নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:৫৪ পিএম, ০৮ এপ্রিল, ২০২১
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের তাণ্ডব একাত্তরের পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর বর্বরতা, নির্যাতন ও অগ্নিসংযোগের ঘটনাকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে বলে উল্লেখ করেছেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতৃবৃন্দ।
বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) রাজধানীর পুরানা পল্টনস্থ মুক্তি ভবনের মৈত্রী মিলানায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তারা একথা বলেন।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে ফিরে বাম জোট নেতৃবৃন্দ বলেছেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তান্ডবের জন্য প্রধানতঃ হেফাজতে ইসলামই দায়ী। কিন্তু হেফাজতের তান্ডবের সময় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও সিভিল প্রশাসন কেন নিষ্ক্রিয় ছিলো, সেটাই বড় প্রশ্ন।
সংবাদ সম্মেলনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের বিক্ষোভ কর্মসূচি চলাকালে পুলিশের গুলিতে নিহত হবার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানোর পাশাপাশি ৬ দফা দাবি উত্থাপন ও তা দাবি বাস্তবায়নের দাবি জানানো হয়। সেখানে বলা হয়, হরতাল ও বিক্ষোভ চলাকালে সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা, মন্দির ও উপাসনালয় ভাংচুর এবং অগ্নিসংযোগের সাথে জড়িত ও উস্কানিদাতাদের বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে চিহ্নিত করতে হবে। তাদেরকে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। জেলার আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও সিভিল প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা ও দায়িত্ব পালনে অবহেলার জন্য ডিসি, এসপিসহ সংশ্লিষ্টদের অপসারণ ও বিচার করতে হবে। তদন্ত করে তাদের নিস্ক্রিয় থাকার কারণ দেশবাসীর সামনে তুলে ধরতে হবে।
আরো বলা হয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মানুষের মধ্যে এখনো আতংক ও নিরাপত্তাহীনতা কাজ করছে। ফলে নাগরিকদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে। রাজনীতিতে ধর্মের ব্যবহার ও ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে। ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ সঙ্গীতাঙ্গন, মন্দির, সাংস্কৃতিক ক্লাবসহ ক্ষতিগ্রস্থ বেসরকারি স্থাপনার জন্য ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। ওই সকল দাবি আদায় ও সাম্প্রদায়িক অপশক্তি প্রতিহত করতে সকল বাম-প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক শক্তির ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন বাম জোটের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক বজলুর রশীদ ফিরোজ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, সিপিবির প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুল্লাহ আল কাফি রতন, বাসদ (মার্কসবাদী) নেতা মানস নন্দী, ইউসিবিএল’র কেন্দ্রীয় নেতা নজরুল ইসলাম, গণসংহতি আন্দোলনের বাচ্চু ভুইয়া, সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের হামিদুল হক, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির শহীদুল ইসলাম সবুজ, বাসদ নেতা রাজেকুজ্জামান রতন সহ আরো অনেকেই।
উল্লেখ্য, গত ২৬, ২৭ ও ২৮ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের ডাকা বিক্ষোভ ও হরতাল চলাকালে সংঘটিত প্রকৃত ঘটনা জানতে বাম জোটের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল গত ৪ এপ্রিল ব্রাহ্মণবাড়ীয়া পরিদর্শন করে।
মন্তব্য করুন
জামায়াত বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি তারেক জিয়া বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জামায়াতে ইসলামও কী বিএনপিকে ধোঁকা দিল? বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট এই রাজনৈতিক দলটি ঘোষণা করেছে যে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা না দিলেও প্রথম পর্বে যে সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ হয়েছে সেখানে জামায়াতের ২৩ জন সদস্যের নামের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।
আওয়ামী লীগ দলগতভাবে উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট এবং কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন উপজেলায় মন্ত্রী, এমপি বা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের ভাই ব্রাদার বা স্বজনদেরকে প্রার্থী করা যাবে না। যারা ইতিমধ্যে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।