নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:২১ পিএম, ১২ এপ্রিল, ২০২১
করোনায় আক্রান্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ভালো আছেন বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এফ এম সিদ্দিকী।
সোমবার (১২ এপ্রিল) বিকালে গুলশানে খালেদা জিয়ার বাসা ‘ফিরোজায়’ তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান ডা. এফ এম সিদ্দিকী।
এসময় এফ এম সিদ্দিকী বলেন, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল আছে। তিনি ভালো আছেন, স্বাভাবিক আছেন। এখন পর্যন্ত করোনায় তার শারীরিক কোনো জটিলতা দেখা যায়নি। আর এক সপ্তাহ যদি ওনার অবস্থা এভাবে স্থিতিশীল থাকে, তাহলে বলা যায় উনি বিপদমুক্ত হলেন।’
তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষার সময় আমাদের সাথে যুক্তরাজ্য থেকে চিকিৎসক যুক্ত ছিলেন। এছাড়া বেগম জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানও যুক্ত ছিলেন। তিনি সব কিছু তদারকি করছেন।
সোমবার বিকালে গুলশানে চেয়ারপারসনের বাসা ‘ফিরোজায়’ বসেন মেডিসিন ও বক্ষ ব্যাধি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক এফ এম সিদ্দিকীর নেতৃত্বে মেডিকেল বোর্ড।
মেডিকেল টিমে আরও রয়েছেন বক্ষব্যাধি ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক আব্দুস শাকুর খান, ইউরোলোজিস্ট অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন ও ডা. মো. আল মামুন।
জানা গেছে, খালেদা জিয়ার বর্তমান অবস্থা ও সকল কাগজপত্র ইতোমধ্যে লন্ডনে পাঠানো হয়েছে। ডা. জোবাইদা সব কাগজপত্র দেখে এবং ঢাকার মেডিকেল টিমের চিকিৎসকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা বাসায় নাকি হাসপাতালে হবে, সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন ডা. জোবাইদা রহমান।
মন্তব্য করুন
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি সভাপতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বেগম খালেদা জিয়া শামীম ইস্কান্দার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার জন্য নতুন করে তৎপরতা শুরু করেছে তার পরিবারের সদস্যরা। বিশেষ করে বেগম জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার ইতোমধ্যে বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার জন্য সরকারের বিভিন্ন মহলের সঙ্গে নতুন করে যোগাযোগ শুরু করেছেন। বেগম জিয়া আর ভবিষ্যতে রাজনীতি করবেন না, রাজনীতি থেকে অবসর নেবেন এ রকম একটি বক্তব্য সামনে নিয়ে আসছেন শামীম ইস্কান্দার।
আওয়ামী লীগের তৃণমূল ক্রমশ ভেঙ্গে পড়ছে। বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগের তৃণমূল সংগঠিত করা এবং বিভেদ-বিভক্তির দূর করার জন্য যে ডাক দেওয়া হয়েছিল তারপর একটু পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছিল বলে বটে। কিন্তু এখন আবার উপজেলা নির্বাচনের প্রাক্কালে সারাদেশে তৃণমূল বিভক্ত হয়ে পড়েছে। আওয়ামী লীগের তৃণমূলকে সামাল দেওয়াই এখন কঠিন হয়ে পড়ছে। একদিকে নির্বাচন কেন্দ্রীক বিরোধ অন্যদিকে দলের চেইন অব কমান্ড ভেঙ্গে যাওয়া আর কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তদারকির অভাবে তৃণমূলের আওয়ামী লীগ এখন সবচেয়ে সঙ্কটের মুখে পড়েছেন বলেই মনে করছেন আওয়ামী লীগের নেতারাই।