নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৩৯ পিএম, ০২ এপ্রিল, ২০২১
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক প্রয়াত মো. শাজাহানের স্মরণে দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আওয়ামী লীগে সুবিধাভোগী কর্মীদের দরকার নেই। দরকার শাজাহানের মতো নিবেদিত কর্মীদের।
শুক্রবার (২ মার্চ) বিকেলে সরকারি বাসভবন থেকে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রয়াত মো. শাজাহানের স্মরণে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন তিনি। এসময় করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে দলীয় নেতাকর্মীদের সারাদেশে ক্যাম্পেইন করে জনগণের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
তিনি বলেন, করোনা সংক্রমণ লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে যাচ্ছে। দলীয় নেতাকর্মীদের শতভাগ মাস্ক পরিধান ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। সারাদেশে ক্যাম্পেইন করে জনগণের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। এখন থেকে ঘরোয়াভাবে সীমিত আকারে সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
প্রয়াত শাজাহানকে স্মরণ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আওয়ামী লীগে সুবিধাভোগী কর্মীদের দরকার নেই। দরকার শাজাহানের মতো নিবেদিত কর্মীদের। শাজাহানের মতো কর্মীরাই হচ্ছে আওয়ামী লীগের প্রাণ। দুঃসময়ে যখন কেউ থাকবে না তখন শাজাহানের মতো নিবেদিত কর্মীরাই পাশে থাকবে।
রাজনীতিকদের মধ্যে পারস্পরিক বিশ্বাস গড়ে তুলতে হবে এবং বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে টিমওয়ার্ক গড়ে তুলতে হবে বলেও জানান তিনি।
মন্তব্য করুন
বিএনপি গণ বহিষ্কার উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন রাজনীতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে দলের যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আগেই ঘোষণা করেছিল বিএনপি। এবার সেই ঘোষণার বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। দলের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, গত জাতীয় নির্বাচনের মতো এবারও উপজেলা নির্বাচনও যে একতরফা নির্বাচন, তা বিশ্ববাসীকে দেখাতে চায় দলটি। এমন ভাবনা থেকে ইতোমধ্যে যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তাদের প্রত্যাহার করতে হবে বলে দলের তৃণমূলকে বার্তা দিয়েছে বিএনপি। তবে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজনদের আসন্ন উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দেয়া হলেও সরে দাঁড়াননি অনেকে। এই নির্দেশনা দেয়ার পর প্রতিদিন দলের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুল কাদের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। ব্যক্তিগত ভাবেও তিনি একাধিক এমপির সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা দলীয় নির্দেশনা অমান্য করেছেন। বিষয় বেশ অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে। গতকাল এ নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে কথা বাহাস চলে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানের।
দলীয় সিদ্ধান্ত মানেননি তৃণমূল আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী। প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কঠোর নির্দেশনার পরও নির্বাচনি মাঠ থেকে সরেননি স্থানীয় এমপি-মন্ত্রীর পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা। সোমবার প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনেও তারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। উল্টো নানা যুক্তি দেখিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগের ভিতরও এক ধরনের অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে। বিশেষ করে দলের দুজন প্রেসিডিয়াম সদস্যের ভূমিকা নিয়েও কেন্দ্রের মধ্যে অস্বস্তি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কঠোর নির্দেশ দেয়ার পরও কেন মনোনয়ন প্রত্যাহার করা হলো না এই নিয়ে দলের মধ্যে চলছে নানা রকম আলাপ-আলোচনা।