীগের মধ্যে জনপ্রিয়তা পাচ্ছেন। তিনি একজন সৎ এবং দক্ষ প্রশাসক হিসেবে ইতিমধ্যে সুনাম অর্জন করেছেন। তিনি কর্মী বান্ধব এবং রাজনীতিতে তার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ নেই। আর এ কারণেই অনেক মনে করেছেন আওয়ামী লীগের আগামী দিনের গুরুত্বপূর্ণ নেতা হিসেবে শেখ ফজলে নূর তাপস হয়তো আবির্ভূত হতে পারে।
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া তারেক জিয়া বিএনপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল
মন্তব্য করুন
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
ড. আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।
উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। তবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেও নীতিমালার কারণে বেঁচে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।