নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:০৬ পিএম, ০৬ মে, ২০২১
করোনায় খাদ্যের অভাবে কেউ না খেয়ে মরেনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যতদিন আছেন ততদিন দেশের কেউ না খেয়ে মরবে না।
বৃহস্পতিবার (৬ মে) রাজধানীর দারুস সালাম এলাকায় দুস্থদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী ও ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নিয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি বলেন, করোনার শুরু থেকে বিগত ১৪ মাসে দেশে না খেয়ে কেউ মৃত্যবরণ করেনি। অথচ পার্শ্ববর্তী ভারত ও পাকিস্তানে দেখেন, তাদের থেকে আমরা অনেক ভালো আছি। এটা সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের জন্য। তিনি যতদিন আছেন ততদিন এই দেশের কেউ না খেয়ে মরবে না।
করোনাকালে সরকার ও আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দেওয়া ত্রাণ সামগ্রীর বিস্তারিত তুলে ধরে ড. মাহমুদ বলেন, করোনার সময়ে প্রথম দফায় সরকারের পক্ষ থেকে সাত কোটি মানুষকে ত্রাণ দেওয়া হয়। আর দলের পক্ষ থেকে এক কোটি ২৫ লাখ পরিবারকে ত্রাণ দেওয়া হয়। আর এবার এক কোটি ৬০ োখ পরিবারের জন্য ত্রাণ বরাদ্দ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৭০ লাখ পরিবারে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও দলের পক্ষ থেকে লাখ লাখ মানুষের কাছে নগদ অর্থ সাহায্য দেওয়া হচ্ছে।
এতকিছুর পরেও বিএনপি ঘরে বসে থেকে সমালোচনা করবে বলে মন্তব্য করেন তথ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, এতকিছুর পরেও নিন্দুকেরা সমালোচনা করবেন। বিএনপির মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঘরে বসে টিভিতে অনলাইনে বিবৃতি দেন। তিনি এই সময়ে মনে হয় করোনা বিশেষজ্ঞ হয়েছেন। আগে জানতাম তিনি ঢাকা কলেজে ক্লাস নেন। তিনি বলেন, আমরা করোনা এর জন্য শুরু থেকে কোন প্রস্তুতি নেইনি। অথচ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, করোনা মোকাবিলায় আমরা উপমহাদেশে এক নম্বর আর বিশ্বে ২০ নম্বর।
এদিন দারুস সালাম থানা এলাকায় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এক হাজার পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী এবং ঈদ উপহার হিসেবে শাড়ি ও লুঙ্গি বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মাঝে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচিসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
জামায়াত বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি তারেক জিয়া বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জামায়াতে ইসলামও কী বিএনপিকে ধোঁকা দিল? বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট এই রাজনৈতিক দলটি ঘোষণা করেছে যে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা না দিলেও প্রথম পর্বে যে সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ হয়েছে সেখানে জামায়াতের ২৩ জন সদস্যের নামের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।
আওয়ামী লীগ দলগতভাবে উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট এবং কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন উপজেলায় মন্ত্রী, এমপি বা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের ভাই ব্রাদার বা স্বজনদেরকে প্রার্থী করা যাবে না। যারা ইতিমধ্যে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।