নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:৫৯ পিএম, ০৮ এপ্রিল, ২০২১
আর একটি দুর্নীতির মামলা যদি বাতিল হয়ে যায় তাহলে জোবায়দার বাংলাদেশে ফেরা নিয়ে আর কোনো বাধা থাকবে না। দেশের সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ জোবায়দার বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা চলবে কি না এ সম্পর্কে একটি আদেশ জারি করবেন খুব শীঘ্রই। বিএনপির অধিকাংশ শীর্ষ নেতাকর্মীরা এই আদেশের দিকে তাকিয়ে আছেন। বিএনপির আইনজীবীরা মনে করছেন হাইকোর্টের আদেশ জোবায়দার পক্ষে আসবে। কারণ তিনি এ ধরনের দুর্নীতির সঙ্গে কখনই যুক্ত ছিলেন না এবং সরাসরি তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির কোনো অভিযোগ আসেনি। অন্যদিকে দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনজীবী বলছেন জোবায়দার বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা চলবে কি চলবে না সেটা আদালতের এখতিয়ারাধীন বিষয়। এ নিয়ে আমরা মন্তব্য করতে চাই না।
এই রায়ের ওপর বিএনপির রাজনীতি এবং নেতৃত্ব অনেকখানি নির্ভর করছে বলে বিএনপির একাধিক সূত্র মনে করছেন। এই মূহুর্তে তারেকের থেকে বেশি গ্রহণযোগ্য হলো তারেকের স্ত্রী জোবায়দা রহমান। বিএনপির একটি বড় অংশ চায় যে তারেক নয় আপাতত জোবায়দা বিএনপির হাল ধরুক এবং কিছুদিন বিএনপিকে একটি সম্মানজন অবস্থায় নিয়ে আসুক। নানা কারণে বিএনপিতে তারেক বিরোধী একটি মনোভাব তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে ২০১৮ সালের নির্বাচনের পর থেকে তারেকের বিরোধীতার মনোভাব লক্ষ্য করা গেছে।অনেকেই বলেন যে তারেক জিয়া মনোনয়ন বাণিজ্য করেছেন। কোটি কোটি টাকা নিয়ে তিনি অযোগ্য এবং দলের স্বার্থবিরোধী লেকজনকে মনোনয়ন দিয়েছেন।
২০১৮ এর নির্বাচনে বিপর্যয়ের জন্য বিএনপি নেতারা তারেকের ভুল নীতি এবং কৌশলকে দায়ি করেন। এছাড়াও তারেক জিয়া লন্ডনে থেকে যেসব নির্দেশনা দেন সেগুলো আত্মঘাতী এবং মতলবী বলেও মনে করছেন বিএনপির অধিকাংশ নেতারা। এখন তারেকের সবচেয়ে বেশি সমালোচনা হচ্ছে কমিটি বাণিজ্য নিয়ে। এখন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন জেলায় যে কমিটিগুলো হচ্ছে সেই কমিটিগুলো যথাযথভাবে হচ্ছে না বলে বিএনপি নেতারা মনে করছেন। সেখানে অর্থকড়ির বড় ভূমিকা রয়েছে বলে তারা জানাচ্ছেন। আর এই বাস্তবতায় তারেকের নেতৃত্ব বিএনপির মধ্যে প্রশ্নবৃদ্ধ। আর সাধারণ মানুষের কাছে তারেকের ইমেজ আগে থেকেই খারাপ ছিলো। সাধারণ মানুষ আগে থেকেই তারেককে একজন দুর্নীতিবাজ, দুর্বৃত্ত মনে করতেন।
আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও তারেকের ইমেজ গ্রহণযোগ্য নয়। ভারত সরাসরিভাবে তারেকের নেতৃত্ব থেকে সরে যাওয়ার প্রেসক্রিপশন দিয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তারেককে জঙ্গিবাদের সাথে সম্পৃক্ত এবং দুর্নীতিবাজ নেতা হিসেবে মনে করেন। এরকম বাস্তবতায়, দলে সাধারণ মানুষের মধ্যে এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তারেকের গ্রহণযোগ্যতা প্রশ্নের মুখে। আর এ কারণেই বিএনপি নেতারা মনে করছেন যে, এই অবস্থায় একজন গ্রহণযোগ্য এবং আস্থাভাজন ব্যক্তি বিএনপির নেতৃত্বে আসা উচিৎ। বিএনপির নেতারা আবার এটাও মনে করেন জিয়া পরিবারের বাইরে কেউ বিএনপির নেতৃত্বে আসলে সেটি সাধারণ কর্মীদের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। তখন বিএনপির অখণ্ডতা রক্ষা করাই কঠিন চ্যালেঞ্জ হয়ে পড়বে। এজন্য জিয়া পরিবারের মধ্যে থেকেই একজনকে বিএনপির আপদকালীন নেতৃত্ব দেয়ার আলোচনা দীর্ঘদিন ধরেই চলছে বিএনপিতে। আর সেই আলোচনায় সবচেয়ে আলোচিত নামটি ছিলো জোবায়দা রহমান।
কিন্তু জোবায়দা রহমান তার স্বামীর সঙ্গে ২০০৮ সালে লন্ডনে পাড়ি দেন এবং সেখানেই তিনি এখনও অবস্থান করছেন। বিভিন্ন সময়ে তাকে দলের নেতৃত্ব দেয়া হবে এমন গুঞ্জন শোনা গেলেও শেষ পর্যন্ত এটি বাস্তবতার ভিত্তি পায়নি। তবে এখন জোবায়দার দুর্নীতির মামলা চলবে কি চলবে না সেটি সিদ্ধান্তের সন্নিকটে দাঁড়িয়ে আছে। বিএনপির অনেক নেতা মনে করছেন, এই মামলা থাকার জন্যই জোবায়দা দেশের আসতে পারেননি। তবে এই মামলাটা যদি না চলে তাহলে জোবায়দা দেশে আসবেন এবং বিএনপির নেতৃত্ব তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে নিক আর না নিক বিএনপিতে যে তার প্রভাব দৃশ্যমান হবে এটি নিশ্চিত। এ ছাড়া বিএনপির মধ্যে একটি বড় অংশ জোবায়দা রহমানকেই পছন্দ করছেন।
মন্তব্য করুন
ভারত বিরোধী বিএনপি রুহুল কবির রিজভী
