নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:২৭ পিএম, ১৩ মে, ২০২১
দলের দুর্দিনে নেতৃত্ব দিয়েছেন তাদের সন্তান, আত্মীয়-স্বজন ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের নিয়ে যুবলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি হবে। কোনো নেতার চামচামি করে আর যুবলীগের নেতা হওয়া যাবে না বলে ফরিদপুরের এক সাংসদ ও আওয়ামী লীগের নেতার দিকে ইঙ্গিত করে এসব কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ফরিদপুর-৪ আসনের সাংসদ মুজিবর রহমান ওরফে নিক্সন চৌধুরী।
ফরিদপুর যুবলীগের ২১ সদস্যবিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটির সদস্যরা নিক্সন চৌধুরীকে গত বুধবার ভাঙ্গার বাসায় ফুলের শুভেচ্ছা জানাতে গেলে নবগঠিত কমিটির সদস্যদের উদ্দেশে তিনি বলেন, অনেক বড় নেতা, অনেক বড় আত্মীয়, অনেক বড় দানবের পতন হয়েছে। এ থেকে শিক্ষা নিতে হবে।
নিক্সন চৌধুরী বলেন, ফরিদপুর যুবলীগের কমিটি গঠনে কোনো বড় নেতা, সাংসদ, মন্ত্রীর সুপারিশ রাখবেন রাখা হবে না। এতে আমার তিন উপজেলায়, আমার অপছন্দের কাউকে যুবলীগে স্থান দিলে আমি তাতে বাধা দেব না।
তিনি আরও বলেন, যুবলীগের আগের নেতারা দুর্নীতি ও ক্যাসিনো কাণ্ডে জড়িত থাকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কমিটি ভেঙে দিয়েছেন। এখন ১৯৭২ সালে যুবলীগ প্রতিষ্ঠা করেছেন শেখ ফজলুল হক মনি। বর্তমানে যুবলীগের নেতৃত্ব দিচ্ছেন শেখ ফজলুল হক মনির ছেলে শেখ ফজলে শামস পরশ। আগামীর যুবলীগ হবে মানবিক যুবলীগ, কোনো বড় নেতার তদবির এখানে চলবে না। কোনো নেতার চামচামি করে যুবলীগের নেতা হওয়া যাবে না।
সভায় বক্তব্য দেন যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির অর্থবিষয়ক সম্পাদক সাহাদাত হোসেন নতুন আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক জিয়াউল হাসান, দুই যুগ্ম আহ্বায়ক মেহেদী হাসান শামীম তালুকদার ও খান মো. শাহ সুলতান রাহাত।
মন্তব্য করুন
জামায়াত বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি তারেক জিয়া বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জামায়াতে ইসলামও কী বিএনপিকে ধোঁকা দিল? বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট এই রাজনৈতিক দলটি ঘোষণা করেছে যে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা না দিলেও প্রথম পর্বে যে সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ হয়েছে সেখানে জামায়াতের ২৩ জন সদস্যের নামের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।
আওয়ামী লীগ দলগতভাবে উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট এবং কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন উপজেলায় মন্ত্রী, এমপি বা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের ভাই ব্রাদার বা স্বজনদেরকে প্রার্থী করা যাবে না। যারা ইতিমধ্যে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।