নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ০৮ মে, ২০২১
বেগম খালেদা জিয়া লন্ডনে গেলেই বাংলাদেশে নাশকতা এবং অশান্তি সৃষ্টির একটা ভয়ঙ্কর পরিকল্পনা নিয়েছে তারেক জিয়া। আর এই পরিকল্পনার কিছু তথ্য আলামত হাতে এসেছে গোয়েন্দা সংস্থার হাতে। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, তারেক জিয়ার ভয় এখন একটি জায়গায়। তাহলো তার মা এখন দেশে আছে। তার মাকে দেশের বাহিরে আনতে পারলে আসল রূপে রূপে ফিরবেন না তারেক জিয়া। একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা বলছে যে, হেফাজতকে দিয়ে নতুন করে আন্দোলন সৃষ্টি, সারাদেশে নাশকতা, বাসে আগুন দেওয়া, অগ্নিসংযোগসহ একটা অশান্ত পরিবেশ সৃষ্টির নীল নকশা নিয়ে এগুচ্ছে তারেক জিয়া।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলোর মতে, যেহেতু খালেদা জিয়া দুটি মামলায় সতেরো বছর কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন এবং সরকারের নির্বাহী আদেশে তিনি জামিন পেয়েছেন। এ কারণেই তারেক জিয়া অনেক কিছু এখন বাংলাদেশে করতে পারছেন না বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করেন। আর এজন্যই সরকারের ব্যাপারে চূড়ান্ত আঘাত হানার জন্য বেগম খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নিয়ে যেতে মরিয়া হয়েছে তারেক জিয়া। এজন্য তারা যা যা করা দরকার সব কিছুই করছে।
একাধিক সূত্র বলছে, বেগম খালেদা জিয়ার যে অসুস্থতা সেই অসুস্থতার মধ্যে কিছু নাটক মেশানো হয়েছে যেন খালেদা জিয়ার অসুস্থতাকে ভয়াবহ দেখিয়ে তাকে বিদেশে নেয়া যায়। কিন্তু বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশে যাওয়ার আদৌ প্রয়োজন আছে কিনা সেটি নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন যে, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে যেকোনো মূল্যে তারেক জিয়া চান বেগম খালেদা জিয়া যেন লন্ডনে যান। আর লন্ডনে গেলেই তারেক জিয়ার একটা একটা করে নীলনকশা বাস্তবায়ন শুরু হবে। বাংলাদেশে তারেক জিয়া যে নেটওয়ার্ক স্থাপন করেছেন, তাদের ঈদের পর থেকে হেফাজতের বড় ধরনের নাশকতা-তাণ্ডব চালানোর কথা। তাদের নেতাদের গ্রেফতারের দাবিতে হেফাজত বিভিন্ন স্থানে কর্মসূচি পালন করবে এবং সেই কর্মসূচিতে মদদ দিবে তারেক জিয়া।
এছাড়াও বেগম খালেদা জিয়া লন্ডনে গেলে সারা আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশ বিরোধী প্রচারণা বাড়ানো হবে, আল-জাজিরার প্রতিবেদনের আলোকে আরো প্রতিবেদন প্রকাশ করার উদ্যোগ নেয়া হবে বলেও একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। পাশাপাশি বাংলাদেশে বিভিন্ন গুপ্তহত্যা এবং সন্ত্রাসী তৎপরতা বাড়ানো হবে। তারেক জিয়ার সঙ্গে একাধিক জঙ্গি সংগঠনের নেটওয়ার্ক রয়েছে। এই জঙ্গি সংগঠনগুলো বাংলাদেশে তৎপর হবে। তাছাড়াও বিভিন্ন সন্ত্রাসীরা বাংলাদেশের ভিতরে গুপ্তহত্যা, নাশকতার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবে। এরকম একটি পরিস্থিতি তৈরি করা হবে যে, সরকার অস্থির হয়ে উঠবে। সরকারের মধ্যে অস্থিরতা সৃষ্টি হলো তারেক জিয়ার নীল নকশার মূল পরিকল্পনা।
সাম্প্রতিক সময়ে যখন বেগম খালেদা জিয়া অসুস্থ, হাসপাতালের সিসিইউতে তখন তারেক জিয়া বিভিন্ন মহলকে বলেছেন যে, তার মা (খালেদা জিয়া) একবার লন্ডনে আসুক তারপর তিনি দেখাবেন। বাংলাদেশে গত কিছুদিন ধরেই নানারকম অশান্তি সৃষ্টির চেষ্টা চলছে। তারেক জিয়া কোনটাতেই শেষ পর্যন্ত সফল হতে পারছেন না। এখন যদি তার মাকে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয় তাহলে তার পক্ষে চূড়ান্ত আঘাত হানা সম্ভব হবে, এমনটি বলছেন বিএনপির অনেকে।
মন্তব্য করুন
বিএনপি গণ বহিষ্কার উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন রাজনীতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে দলের যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আগেই ঘোষণা করেছিল বিএনপি। এবার সেই ঘোষণার বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। দলের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, গত জাতীয় নির্বাচনের মতো এবারও উপজেলা নির্বাচনও যে একতরফা নির্বাচন, তা বিশ্ববাসীকে দেখাতে চায় দলটি। এমন ভাবনা থেকে ইতোমধ্যে যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তাদের প্রত্যাহার করতে হবে বলে দলের তৃণমূলকে বার্তা দিয়েছে বিএনপি। তবে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজনদের আসন্ন উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দেয়া হলেও সরে দাঁড়াননি অনেকে। এই নির্দেশনা দেয়ার পর প্রতিদিন দলের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুল কাদের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। ব্যক্তিগত ভাবেও তিনি একাধিক এমপির সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা দলীয় নির্দেশনা অমান্য করেছেন। বিষয় বেশ অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে। গতকাল এ নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে কথা বাহাস চলে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানের।
দলীয় সিদ্ধান্ত মানেননি তৃণমূল আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী। প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কঠোর নির্দেশনার পরও নির্বাচনি মাঠ থেকে সরেননি স্থানীয় এমপি-মন্ত্রীর পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা। সোমবার প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনেও তারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। উল্টো নানা যুক্তি দেখিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগের ভিতরও এক ধরনের অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে। বিশেষ করে দলের দুজন প্রেসিডিয়াম সদস্যের ভূমিকা নিয়েও কেন্দ্রের মধ্যে অস্বস্তি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কঠোর নির্দেশ দেয়ার পরও কেন মনোনয়ন প্রত্যাহার করা হলো না এই নিয়ে দলের মধ্যে চলছে নানা রকম আলাপ-আলোচনা।