নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৪৯ পিএম, ০৯ মে, ২০২১
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, তাকে তিলে তিলে মারার জন্য যে অপকর্মগুলো করেছেন তা বাদ দিয়ে এখন তাকে নিঃশর্ত মুক্তি দিন। জরুরিভাবে তার উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন।
রোববার (৯ মে) নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচ তলায় জাতীয়তাবাদী প্রজন্ম ’৭১ এর উদ্যোগে খালেদা জিয়ার রোগমুক্তির জন্য দোয়া মাহফিল ও দুস্থদের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন।
খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসা জরুরি উল্লেখ করে গয়েশ্বর বলেন, আমাদের নেত্রীর চিকিৎসা সংকট আছে। অর্থাৎ এই চিকিৎসাটা দেশের অভ্যন্তরের হসপিটালগুলোতে যথেষ্ট নয়। সেকারণে পরিবারের পক্ষ থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়ার অনুমতি চাওয়া হয়েছে। আমি সরকারের কাছে দাবি করব, তাকে নিঃশর্ত মুক্তি দিন।
তিনি বলেন, আপনাদের যা করার দেশনেত্রীকে করেছেন। আর বেশি কিছু করা আপনাদের উচিত না। মানুষ বুঝেছে তাকে তিলে তিলে মারার জন্য এবং রাজনীতি থেকে বিতাড়িত করার জন্য আপনারা এই অপকর্মগুলো গায়ের জোরে করেছেন। সুতরাং এই অপকর্ম বাদ দিয়ে দেশনেত্রীকে নিঃশর্ত মুক্তি দিন।
সংগঠনের সভাপতি ঢালী আমিনুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ ও মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আবদুর রহিম।
মন্তব্য করুন
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি সভাপতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বেগম খালেদা জিয়া শামীম ইস্কান্দার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার জন্য নতুন করে তৎপরতা শুরু করেছে তার পরিবারের সদস্যরা। বিশেষ করে বেগম জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার ইতোমধ্যে বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার জন্য সরকারের বিভিন্ন মহলের সঙ্গে নতুন করে যোগাযোগ শুরু করেছেন। বেগম জিয়া আর ভবিষ্যতে রাজনীতি করবেন না, রাজনীতি থেকে অবসর নেবেন এ রকম একটি বক্তব্য সামনে নিয়ে আসছেন শামীম ইস্কান্দার।
আওয়ামী লীগের তৃণমূল ক্রমশ ভেঙ্গে পড়ছে। বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগের তৃণমূল সংগঠিত করা এবং বিভেদ-বিভক্তির দূর করার জন্য যে ডাক দেওয়া হয়েছিল তারপর একটু পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছিল বলে বটে। কিন্তু এখন আবার উপজেলা নির্বাচনের প্রাক্কালে সারাদেশে তৃণমূল বিভক্ত হয়ে পড়েছে। আওয়ামী লীগের তৃণমূলকে সামাল দেওয়াই এখন কঠিন হয়ে পড়ছে। একদিকে নির্বাচন কেন্দ্রীক বিরোধ অন্যদিকে দলের চেইন অব কমান্ড ভেঙ্গে যাওয়া আর কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তদারকির অভাবে তৃণমূলের আওয়ামী লীগ এখন সবচেয়ে সঙ্কটের মুখে পড়েছেন বলেই মনে করছেন আওয়ামী লীগের নেতারাই।