নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:৪৬ পিএম, ২১ এপ্রিল, ২০২১
বিএনপিকে ক্ষমতায় যেতে হলে জনগণের কাছে ফিরে আসতে হবে। এখন জনকল্যাণের রাজনীতিই বেশি প্রয়োজন। দুর্যোগ, সংকটে লিপ সার্ভিস না দিয়ে বিএনপিকে জনমানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহবান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
বুধবার (২১ এপ্রিল) সকালে খুলনা সড়ক জোন বিআরটিসি, বিআরটিএ`র কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তার সরকারি বাসভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এদেশের রাজনীতি, মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ, গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা ক্ষতিগ্রস্ত করেছে বিএনপি ও প্রতিক্রিয়াশীল চক্র। রাষ্ট্রের প্রতিটি অর্জনকে তারা অপপ্রচার আর অন্ধ সমালোচনায় বিদ্ধ করেছে। তাদের রাজনীতি নেতিবাচক ধারা এবং প্রতিক্রিয়াশীলতায় পুষ্ট। দেশ ও সমাজের গৌরবের দিনগুলো তারা বিতর্কিত করার অপচেষ্টা করেছে। জনগণের সমর্থন না পেয়ে ক্ষমতায় যেতে তারা খোঁজেন অন্ধকারের চোরাগলি।
তিনি আরো বলেন, জাতির সোনালি অর্জনগুলোকে কালিমালিপ্ত করে তারা পরাজিত পাকিস্তানি ভাবধারায় দেশের রাজনীতিকে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চায়। যা এখন আর সম্ভব নয়, জনগণও তা আর হতে দেবে না। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার জনমুখী রাজনীতি এবং উন্নয়নের রাজনীতি কথা-সর্বস্ব দলগুলোকে সংকটে ফেলেছে, তাদের রাজনৈতিক উচ্চাভিলাসের পথরেখায় ফেলেছে অন্ধকারের ছায়া।
মন্তব্য করুন
জামায়াত বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি তারেক জিয়া বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জামায়াতে ইসলামও কী বিএনপিকে ধোঁকা দিল? বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট এই রাজনৈতিক দলটি ঘোষণা করেছে যে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা না দিলেও প্রথম পর্বে যে সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ হয়েছে সেখানে জামায়াতের ২৩ জন সদস্যের নামের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।
আওয়ামী লীগ দলগতভাবে উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট এবং কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন উপজেলায় মন্ত্রী, এমপি বা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের ভাই ব্রাদার বা স্বজনদেরকে প্রার্থী করা যাবে না। যারা ইতিমধ্যে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।