নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:৩৪ পিএম, ০৯ মে, ২০২১
বেগম খালেদা জিয়ার পরিবারের সদস্যরা মনে করছেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিশ্বাসঘাতকতার জন্য খালেদা জিয়ার বিদেশ যাওয়া সংক্রান্ত আবেদনটি প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। বিএনপির অনেক নেতা মনে করেন যে, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দ্বৈত নীতি গ্রহণ করেছেন। একদিকে সরকারের সঙ্গে গোপনে যোগাযোগ করেছেন, অন্যদিকে বেগম জিয়ার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করেছেন। সরকার যেন বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ না পাঠায় সেজন্য ষড়যন্ত্র করছেন।
তবে মির্জা ফখরুল ইসলামের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগের তথ্য প্রমাণ দিতে পারেনি বেগম খালেদা জিয়ার পরিবারের সদস্যরা। তারা বলছেন যে, বুধবার রাত সাড়ে ৮ টায় বেগম খালেদা জিয়ার ভাই শামীম ইস্কান্দার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসায় গিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশ যাওয়ার আবেদন সংক্রান্ত আবেদনপত্রটি জমা দেন। কিন্তু এই আবেদনপত্র জমা দেওয়ার আগেই মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কেন কথা বলেছেন, কি নিয়ে কথা বলেছেন, সেটি বেগম খালেদা জিয়ার পরিবারের সদস্যদের একটি বড় প্রশ্ন। তারা মনে করছেন, বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে এরকম একটি আবেদন আসতে পারে সেটি আগে থেকেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এটিকে একটি মানবিক বিষয় থেকে রাজনৈতিক বিষয়ে নিয়ে গেছেন। এছাড়াও বেগম খালেদা জিয়া যখন এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন, তখন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর একদিন গিয়ে খালেদা জিয়ার অবস্থা স্থিতিশীল বলে বর্ণনা করেন, এরকম একাধিকবার তিনি বলেছেন।
আজকে সরকার যখন সিদ্ধান্ত দিবে, তার আগেও মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বেগম খালেদা জিয়ার অবস্থা উন্নতি হয়েছে, তিনি এখন ভালো আছেন ইত্যাদি কথা বলেছেন। তার কথার মাধ্যমে বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশ যাওয়ার যে শেষ সুযোগ, সেই সুযোগটি বন্ধ করে দিয়েছেন। আর বেগম জিয়ার পরিবারের সদস্যরা মনে করেন, হয়তো সরকারের ইঙ্গিতে আজ মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সংবাদ সম্মেলন করেছেন এবং দুই দিন আগে এভারকেয়ার হাসপাতালে গিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা সম্পর্কে সার্টিফিকেট দিয়েছেন। তার এই আচরণের কারণে শেষ পর্যন্ত বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশ যাওয়ার আবেদন নাকচ করতে সরকার একটা অজুহাত পেয়েছে বলে বেগম জিয়া পরিবারের সদস্যরা মনে করেন।
মন্তব্য করুন
ভারত বিরোধী বিএনপি রুহুল কবির রিজভী
মন্তব্য করুন
বিএনপি নেতারা জিয়াউর রহমানকে নিয়ে যেসব কথা বলে তা শুনলে জিয়াউর
রহমানও কবরে শুয়ে লজ্জা পেয়ে যেতেন বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাজধানীর প্রেসক্লাবে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
এ সময় তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান জীবদ্দশায় কখনো শুনেননি তিনি স্বাধীনতার ঘোষক।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, স্কুল ঘণ্টা যেমন দপ্তরি বাজায়, তেমনি জিয়াউর
রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেছিলেন বঙ্গবন্ধুর পক্ষে। আজকে বিএনপি নেতা আব্দুল মঈন
খান অনেক কথা বলেন। মঈন খানের বাবা আব্দুল মোমেন খান ৭৪ সালে খাদ্য সচিব ছিলেন। তিনি
ষড়যন্ত্র করে মার্কিন খাদ্যবাহী জাহাজ ফেরত পাঠিয়েছিলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান আব্দুল মোমেন খানকে মন্ত্রী
বানিয়েছিল। মঈন খান নিজেও সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছিল, দরকার পড়লে দেশ বিক্রি করে দেব।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান
মাহমুদ বলেন, দেশ সমৃদ্ধির দিকে যখনই এগিয়ে যাচ্ছিল তখনই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়।
বিএনপি জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক বানানোর জন্য যেভাবে দাবি করে জিয়াও সেভাবে
কখনো দাবি করেনি। জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের ছত্রছায়া পাকিস্তানিদের পক্ষে কাজ করেছে।
জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগের অধীনেই মুক্তিযুদ্ধের সময় বেতন ভুক্ত কর্মচারী ছিলেন।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতাদের কথা হাস্যরসের সৃষ্টি করে। বিএনপির নেতা মঈন খানের বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, যার বাবার জন্য এদেশে দুর্ভিক্ষ হয়েছে তার মুখে এসব কথা মানায় না। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর থেকে ইতিহাস বিকৃতি করে বিএনপি নেতারা বিশদকার বিষোদগার করছে কিন্তু এখন সঠিক ইতিহাস জনগনের সামনে আসার পর তাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। বিএনপির ইতিহাস বিকৃতির পাশাপাশি দেশের জনগণকেও বিভ্রান্তি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
বিএনপি ড. হাছান মাহমুদ আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
বিএনপি ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করে, অপপ্রচার করে, মিথ্যাচার করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। শুক্রবার (২৯ মার্চ) আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির উদ্যোগে ইফতার ও ঈদসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ নেত্রী নির্দেশ দিয়েছেন ইফতার পার্টি না করে, সাধারণ মানুষের মাঝে ইফতার বিতরণ করতে। আর বিএনপি বড় বড় হোটেলে ইফতার পার্টির আয়োজন করে। আর সেই ইফতার পার্টিতে তারা আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করে, অপপ্রচার করে, মিথ্যাচার করে।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা বলে দিল্লির শাসন মেনে নেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগ পাকিস্তানে সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। আসলে বিএনপির হৃদয়ে এবং চেতনায় পাকিস্তান। আওয়ামী লীগের চেতনা এবং হৃদয়ে বাংলাদেশ, কোনো বিদেশিদের দাসত্ব নয়।
তিনি বলেন, বিএনপির চারদিকে অন্ধকার, শেখ হাসিনার জনকল্যাণমুখী বিচক্ষণ রাজনীতি বিএনপিকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিয়েছে। বিএনপি নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করেছিল। ব্যর্থ হয়ে এখনো অসংলগ্ন কথা বলছে। আশি ভাগ বিএনপি নেতাকর্মীকে দমন-পীড়ন করা হচ্ছে বলে তারা মিথ্যাচার করছে।
এসময় মির্জা ফখরুলকে মিথ্যাচার করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, তাদের মিথ্যাচারের রাজনীতি কেউ গ্রহণ করছে না বলেই তারা সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে। বিশ্ব সংকটের প্রভাবের পরও শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্বের কারণে অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশের মানুষ এখনো ভালো আছে।
ওবায়দুল কাদের রাজনীতি সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি সভাপতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন