নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:৫৯ পিএম, ০৩ মে, ২০২১
বেগম খালেদা জিয়ার অবস্থা প্রতিদিন যখন বলা হচ্ছে স্থিতিশীল তখনই তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটছে। বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার সত্য তথ্য জানাটা এখন দুরূহ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে বেগম খালেদা জিয়া পরিবারের সদস্যরা এখন তাঁর শারীরিক অবস্থা নিয়ে উদ্বিগ্ন। বিএনপির নেতাকর্মীরা মনে করছেন, ভুল চিকিৎসার বলি হচ্ছেন বেগম খালেদা জিয়া। বিএনপিতেও অনেক সুনামখ্যাত চিকিৎসক আছেন যারা বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে খোঁজখবর নিতে চান, তারা বেগম খালেদা জিয়ার পাশে দাঁড়াতে চান। কিন্তু বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে এক ধরনের বলয় তৈরি করা হয়েছে। সেই বলয়ের ভেতর কাউকে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না। এমনকি দলের নেতাকর্মীরা ও বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা সম্পর্কে অন্ধকারে রয়েছে।
তবে বিএনপি এবং ড্যাবের একাধিক চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে মনে হচ্ছে যে, বেগম খালেদা জিয়া ভুল চিকিৎসার শিকার হচ্ছেন। একজন বিএনপি পন্থী চিকিৎসক যিনি খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ছিলেন, একসময় ইউনাইটেড হাসপাতালে ছিলেন, এখন সেখান থেকে অন্য একটি হাসপাতালে কাজ করছেন। তিনি বলেছেন যে, বেগম খালেদা জিয়ার যখনই কোভিড ধরা পড়েছিল তখনই তার করোনার চিকিৎসা করা উচিত ছিলো। তার অবস্থা স্থিতিশীল, উপসর্গ নেই এই সমস্ত ফালতু কথা বলে বেগম খালেদা জিয়ার শরীরের বিপদ বাড়ানোর কোন দরকার ছিল না। তিনি বলেছেন যে, বেগম খালেদা জিয়া বয়স্ক এবং একাধিক সমস্যায় আক্রান্ত। কাজেই এরকম অবস্থায় করোনা আক্রান্ত হওয়ার সাথে সাথেই তার বেশকিছু ঔষধপত্র এবং চিকিৎসা করানো উচিত ছিল, সে ক্ষেত্রে তিনি ব্যর্থ হয়েছেন। বেগম খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারটিও ভুল সিদ্ধান্ত বলে মনে করছেন কিছু কিছু চিকিৎসক।
বিএনপির অন্য একজন চিকিৎসক বলেছেন, বাংলাদেশে এখন কার্ডিয়াক হাসপাতালের জন্য সবচেয়ে ভালো হাসপাতাল হলো ইউনাইটেড হাসপাতাল। ইউনাইটেড হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগটি বাংলাদেশেই শুধু সেরা নয়, উপমহাদেশে অন্যতম সেরা। অথচ বেগম খালেদা জিয়াকে না হলে এভারকেয়ার হাসপাতাল যেখানে কার্ডিওলজি বিভাগটি যথেষ্ট দুর্বল। তাছাড়া বেগম খালেদা জিয়া ইউনাইটেড হাসপাতালের চিকিৎসকদের সঙ্গে অভ্যস্ত ছিলেন। কেন তাকে এভারকেয়ারে নিয়ে যাওয়া হলো, সেটি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির কোন কোন চিকিৎসক।
তাছাড়া বেগম খালেদা জিয়া করোনামুক্ত। তাকে নন করোনা ইউনিটে রাখাটা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির অনেক নেতা। তার বলছেন যে, করোনা আক্রান্ত একজন ব্যক্তি এক মাস পর্যন্ত তার কোভিড ইউনিটে থাকা উচিত ছিল এবং কোভিড ইউনিটে রেখেই তার চিকিৎসা করা উচিত ছিলো। তার অক্সিজেন স্যাচুরেশন নিয়মিত পরীক্ষা করা উচিত ছিল কিন্তু সেসব কোন কিছুই হয়নি। চিকিৎসকরা খালেদা জিয়াকে গিনিপিগ হিসেবে ব্যবহার করেছে এবং খালেদা জিয়াকে ব্যবহার করে তারা মিডিয়ার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চেয়েছে বলে বিএনপির অনেকে মনে করেন। আর এই ভুল চিকিৎসার কারণে তারা বেগম খালেদা জিয়ার পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করছেন। বিএনপির নেতারা বলছেন যে, বেগম খালেদা জিয়াকে এমন অবস্থায় নিয়ে যেয়ে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে যে মৃত্যুর জন্য আর যাই হোক সরকারকে কখনো দায়ী করা যাবে না।
মন্তব্য করুন
এমভি আবদুল্লাহ কবির গ্রুপ সোমালিয়া উপকূল
মন্তব্য করুন
ভারত বিরোধী বিএনপি রুহুল কবির রিজভী
মন্তব্য করুন
বিএনপি নেতারা জিয়াউর রহমানকে নিয়ে যেসব কথা বলে তা শুনলে জিয়াউর
রহমানও কবরে শুয়ে লজ্জা পেয়ে যেতেন বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাজধানীর প্রেসক্লাবে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
এ সময় তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান জীবদ্দশায় কখনো শুনেননি তিনি স্বাধীনতার ঘোষক।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, স্কুল ঘণ্টা যেমন দপ্তরি বাজায়, তেমনি জিয়াউর
রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেছিলেন বঙ্গবন্ধুর পক্ষে। আজকে বিএনপি নেতা আব্দুল মঈন
খান অনেক কথা বলেন। মঈন খানের বাবা আব্দুল মোমেন খান ৭৪ সালে খাদ্য সচিব ছিলেন। তিনি
ষড়যন্ত্র করে মার্কিন খাদ্যবাহী জাহাজ ফেরত পাঠিয়েছিলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান আব্দুল মোমেন খানকে মন্ত্রী
বানিয়েছিল। মঈন খান নিজেও সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছিল, দরকার পড়লে দেশ বিক্রি করে দেব।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান
মাহমুদ বলেন, দেশ সমৃদ্ধির দিকে যখনই এগিয়ে যাচ্ছিল তখনই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়।
বিএনপি জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক বানানোর জন্য যেভাবে দাবি করে জিয়াও সেভাবে
কখনো দাবি করেনি। জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের ছত্রছায়া পাকিস্তানিদের পক্ষে কাজ করেছে।
জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগের অধীনেই মুক্তিযুদ্ধের সময় বেতন ভুক্ত কর্মচারী ছিলেন।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতাদের কথা হাস্যরসের সৃষ্টি করে। বিএনপির নেতা মঈন খানের বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, যার বাবার জন্য এদেশে দুর্ভিক্ষ হয়েছে তার মুখে এসব কথা মানায় না। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর থেকে ইতিহাস বিকৃতি করে বিএনপি নেতারা বিশদকার বিষোদগার করছে কিন্তু এখন সঠিক ইতিহাস জনগনের সামনে আসার পর তাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। বিএনপির ইতিহাস বিকৃতির পাশাপাশি দেশের জনগণকেও বিভ্রান্তি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
বিএনপি ড. হাছান মাহমুদ আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
বিএনপি ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করে, অপপ্রচার করে, মিথ্যাচার করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। শুক্রবার (২৯ মার্চ) আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির উদ্যোগে ইফতার ও ঈদসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ নেত্রী নির্দেশ দিয়েছেন ইফতার পার্টি না করে, সাধারণ মানুষের মাঝে ইফতার বিতরণ করতে। আর বিএনপি বড় বড় হোটেলে ইফতার পার্টির আয়োজন করে। আর সেই ইফতার পার্টিতে তারা আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করে, অপপ্রচার করে, মিথ্যাচার করে।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা বলে দিল্লির শাসন মেনে নেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগ পাকিস্তানে সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। আসলে বিএনপির হৃদয়ে এবং চেতনায় পাকিস্তান। আওয়ামী লীগের চেতনা এবং হৃদয়ে বাংলাদেশ, কোনো বিদেশিদের দাসত্ব নয়।
তিনি বলেন, বিএনপির চারদিকে অন্ধকার, শেখ হাসিনার জনকল্যাণমুখী বিচক্ষণ রাজনীতি বিএনপিকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিয়েছে। বিএনপি নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করেছিল। ব্যর্থ হয়ে এখনো অসংলগ্ন কথা বলছে। আশি ভাগ বিএনপি নেতাকর্মীকে দমন-পীড়ন করা হচ্ছে বলে তারা মিথ্যাচার করছে।
এসময় মির্জা ফখরুলকে মিথ্যাচার করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, তাদের মিথ্যাচারের রাজনীতি কেউ গ্রহণ করছে না বলেই তারা সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে। বিশ্ব সংকটের প্রভাবের পরও শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্বের কারণে অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশের মানুষ এখনো ভালো আছে।
ওবায়দুল কাদের রাজনীতি সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি সভাপতি
মন্তব্য করুন