নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:৪০ পিএম, ১৮ মে, ২০২১
সিনিয়র সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে ৫ ঘণ্টা আটকে রেখে হেনস্তা, গ্রেপ্তার এবং তার বিরুদ্ধে মামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। সেই সাথে তিনি অবিলম্বে রোজিনা ইসলামকে মুক্তি দিয়ে ঘটনায় সংশ্লিষ্ট প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনার এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেন।
মঙ্গলবার (১৮ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ তীব্র নিন্দা জানান।
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, অবৈধ ক্ষমতাসীন সরকার সবার কণ্ঠরোধ করতে চায়। বিশ্বমুক্ত গণমাধ্যম সূচকে এ বছরও আমরা এক ধাপ পিছিয়েছি। ১৮০টি দেশের মধ্যে আমাদের অবস্থান ১৫২তম। বর্তমান ফ্যাসিবাদী সরকারের শাসনামলে বাংলাদেশে যে অবাধ তথ্য প্রবাহ এবং স্বাধীন সাংবাদিকতার সুযোগ নেই, এই ঘটনা আরেকবার সেটি মনে করিয়ে দিল। এই প্রতিকূলতার মধ্যেও রোজিনা ইসলাম যেভাবে সাহসিকতার সাথে সরকারের লুটপাট, দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনার বিষয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন করে যাচ্ছিলেন, তা এই ভোট ডাকাত স্বৈরাচার সরকারের ভিত কাঁপিয়ে দিচ্ছিল। তাই পরিকল্পিতভাবে তাকে আটকে রেখে, নির্যাতন করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। রোজিনা ইসলামের সহকর্মী সাংবাদিকেরা যেভাবে ঘটনার সাথে সাথে প্রতিবাদে মুখর হয়েছেন এবং প্রতিবাদ হিসেবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সংবাদ ব্রিফিং বয়কট করেছেন; আমি তাদের স্বাগত জানাই।
সরকার স্বেচ্ছাচারিতার সকল সীমা অতিক্রম করেছে। ভোট ডাকাতি করে ক্ষমতায় এসে তারা বিরোধী রাজনীতিবিদসহ সকল শ্রেণি পেশার মানুষের উপর দমন, পীড়ন, নির্যাতন চালাচ্ছে। তারা জনগণের কাছে কোন জবাবদিহিতার প্রয়োজন মনে করে না। সাংবাদিকদের উপর দেশের বিভিন্ন জায়গায় সরকার এবং সরকার দলীয় ক্যাডারদের নির্যাতনের ঘটনা প্রায়ই সামনে আসছে। থলের বেড়াল বেড়িয়ে আসার ভয়ে তারা সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের সঠিক তদন্ত করেনি। কিছুদিন আগে সাংবাদিক কাজলের সাথে যে নিষ্ঠুর আচরণ করা হয়েছে, রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে তার উপর যে নিপীড়ন চালানো হয়েছে, তা আমরা সবাই জানি।
এই পরিস্থিতিতে প্রতিরোধই একমাত্র পথ। সাংবাদিকবৃন্দ এই ঘটনায় যে প্রতিবাদ, প্রতিরোধ গড়ে তুলেছেন তাদের সাথে সংহতি প্রকাশ করেন তিনি।
মন্তব্য করুন
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি সভাপতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বেগম খালেদা জিয়া শামীম ইস্কান্দার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার জন্য নতুন করে তৎপরতা শুরু করেছে তার পরিবারের সদস্যরা। বিশেষ করে বেগম জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার ইতোমধ্যে বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার জন্য সরকারের বিভিন্ন মহলের সঙ্গে নতুন করে যোগাযোগ শুরু করেছেন। বেগম জিয়া আর ভবিষ্যতে রাজনীতি করবেন না, রাজনীতি থেকে অবসর নেবেন এ রকম একটি বক্তব্য সামনে নিয়ে আসছেন শামীম ইস্কান্দার।
আওয়ামী লীগের তৃণমূল ক্রমশ ভেঙ্গে পড়ছে। বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগের তৃণমূল সংগঠিত করা এবং বিভেদ-বিভক্তির দূর করার জন্য যে ডাক দেওয়া হয়েছিল তারপর একটু পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছিল বলে বটে। কিন্তু এখন আবার উপজেলা নির্বাচনের প্রাক্কালে সারাদেশে তৃণমূল বিভক্ত হয়ে পড়েছে। আওয়ামী লীগের তৃণমূলকে সামাল দেওয়াই এখন কঠিন হয়ে পড়ছে। একদিকে নির্বাচন কেন্দ্রীক বিরোধ অন্যদিকে দলের চেইন অব কমান্ড ভেঙ্গে যাওয়া আর কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তদারকির অভাবে তৃণমূলের আওয়ামী লীগ এখন সবচেয়ে সঙ্কটের মুখে পড়েছেন বলেই মনে করছেন আওয়ামী লীগের নেতারাই।