নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:৩৭ পিএম, ২১ এপ্রিল, ২০২১
মহামারীর মধ্যেও বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের মাধ্যমে সরকার দেশকে ‘নরকপুরীতে’ পরিণত করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বুধবার (২১ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের নিন্দা জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব এই অভিযোগ করেন।
গ্রেপ্তার নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবি জানিয়ে বিবৃতিতে তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগ সরকার সারাদেশকে নরকপুরীতে পরিণত করেছে। তারা বিএনপি, তার অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদেরকে ধারাবাহিকভাবে গ্রেপ্তার করছে।
“করোনাভাইরাস মহামারীতে দেশবাসীর আতঙ্ক ও উদ্বেগের মধ্যেও বিরোধীদলের ওপর গণবিরোধী সরকারের জুলুম, নির্যাতনের কোনো কমতি নেই, বরং আরও বহুগুণ বেড়েছে।”
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারে পুলিশ সাঁড়াশি অভিযান চালিয়েছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, “বিভিন্ন স্থানে নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি পুলিশি অভিযান চালানো হচ্ছে”।
বিবৃতিতে দাবি করা হয়, ঢাকার কেরাণীগঞ্জ মডেল থানার যুগ্ম সম্পাদক মুনির হোসেন, উলামা দলের সহসভাপতি মাওলানা আলাউদ্দিন, নরসিংদী জেলার কোষাধ্যক্ষ সমির ভুঁইয়া, ছাত্র দলের যুগ্ম সম্পাদক সাদেকুর রহমান, কাজী সালমান, স্থানীয় বিএনপি কর্মী তারেক সরকার ডালিমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি সভাপতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বেগম খালেদা জিয়া শামীম ইস্কান্দার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার জন্য নতুন করে তৎপরতা শুরু করেছে তার পরিবারের সদস্যরা। বিশেষ করে বেগম জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার ইতোমধ্যে বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার জন্য সরকারের বিভিন্ন মহলের সঙ্গে নতুন করে যোগাযোগ শুরু করেছেন। বেগম জিয়া আর ভবিষ্যতে রাজনীতি করবেন না, রাজনীতি থেকে অবসর নেবেন এ রকম একটি বক্তব্য সামনে নিয়ে আসছেন শামীম ইস্কান্দার।
আওয়ামী লীগের তৃণমূল ক্রমশ ভেঙ্গে পড়ছে। বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগের তৃণমূল সংগঠিত করা এবং বিভেদ-বিভক্তির দূর করার জন্য যে ডাক দেওয়া হয়েছিল তারপর একটু পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছিল বলে বটে। কিন্তু এখন আবার উপজেলা নির্বাচনের প্রাক্কালে সারাদেশে তৃণমূল বিভক্ত হয়ে পড়েছে। আওয়ামী লীগের তৃণমূলকে সামাল দেওয়াই এখন কঠিন হয়ে পড়ছে। একদিকে নির্বাচন কেন্দ্রীক বিরোধ অন্যদিকে দলের চেইন অব কমান্ড ভেঙ্গে যাওয়া আর কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তদারকির অভাবে তৃণমূলের আওয়ামী লীগ এখন সবচেয়ে সঙ্কটের মুখে পড়েছেন বলেই মনে করছেন আওয়ামী লীগের নেতারাই।