মন্তব্য করুন
বিএনপি নেতারা জিয়াউর রহমানকে নিয়ে যেসব কথা বলে তা শুনলে জিয়াউর
রহমানও কবরে শুয়ে লজ্জা পেয়ে যেতেন বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাজধানীর প্রেসক্লাবে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
এ সময় তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান জীবদ্দশায় কখনো শুনেননি তিনি স্বাধীনতার ঘোষক।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, স্কুল ঘণ্টা যেমন দপ্তরি বাজায়, তেমনি জিয়াউর
রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেছিলেন বঙ্গবন্ধুর পক্ষে। আজকে বিএনপি নেতা আব্দুল মঈন
খান অনেক কথা বলেন। মঈন খানের বাবা আব্দুল মোমেন খান ৭৪ সালে খাদ্য সচিব ছিলেন। তিনি
ষড়যন্ত্র করে মার্কিন খাদ্যবাহী জাহাজ ফেরত পাঠিয়েছিলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান আব্দুল মোমেন খানকে মন্ত্রী
বানিয়েছিল। মঈন খান নিজেও সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছিল, দরকার পড়লে দেশ বিক্রি করে দেব।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান
মাহমুদ বলেন, দেশ সমৃদ্ধির দিকে যখনই এগিয়ে যাচ্ছিল তখনই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়।
বিএনপি জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক বানানোর জন্য যেভাবে দাবি করে জিয়াও সেভাবে
কখনো দাবি করেনি। জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের ছত্রছায়া পাকিস্তানিদের পক্ষে কাজ করেছে।
জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগের অধীনেই মুক্তিযুদ্ধের সময় বেতন ভুক্ত কর্মচারী ছিলেন।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতাদের কথা হাস্যরসের সৃষ্টি করে। বিএনপির নেতা মঈন খানের বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, যার বাবার জন্য এদেশে দুর্ভিক্ষ হয়েছে তার মুখে এসব কথা মানায় না। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর থেকে ইতিহাস বিকৃতি করে বিএনপি নেতারা বিশদকার বিষোদগার করছে কিন্তু এখন সঠিক ইতিহাস জনগনের সামনে আসার পর তাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। বিএনপির ইতিহাস বিকৃতির পাশাপাশি দেশের জনগণকেও বিভ্রান্তি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
বিএনপি ড. হাছান মাহমুদ আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
বিএনপি ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করে, অপপ্রচার করে, মিথ্যাচার করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। শুক্রবার (২৯ মার্চ) আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির উদ্যোগে ইফতার ও ঈদসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ নেত্রী নির্দেশ দিয়েছেন ইফতার পার্টি না করে, সাধারণ মানুষের মাঝে ইফতার বিতরণ করতে। আর বিএনপি বড় বড় হোটেলে ইফতার পার্টির আয়োজন করে। আর সেই ইফতার পার্টিতে তারা আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করে, অপপ্রচার করে, মিথ্যাচার করে।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা বলে দিল্লির শাসন মেনে নেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগ পাকিস্তানে সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। আসলে বিএনপির হৃদয়ে এবং চেতনায় পাকিস্তান। আওয়ামী লীগের চেতনা এবং হৃদয়ে বাংলাদেশ, কোনো বিদেশিদের দাসত্ব নয়।
তিনি বলেন, বিএনপির চারদিকে অন্ধকার, শেখ হাসিনার জনকল্যাণমুখী বিচক্ষণ রাজনীতি বিএনপিকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিয়েছে। বিএনপি নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করেছিল। ব্যর্থ হয়ে এখনো অসংলগ্ন কথা বলছে। আশি ভাগ বিএনপি নেতাকর্মীকে দমন-পীড়ন করা হচ্ছে বলে তারা মিথ্যাচার করছে।
এসময় মির্জা ফখরুলকে মিথ্যাচার করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, তাদের মিথ্যাচারের রাজনীতি কেউ গ্রহণ করছে না বলেই তারা সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে। বিশ্ব সংকটের প্রভাবের পরও শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্বের কারণে অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশের মানুষ এখনো ভালো আছে।
ওবায়দুল কাদের রাজনীতি সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি সভাপতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন