নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৫৯ পিএম, ১৮ মে, ২০২১
প্রথম আলোর সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে গতকাল সোমবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে হেনস্থা করা হয়েছে। গত রাতে তাকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। আজ তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় আওয়ামী লীগ বিব্রত এবং এক ধরনের অস্বস্তির মধ্যে পড়েছে। আওয়ামী লীগের অনেক শীর্ষ নেতারা বলছেন যে, এই ঘটনাটি আওয়ামী লীগের জন্য অস্বস্তিকর। এই ঘটনা হওয়া উচিত ছিল না। এটি অন্যভাবে সামাল দেওয়া যেত। তবে আওয়ামী লীগের কোন নেতাই এ নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলছেন না।
আওয়ামী লীগের একজন প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেছেন যে, ঘটনায় আমি হতবাক হয়ে গেছি। বাংলাদেশে আমলারা যে দুর্বিনীত হয়ে উঠেছেন তার বড় প্রমাণ হলো এই ঘটনাটি। তিনি সাংবাদিক এটি বড় কথা নয়। একজন নারীকে এভাবে অপদস্থ করা যায়, এটি বিস্ময়কর। এটি ভাবতেও অবাক হয়ে যাই। ওই আওয়ামী লীগের নেতা বলেন যে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেখানে সাংবাদিকদের ব্যাপারে উদার এবং মানবিক সেখানে এ ধরনের ঘটনা যারা ঘটিয়েছে তাদের চিহ্নিত করা দরকার এবং এরা আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে।
আওয়ামী লীগের আরেকজন নেতা বলেছেন যে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় একাই সরকারের সব অর্জনগুলোকে ম্লান করে দিচ্ছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতির কথা বিভিন্ন সময়ে প্রকাশিত হচ্ছে। এখন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় একজন সাংবাদিকের সাথে যে আচরণ করেছে তা দুর্ভাগ্যজনক। আওয়ামী লীগের অন্য একজন কেন্দ্রীয় নেতা বলেছেন যে, যদি রোজিনা কোন অন্যায় করে থাকে তার বিচার অন্যভাবে করা যেত। আইন হাতে তুলে নেওয়া আমলাদের কাজ নয়। গত কিছুদিন ধরেই আমলারা এমন একটি অবস্থায় গেছেন যে তারা যেন বিচারের ঊর্ধ্বে। তারা সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করছেন।
আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতারা মনে করছেন যে, সরকারের উচিত দ্রুত নির্মোহভাবে এই ঘটনার তদন্ত করা এবং এ ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা। আওয়ামী লীগের একজন নেতা বলেছেন যে, প্রথম আলো পত্রিকার সঙ্গে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক বিরোধ রয়েছে। প্রথম আলো বিরাজনীতিকরণের পক্ষে তাদের সম্পাদকীয় নীতিতে সবসময় আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনা করা হয়, আওয়ামী লীগ সরকারের নেতিবাচক দিকগুলো তুলে ধরে। কিন্তু তাই বলে একজন নারী সাংবাদিক এভাবে হেনস্তা করা কখনো কাঙ্ক্ষিত এবং কাম্য হতে পারে না। তারা মনে করেন যে, এই বিষয়টি দ্রুত মীমাংসা করা উচিত। না হলে এ ব্যাপারে অন্যরকম পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।
১৪ দলীয় জোটের একজন নেতা বলেছেন যে, আমলাদের হাতে দেশ নিরাপদ নয়। রোজিনার ঘটনা তার বড় প্রমাণ। তিনি বলেছেন যে, এই ঘটনাটি চাইলেই অনেক ভদ্রভাবে মীমাংসা করা যেত। একটি সুন্দর দৃষ্টান্ত স্থাপন করা যেত। এখন এই ঘটনা যেভাবে মোড় নিয়েছে তাতে আর যাই হোক রোজিনাকে দোষী করা অসম্ভব মনে হবে। বরং পুরো জনমত রোজিনার পক্ষেই গেছে। আওয়ামী লীগের একজন নেতা বলেছেন যে, সরকার গত ১২ বছরে অনেককিছু অর্জন করেছে। বাংলাদেশকে অর্থনৈতিক উন্নয়নের একটি রোল মডেল করেছে। কিন্তু কিছু কিছু ব্যক্তির অবিবেচক কার্যকলাপ সরকারের সব অর্জনকে ম্লান করে দিচ্ছে। রোজিনা ঘটনাটি তার একটি প্রমাণ।
মন্তব্য করুন
জামায়াত বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি তারেক জিয়া বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জামায়াতে ইসলামও কী বিএনপিকে ধোঁকা দিল? বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট এই রাজনৈতিক দলটি ঘোষণা করেছে যে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা না দিলেও প্রথম পর্বে যে সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ হয়েছে সেখানে জামায়াতের ২৩ জন সদস্যের নামের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।
আওয়ামী লীগ দলগতভাবে উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট এবং কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন উপজেলায় মন্ত্রী, এমপি বা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের ভাই ব্রাদার বা স্বজনদেরকে প্রার্থী করা যাবে না। যারা ইতিমধ্যে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।