নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৫৩ পিএম, ০৯ মে, ২০২১
আইন মন্ত্রণালয় থেকে বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা দেওয়া যাবে না এমন মতামত দেওয়ার পর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পাসপোর্ট তৈরির উদ্যোগও বন্ধ হয়ে গেছে। পাসপোর্ট নবায়নের আবেদন করা হলেও তাঁর পাসপোর্টও মিলছে না বলে ঈঙ্গিত পাওয়া গেছে। আগারগাঁওয়ের পাসপোর্ট অফিসের পাসপোর্ট তৈরি করে দেওয়ার প্রস্তুতিও বাতিল হয়ে গেছে বলে জানা গেছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, গত বুধবার রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ধানমণ্ডির বাসায় গিয়ে খালেদা জিয়ার ভাই শামীম ইস্কান্দার আবেদন জমা দেন। ওই রাতেই আবেদনটি আইন মন্ত্রণালয়ে মতামতের জন্য পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করা হয়। দেখা হয় তার পাসপোর্টের মেয়াদের কী অবস্থা। দেখা যায়, খালেদা জিয়ার পাসপোর্টের মেয়াদ চলে গেছে ২০১৯ সালে। মেয়াদোত্তীর্ণ কোনো পাসপোর্টে অন্য কোনো দেশের ভিসা পাওয়ার সুযোগ নেই। ভিসা ছাড়া যেতেও পারবেন না। এ কারণে তার পাসপোর্টটি নবায়ন করে দেওয়ার উদ্যোগও নেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তারা সিদ্ধান্ত নিয়ে রাখে, যদি আইন মন্ত্রণালয় থেকে ইতিবাচক মতামত পাওয়া যায় তাতে করে দ্রুত পাসপোর্ট করে দেওয়া হবে। বর্তমানের নিয়ম অনুযায়ী নবায়নের ক্ষেত্রেও পাসপোর্ট গ্রহীতাকে সশরীরে পাসপোর্ট অফিসে উপস্থিত হতে হয়। খালেদা জিয়ার অসুস্থতার কথা বিবেচনা করে সেটিও শিথিল করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত বুধবার রাতে বিদেশে পাঠানোর আবেদন পাওয়ার পর বৃহস্পতিবার ব্যাংকে পাসপোর্টের ফি জমা দেওয়া হয়। এরপর ওই দিন সন্ধ্যার পর আবেদন পাঠানো হয় আগারগাঁওয়ের পাসপোর্ট অফিসে। পাসপোর্ট অফিসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাও প্রস্তুতি নিয়ে রাখেন তার মেশিন রিডেবল পাসপোর্টটি করে দেওয়ার জন্য। পরদিন শুক্রবার, শনিবার ও রবিবার পাসপোর্ট করে দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছিলেন তারা। অবশেষে আজ দুপুরে আইন মন্ত্রণালয় মতামত দেন সাজাপ্রাপ্ত বন্দিকে বিদেশে পাঠানোর আইনগত সুযোগ নেই। এ মতামত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর পর খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর উদ্যোগের মতো ভেস্তে যায় পাসপোর্ট তৈরির কাজটিও।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এ খবর পাওয়ার পরপরই পাসপোর্ট অফিসের প্রস্তুতিও বাতিল করা হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা কালের কণ্ঠকে জানান, অগামী ১৬ মে পর্যন্ত পাসপোর্ট অফিস বন্ধ রয়েছে। এই সময়ে পাসপোর্টের কোনো কাজ হচ্ছে না। এ অবস্থায়ও বিশেষ ব্যবস্থায় খালেদা জিয়ার পাসপোর্ট করে দেওয়ার প্রস্তুতি ছিল। তিনি আরো বলেন, সাজাপ্রাপ্ত কারো পাসপোর্ট করে দেওয়ার আইনগত সুযোগ নেই। তবে নির্বাহী আদেশে করা যেতে পারে। তার পাসপোর্ট করে দেওয়ার ক্ষেত্রে আজ পর্যন্ত নির্বাহী আদেশ না যাওয়ার কারণে তার পাসপোর্ট তৈরি করা হয়নি। আপাতত তার পাসপোর্ট নবায়ন হচ্ছে না। পরে যদি কোনো সিদ্ধান্ত হয় তখন বিষয়টি দেখা যাবে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বিএনপি বিদ্রোহ উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
ঢাকার বনানীর বাসায় ফেরার পথে গাড়িচালক
আনসার আলীসহ ২০১২ সালের ১৭ এপ্রিল নিখোঁজ হন বিএনপির তৎকালীন সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিলেট
জেলা বিএনপির সভাপতি এম ইলিয়াস আলী। এক যুগ পার হলেও ইলিয়াস আলী জীবিত না মৃত সে খবর
কেউ দিতে পারেনি দীর্ঘ এই সময়ে।
তবে সিলেটের বিএনপি নেতারা মনে করেন,
ইলিয়াস সরকারের হেফাজতে অক্ষতই আছেন। তাকে ফিরে পেতে কেবল সরকারের সদিচ্ছার প্রয়োজন।
নিখোঁজের ১২ বছর পূর্তিতে তাকে ফিরে পেতে গতকাল নানা কর্মসূচি পালন করেছে সিলেট বিএনপি
ও অঙ্গ সংগঠন। ইলিয়াস আলী ‘নিখোঁজ’র পর সিলেটে গঠন করা হয় ‘ইলিয়াস মুক্তি সংগ্রাম
পরিষদ’। এ বছর ‘ইলিয়াস মুক্তি সংগ্রাম পরিষদ’র কোনো কর্মসূচি না থাকলেও সমাবেশ, স্মারকলিপি
প্রদান এবং দোয়া ও মিলাদ মাহফিল করেছে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠন। এক যুগেও ইলিয়াসের সন্ধান
না মিললেও হাল ছাড়েননি বিএনপি নেতারা।
তাদের ধারণা, ইলিয়াস আলী এখনো জীবিত
আছেন। ইলিয়াসের অবস্থান সম্পর্কে সরকার জ্ঞাত আছে। কিন্তু সরকারের সদিচ্ছার অভাবে ইলিয়াস
আলীর সন্ধান মিলছে না। ইলিয়াস আলী নিখোঁজের এক যুগপূর্তির দিন গতকাল জেলা প্রশাসকের
মাধ্যমে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে সিলেট বিএনপি। এ ছাড়া বাদ আসর জেলা
বিএনপির উদ্যোগে হজরত শাহজালাল (রহ.) দরগাহ মসজিদে ইলিয়াস আলীর সন্ধান কামনায় দোয়া
ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এ ছাড়া ইলিয়াসকে ফিরে পেতে বাদ জোহর একই মসজিদে দোয়া ও
মিলাদের আয়োজন করে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল। স্মারকলিপি প্রদানের আগে গতকাল দুপুরে জেলা
প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করে বিএনপি।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, দীর্ঘ ১২ বছর
ধরে ইলিয়াস আলী ফেরার অপেক্ষায় আছেন সিলেটবাসী। ইলিয়াসের জনপ্রিয়তায় আতঙ্কিত হয়ে সরকার
তাকে গুম করেছে।
ইলিয়াস নিখোঁজ প্রসঙ্গে জেলা বিএনপির
সিনিয়র সহসভাপতি অ্যাডভোকেট আশিক উদ্দিন বলেন, ইলিয়াস আলীর সন্ধান পেতে তার সহধর্মিণী
হাই কোর্টে রিট করেছিলেন। কিন্তু সরকারের অদৃশ্য হস্তক্ষেপে এক যুগেও সেই রিটের শুনানি
হয়নি। এতে প্রমাণিত হয় ইলিয়াস নিখোঁজের পেছনে সরকার জড়িত।
মন্তব্য করুন
খন্দকার মোশাররফ হোসেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন
নির্বাচন বর্জন বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন