নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ১৩ জুন, ২০২১
আজ ১৩ জুন, বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ, সাবেক মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত বছরের এই দিনে ঢাকাস্থ শ্যামলী বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
মোহাম্মদ নাসিমের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তার নির্বাচনী এলাকা কাজিপুরে মাসব্যাপী কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। এছাড়াও সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগসহ অঙ্গ সংগঠনগুলো পৃথক পৃথক কর্মসূচির মধ্য দিয়ে প্রিয় নেতার মৃত্যুবার্ষিকী পালন করবে।
কাজিপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান সিরাজী বলেন, মোহাম্মদ নাসিম ছিলেন কাজিপুরের গণমানুষের প্রাণপ্রিয় নেতা। তার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ১ জুন থেকে মাসব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে প্রতিটি ইউনিয়ন, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। রোববার দলীয় কার্যালয়ে কোরআন খানি ও দোয়া মাহফিল এবং সকাল ১১টার দিকে স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান ও স্থানীয় সংসদ সদস্য তানভীর শাকিল জয় উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক শামছুজ্জামান আলো বলেন, মোহাম্মদ নাসিমের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সকালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতা এবং মোহাম্মদ নাসিমের প্রতিকৃতিতে পুস্পমাল্য অর্পণ এরপর কোরআন খানি ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। বিকেলে শহীদ এম মনসুর আলী অডিটোরিয়ামে আয়োজিত স্মরণসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক। এছাড়াও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, সদস্য মেরিনা জাহান কবিতাসহ নেতারা উপস্থিত থাকবেন।
বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ট সহচর জাতীয় নেতা শহীদ এম মনসুর আলীর দ্বিতীয় সন্তান মোহাম্মদ নাসিম ১৯৪৮ সালের ২ এপ্রিল সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার কুড়িপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৮১ সালের আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সম্মেলনে যুব বিষয়ক সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই জাতীয় রাজনীতিতে যাত্রা শুরু হয় তার। ১৯৮৭ সালের সম্মেলনে দলের প্রচার সম্পাদক মনোনীত হন। ১৯৯২ ও ১৯৯৭ সালের সম্মেলনে তিনি দলের সাংগঠনিক সম্পাদকের দ্বায়িত্ব পান। এসব পদে থেকে তিনি দলকে সুসংগঠিত করতে সারাদেশ চষে বেড়ান। ২০০২ ও ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত দলের সম্মেলনে তাকে দলের কার্যনির্বাহী কমিটির এক নম্বর সদস্য পদে রাখা হয়। ২০১২ সালের সম্মেলনে তিনি দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য নির্বাচিত হন এবং টানা তিন মেয়াদে এ পদে দায়িত্ব পালন করেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যের পাশাপাশি ১৪ দলের মুখপাত্রের দায়িত্বে ছিলেন।
মোহাম্মদ নাসিম ১৯৮৬ সালে সিরাজগঞ্জ-১ (কাজিপুর) আসন থেকে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর থেকে এই আসনে ছয়বার বিজয়ী হন তিনি। ১৯৯১ সালে তিনি জাতীয় সংসদে বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৬ সালে তিনি স্বরাষ্ট্র, গৃহায়ান ও গণপূর্ত এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৪ সালে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৯ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির দায়িত্ব পালন করেছেন।
গত বছরের ১ জুন রক্তচাপজনিত সমস্যায় ঢাকার শ্যামলী বিশেষায়িত হাসপাতালে ভর্তি হন মোহাম্মদ নাসিম এমপি। সেদিনই তার কোভিড-১৯ পজিটিভ আসে। ওই হাসপাতালে ১২ দিন চিকিৎসকের নিবিড় পর্যবেক্ষণে থাকার পর ১৩ জুন ঢাকায় সকাল ১১টা ১০ মিনিটে মারা যান তিনি।
মন্তব্য করুন
জামায়াত বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি তারেক জিয়া বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জামায়াতে ইসলামও কী বিএনপিকে ধোঁকা দিল? বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট এই রাজনৈতিক দলটি ঘোষণা করেছে যে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা না দিলেও প্রথম পর্বে যে সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ হয়েছে সেখানে জামায়াতের ২৩ জন সদস্যের নামের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।
আওয়ামী লীগ দলগতভাবে উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট এবং কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন উপজেলায় মন্ত্রী, এমপি বা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের ভাই ব্রাদার বা স্বজনদেরকে প্রার্থী করা যাবে না। যারা ইতিমধ্যে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।