নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৩৫ পিএম, ৩০ এপ্রিল, ২০২১
২০১৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত গুম হয়েছে ৬০১ জন, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে ২ হাজার ৮৭০ জন। এত যে মানুষকে প্রাণ দিতে হয়েছে, এর জবাব অবশ্যই এই আওয়ামী লীগ সরকারকে দিতে হবে। যারা গুম নিখোঁজ হয়ে গেছে তাদের পরিবারের কাছে, গোটা জাতির কাছে তাদের জবাব দিতে হবে।
শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত সভায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, যে সরকার জোর করে ক্ষমতায় থাকে তাকে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য এসমস্ত কৌশল নিতে হয়। কারণ জনগণের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক থাকে না। যেহেতু তারা জনবিচ্ছিন্ন থাকে সে কারণে তাদের এই হত্যা, গুম নির্যাতনের আশ্রয় নিতে হয়। এটা আজকের বিষয় নয়, বহু আগে থেকেই চলে আসছে। ফ্যাসিস্ট কারা- যারা নির্বাচিত হয়ে আসে, আসার পরে তারা ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য এই কৌশলগুলো অবলম্বন করেন।
তিনি আরো বলেন, আমরা যে উদ্দেশ্যে এই রাজনীতি, আন্দোলন সংগ্রাম করছি, যে কারণে আমাদের এই ছেলেরা মাঠ থেকে হারিয়ে গেলো, আমরা একটা গণতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চাই। আমাদের যে অধিকারগুলো আজকে আওয়ামী লীগের দানব, ফ্যাসিস্ট সরকার সম্পূর্ণভাবে রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে কেড়ে নিয়েছে সেই শক্তিকে সরিয়ে সত্যিকার অর্থে একটি জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চাই। এজন্যই এত ত্যাগ, এত অশ্রু, এত ব্যাথা, এত বেদনা।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা প্রায় প্রতিবছর যখন আপনাদের সামনে উপস্থিত হই, তখন নিজেদের মাঝে মাঝে অপরাধী মনে হয়। এজন্য যে আমরা এখন পর্যন্ত এই অবস্থার পরিবর্তন করতে পারিনি। একটি ভয়াবহ ফ্যাসিস্ট শক্তি আমাদের সমস্ত অর্জনগুলোকে ধ্বংস করে দিয়ে, মানুষের প্রতি মানুষের ভালোবাসা নষ্ট করে দিয়ে, আমাদের স্বপ্নগুলোকে ভেঙে চুরমার করে দিয়ে একটা দানবীয় শক্তি হয়ে তাণ্ডব চালাচ্ছে।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান, মানবাধিকার সম্পাদক অ্যাডভোকেট আসাদ, দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান সালেহ প্রিন্স, ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল হক সহ আরো অনেকেই।
মন্তব্য করুন
জামায়াত বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি তারেক জিয়া বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জামায়াতে ইসলামও কী বিএনপিকে ধোঁকা দিল? বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট এই রাজনৈতিক দলটি ঘোষণা করেছে যে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা না দিলেও প্রথম পর্বে যে সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ হয়েছে সেখানে জামায়াতের ২৩ জন সদস্যের নামের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।
আওয়ামী লীগ দলগতভাবে উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট এবং কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন উপজেলায় মন্ত্রী, এমপি বা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের ভাই ব্রাদার বা স্বজনদেরকে প্রার্থী করা যাবে না। যারা ইতিমধ্যে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।