নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:৩১ পিএম, ১০ জুন, ২০২১
নাম বিকৃত করে উচ্চারণ করা কোনো ভদ্রলোকের কাজ নয়। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবকে তো ভদ্রলোক বলে জানতাম বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
বৃহস্পতিবার (১০ জুন) দুপুরে সচিবালয়ে অভিনয় ও মডেল শিল্পীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
বুধবার বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের নাম বিকৃত করে ‘হাছা মাহমুদ’ বলেছেন। এ বিষয়ে তথ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, আমি মির্জা ফখরুল সাহেবের বক্তব্যটা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখেছি। প্রথমত কারো নাম বিকৃত করে উচ্চারণ করা কোনো ভদ্র লোকের কাজ নয়। কোনো ভদ্রলোকের আর একজন মানুষের নাম বিকৃত করা অনুচিত। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবকে তো ভদ্রলোক বলে জানতাম। তিনি কেন হঠাৎ করে এভাবে নাম বিকৃত করে বলা শুরু করলেন বুঝতে পারছি না। সম্ভবত তারা তো তাদের রাজনীতি নিয়ে প্রচণ্ড হতাশ। সেই হতাশা থেকে কখন কী বলে বসছেন—খেই হারিয়ে ফেলেছেন।
তিনি বলেন, আমি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব সম্পর্কে বেশি কিছু বলতে চাচ্ছি না। ওনাকেও তো অনেকেই মিথ্যা ফখরুল বলেন। অনেকেই বলেন, তিনি প্রচণ্ড মিথ্যা কথা বলেন, অবলীলায় সুন্দরভাবে মিথ্যা কথা বলেন—এজন্য অনেকেই মিথ্যা ফখরুল বলেন। আমি এটা বলতে চাই না। কারণ, এটা বলা সমীচীন নয়। মানুষে বললেও আমি সেটা বলতে চাই না। প্রকৃত বিষয় হচ্ছে খেই হারিয়ে ফেলেছেন।
গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকার উৎখাত করা হবে—বিএনপির এমন হুমকি প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ফখরুল সাহেব বলেছেন—গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরাবেন। এরকম হুমকি তো আমরা গত ১২ বছর ধরে শুনে আসছি। হুমকি দিতে দিতে তারা ছোট হয়ে আসছেন। তাদের আঙিনাটা ক্রমাগত ছোট হয়ে যাচ্ছে। এটা তাদের জন্য দুঃখজনক।
এ সময় অভিনয় শিল্পী সংঘের সভাপতি শহিদুজ্জামান সেলিম, অভিনয় শিল্পী তারিন, সুইটি, অনিক এবং চলচ্চিত্র শিল্পী ফোরামের সভাপতি নিশা সওদাগর, সেক্রেটারি জায়েদ খান, নায়িকা সিমলা ও জান্নাত মিষ্টি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
বিএনপি গণ বহিষ্কার উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন রাজনীতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে দলের যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আগেই ঘোষণা করেছিল বিএনপি। এবার সেই ঘোষণার বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। দলের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, গত জাতীয় নির্বাচনের মতো এবারও উপজেলা নির্বাচনও যে একতরফা নির্বাচন, তা বিশ্ববাসীকে দেখাতে চায় দলটি। এমন ভাবনা থেকে ইতোমধ্যে যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তাদের প্রত্যাহার করতে হবে বলে দলের তৃণমূলকে বার্তা দিয়েছে বিএনপি। তবে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজনদের আসন্ন উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দেয়া হলেও সরে দাঁড়াননি অনেকে। এই নির্দেশনা দেয়ার পর প্রতিদিন দলের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুল কাদের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। ব্যক্তিগত ভাবেও তিনি একাধিক এমপির সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা দলীয় নির্দেশনা অমান্য করেছেন। বিষয় বেশ অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে। গতকাল এ নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে কথা বাহাস চলে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানের।
দলীয় সিদ্ধান্ত মানেননি তৃণমূল আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী। প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কঠোর নির্দেশনার পরও নির্বাচনি মাঠ থেকে সরেননি স্থানীয় এমপি-মন্ত্রীর পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা। সোমবার প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনেও তারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। উল্টো নানা যুক্তি দেখিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগের ভিতরও এক ধরনের অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে। বিশেষ করে দলের দুজন প্রেসিডিয়াম সদস্যের ভূমিকা নিয়েও কেন্দ্রের মধ্যে অস্বস্তি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কঠোর নির্দেশ দেয়ার পরও কেন মনোনয়ন প্রত্যাহার করা হলো না এই নিয়ে দলের মধ্যে চলছে নানা রকম আলাপ-আলোচনা।